ফরিদপুরের সালথায় মিলাদ পড়া নিয়ে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় আহত মো. ইদ্রিস কারিকর (৬০) নামে এক বৃদ্ধর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ইদ্রিস উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের যদুনন্দী গ্রামে মৃত গেন্দু কারিকরের ছেলে।
এদিকে ইদ্রিসের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর মঙ্গলবার সকালে তার প্রতিপক্ষের সমর্থক মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিন শেখের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তিনটি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এছাড়াও প্রতিপক্ষের বিভিন্ন বাড়ি থেকে গরু ছাগল লুটপাট করে। এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনা নিয়ে নতুন করে সহিংসতার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (৪ জুন) জুম্মার নামাজের সময় যদুনন্দী গ্রামে একটি মসজিদের ভিতর মিলাদ “দাঁড়িয়ে না বসে পড়া” নিয়ে ইদ্রিসের সাথে প্রতিবেশি ইমান আলীর ছেলে আফজাল ও লিপনের বাকবিতন্ঢা হয়। একপর্যায় সেখানে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় হামলায় গুরুতর আহত হয় ইদ্রিস। পরে তাকে স্থানীরা উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সোমবার বিকালে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ইদ্রিস আর আফজাল-লিপন সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। আহত ইদ্রিসের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, আহত ইদ্রিসের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ওই এলাকায় প্রবেশের আগে একটি বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। আমি ওই বাড়িটি দেখে এসেছি। নিহতের লাশ ঢাকা থেকে এখনও আনা হয়নি।
প্রিন্ট