সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা ঘিরে নাটোরের সিংড়ায় বেড়েছে নারিকেল বিক্রি। পূজা উৎসবে অতিথি আপ্যায়নের খাদ্য তালিকায় অন্যতম প্রধান মুখরোচক খাবার হচ্ছে নারকেলের নাড়ু। এছাড়া নারিকেল দিয়ে পায়েসসহ তৈরি করা হয় নানা স্বাদের খাবার। কাজেই পূজা উৎসবে নারিকেলের জুড়ি নেই। তাই পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কদর বাড়ছে নারকেলের। ক্রেতারা ছুটছেন দোকানে, দরদাম করে কিনছেন নারকেল। নারকেলের পাশাপাশি কেনা বেচায় কদর বেড়েছে গুড়ের দোকানেও।
সরেজমিনে সিংড়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, নানা সাইজের নারকেলের পসরা সাজিয়ে বসেছে ১৫ থেকে ২০টি দোকান। দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেশি। পুরুষ ক্রেতার পাশাপাশি আছেন নারী ক্রেতারা। এসব দোকানে ছোট আকারের নারিকেল প্রতি জোড়া ১৬০ টাকা, মাঝারি সাইজের প্রতি জোড়া ২০০ টাকা এবং বড় সাইজের নারিকেল প্রতি জোড়া ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার ছোট বাঁশবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকমল সরকার জানান, নারকেল ছাড়া পূজার কথা ভাবাই যায় না। তিন জোড়া নারকেল কিনলাম। গতবারের চেয়ে দাম অনেক বেশি। গত বছর যে নারকেল ১ জোড়ার দাম ছিল ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা এ বছর সেই নারিকেলের দাম ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। বছরের ব্যবধানে প্রতি জোড়া নারকেলের দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
নারকেল ব্যবসায়ী শাহিন আলম ও জামাল উদ্দিন জানান, সারা বছর কমবেশি বেচা কেনা হলেও পূজা উপলক্ষে বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি।
তারা আরও জানান, ডাবের দাম বেড়ে যাওয়ায় মোকাম থেকে বাড়তি দামে নারকেল কিনতে হয়েছে আমাদের। দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদাও কিছুটা কমেছে। পূজা মৌসুমে যারা ১০ জোড়া নারকেল কিনতো এখন তারা কিনছেন ৫ জোড়া।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, তাপস সরকার জানান, এ বছর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ৮১টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা পার্বণে মিষ্টি ও মিষ্টান্ন খাবার বেশি তৈরি হয়। সে কারণে নারকেল ও গুঁড় হচ্ছে পূজার অন্যতম উপকরণ। এছাড়া অতিথি অপ্যায়নেও নারিকেলের তৈরি নাড়ুর কদর অনেক বেশি থাকে।
প্রিন্ট