“চলো আমরা করি প্রতিবাদ, সহিংসতা বন্ধে তুলি রেডকার্ড”—এ প্রতিপাদ্য শ্লোগানকে সামনে রেখে মাগুরা সদর উপজেলায় শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে Community Engagement Activities on VAC and ECM বিষয়ক একটি মাল্টিমিডিয়া ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, সকাল ৯.৩০ টার সময় মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাগুরা জেলা তথ্য অফিস ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
ক্যাম্পেইন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মাগুরা জেলা তথ্য অফিসার পাভেল দাস। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন:
মাগুরা সদর উপজেলা ভূমি অফিসার এসিল্যান্ড দেওয়ান আসিফ
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আইয়ুব আলি
মাগুরা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পরিদর্শক এস এম জাফরুল আলম
মাগুরা সদর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আবু তাহের
মাগুরা সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ বাসারুল ইসলাম
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রহিম
ইউএইচএ্যান্ডএফপিও ডাঃ মোঃ আফজাল হোসেন
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ জহুরুল আলম
অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মোঃ তোজাম্মেল হক
উপজেলা সমবায় অফিসার বিরাজ মোহন কুন্ডু
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিলরুবা খাতুন
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আবু সাঈদ
উপজেলা আইসিটি অফিসার ওলিউল্লাহ
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ষষ্ঠী রাণী মজুমদার
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ঝুমুর সরকার
ইউএনও অফিস প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আবু কালাম
পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মোঃ দারুল আলম
মাগুরা মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল আওয়াল সহ আরও অনেকে।
মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান বলেন, “মাল্টিমিডিয়া ক্যাম্পেইনে আসা সবাই এবং সাংবাদিকরা সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ দূর করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেবেন। সাংবাদিকরা, ছাত্র জনতা ও গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বাল্যবিবাহসহ সব অপরাধমূলক কাজের তথ্য আমাদের জানিয়ে সহযোগিতা করুন।” তিনি আরও বলেন, “কোনো ছেলে বা মেয়ে যদি বাল্যবিয়ে করে, তাদের বয়স যদি ১৮ ও ২১ বছর পূর্ণ না হয়ে থাকে, তাহলে ২ বছর পর্যন্ত মামলা দায়ের করে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে।”
মাগুরা জেলা তথ্য অফিসের অফিস সহকারী মোক্তার আলী জানান, এই মাল্টিমিডিয়া ক্যাম্পেইনের জন্য সরকারি বরাদ্দ ছিল ৩০ হাজার টাকা, যার মধ্যে ২০ হাজার টাকা স্টেকহোল্ডারদের সম্মানি ভাতা, ৬০০ টাকা ঝাড়ুদার ও অফিস সহায়কের জন্য, ১ হাজার টাকা ব্যানার এবং ১৫০০ টাকা খাবার ও নাস্তা বাবদ ব্যয় করা হয়েছে। বাকি ৬ হাজার ৯ শত টাকা সরকারি ভ্যাট হিসেবে কাটা হবে।
আরও পড়ুনঃ বাগাতিপাড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
তথ্য অফিসের মুক্তার হোসেন বলেন, “আপনারা সবাই ভালো সম্পর্ক রাখবেন, বিশেষ করে তথ্য অফিসের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন, কারণ পরে কাজে আসবে।”
প্রিন্ট