কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পদ্মা নদীতে নিখোঁজ দুই পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত কর্মকর্তা এএসআই সদরুল আলমের লাশ ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। অপর কর্মকর্তা এএসআই মুকুল হোসেনের লাশের সন্ধান এখনো মেলেনি। তাঁর সন্ধানে খুলনা থেকে সাতজন ডুবুরি নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
গতকাল সোমবার ভোর চারটার দিকে উপজেলার বেড় কালোয়া এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় নৌকা থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিখোঁজ হন। তারা কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে আসামি ধরতে যাওয়ার সময় স্থানীয় জেলেদের হামলার শিকার হন।
হামলায় আহত হয়েছেন কয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার কাজে অংশ নেন। এ সময় এসআই নজরুল ইসলাম মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন।
স্থানীয়রা জানান, পুলিশ সদস্যরা সাদাপোশাকে ছিলেন এবং ইউপি সদস্যদের সহায়তায় মাছ লুট করার চেষ্টা করেন। হামলার পর যেভাবে পুলিশ সদস্যরা নদীতে পড়েন, তাতে এলাকায় ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, পুলিশ কেন সিভিল পোশাকে ও অস্ত্র ছাড়াই অভিযানে গিয়েছিল।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নিজামুল হক বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, অপারেশন ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথকে ফোন দিলে তিনিও ফোনের লাইন কেটে দিয়ে বলেন পরে কথা বলবেন।
প্রিন্ট