বছর ঘুরে আবার বাঙালী হিন্দুদের দৌড় গোড়ায় চলে এসেছে শারদীয় দূর্গোৎসব। প্রত্যেকটা হিন্দু পরিবার স্বাধীন ভাবে আনন্দ উল্লাসের মধ্যদিয়ে শারদীয় দূর্গোৎসব পালন করবেন।
এর মধ্যে বোয়ালমারীতে ১১৯টা মন্ডপে দূর্গাদেবী চলে এসেছে। রংতুলির কাজ শেষ পারানো হয়েছে শাড়ী ও গহনা। সাজানো হয়েছে গেট ও প্যান্ডেল। তবে এবার তেমন জাঁকজমক পূর্ণ হবেনা বলে জানান বোয়ালমারী পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি শ্যামল সাহা।এখনো বোয়ালমারীতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রশাসন কড়া নিরাপত্তা না দিলে ভীতসন্ত্রস্ত থাকবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এর পরেও বাঙালী হিন্দুদের ঘরে ঘরে প্রস্তুতি চলছে নানা রকমের আয়োজন নিয়ে।পূজা দেখতে আসা অতিথির আপ্যায়নের জন্য, চিড়া, মুড়ি, লুচি, ও বিশেষায়িত খাবারের তালিকায় আকর্ষনীয় লোভনীয় খাবার নারকেলের নাড়ু তৈরী করছেন হিন্দু পরিবার গুলো।
গত বুধবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) দেবীর বোধন। বুধবার (০৯ অক্টোবর) দুর্গা দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও বিহিতপূজা হবে। বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত।
হিন্দু সম্প্রদায়ের মতে দেবী দূর্গা সাধারণত গজ, ঘোটক, নৌকা এবং দোলা, এই চার প্রকার বাহনে আগমন এবং গমন করেন। পঞ্জিকা অনুযায়ী দেবী এবার দোলায় (পালকীতে) আগমন করবে এবং ঘোটকে (ঘোড়া) গমন করবেন বলে জানা যায়।
বোয়ালমারী পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি শ্যামল সাহা জানান, এবার ১১৯ টি পূজা মন্ডপে পূজাঅর্চনা করা হবে। গতবার ১২৫ টির মধ্যে ১২২টি মন্ডপে পূজাঅর্চনা করা হয়। দেশের বর্তমান অবস্থা সংকটাপন্নের কারণে আর্থিক দিক বিবেচনা করে পূজা উৎযাপন করা হবে। সব পূজা মন্ডপের কমিটিকে বলা হয়েছে উচ্চ শব্দে ডিজে গান বাজানা বাজানো যাবে না। ভাবগাম্ভীর্য ধর্মীয় গান গুলো বাজাবেন। তবে আযানের সময় মাইক, বক্স সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম রসুল বলেন, শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে পুলিশ সর্বদা সতর্ক অবস্থায় আছে। প্রতিদিন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করা হচ্ছে। যেন কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এ জন্য পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
- আরও পড়ুনঃ আবরার ফাহাদ: নৃশংসতার পাঁচ বছর
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিটা মন্দিরে ৫০০ কেজি চাল বিতরণ করা হয়েছে। মন্দির গুলোয় পূজা অর্চনা ভক্তকুল নিরাপদে নির্বিঘ্নে তাদের আরাধনা করতে পারে এজন্য প্রতিটা মন্দিরে ৪ জন করে আনসার বাহিনী সর্বদা নিয়োজিত থাকবে। সেই সাথে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী টহলরত অবস্থায় থাকবে। প্রতিটা ইউনিয়নের মন্দির গুলোর জন্য একজন করে ট্যাগ অফিসার থাকবে। টিম মনিটর অফিসার তিন ইউনিয়ন মিলে একজন দায়ীত্বে থাকবে। সেই সাথে টিম ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য আমি এবং আমার এ্যাসিল্যান্ড থাকবো। ইতি মধ্যে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সতর্কতা মূলক মিটিং করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্কতার সাথে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
প্রিন্ট