জমাজমি নিয়ে বিরোধের জেরে জরিনা বেগম (৫৭) নামের এক নারী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত জরিনাকে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত হাসিব খালাসী তার পিতা ভুলু খালাশীসহ একই পরিবারের পাঁচ জনের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে আলফাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জরিনা।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার ফলিয়া গ্রামের ভুলু খালাশীর সাথে জরিনা বেগমের জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসচ্ছে। শনিবার বিকেলে অভিযুক্তরা জরিনার বাড়ির ওপর আসিয়া অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। গালাগাল করতে নিষেধ করলে ভুলু খালাশীর নেতৃত্বে জরিনার ওপর হামলা চালানো হয়। এ হামলায় জরিনা আহত হয়। তাদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা স্থান ত্যাগ করে। পরিবারের লোকজন জরিনাকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
জরিনা বেগমের ভাষ্য, প্রতিবেশি ভুলু খালাশী তাদের পরিবারের লোকজন দুই মাস পূর্বে তাঁর গোয়াল ঘরে পরিকল্পিত ভাবে আগুন দেয়, সে আগুনে একটি গরু পুড়িয়া যায় ও একটি ছাগল মারা যায়। ১০ শতাংশ জমির জন্য জরিনাকে দুই বার মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জরিনা।
ভুলু খালাশীর মোবাইলে ফোন দিলে তাঁর স্ত্রী জেসমিন বেগম বলেন, তারা হামলার ঘটনার সাথে জড়িত না, জরিনা ওই দিন তাঁর স্বামীর সাথে গোন্ডগোল করেছে। ওই ঘটনায় সে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিছে। আমার ছেলে হাসিবতো বাড়িতেই ছিলনা।
আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট