মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোরের চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেছেন, “শিক্ষক হলো জাতি গড়ার কারিগর। আমরা যেমন আমাদের সন্তানকে গড়ে তুলি, তেমনি সকল ছাত্রকে গড়ে তুলতে হবে। ভোগের চেয়ে ত্যাগের আনন্দ বেশি। গরীব মেধাবী ছাত্রদের সহযোগিতা করতে পারলে আমরা একটি সুন্দর সমাজ নির্মাণে সক্ষম হব। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেটের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে শিক্ষকদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের মানবিক ও দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।”
তিনি শনিবার, ৫ অক্টোবর, যশোর জিলা স্কুল অডিটরিয়ামে বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৪ উপলক্ষে শিক্ষা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বিশ্বের সকল শিক্ষকের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ যশোরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান, জিলা স্কুল যশোরের প্রধান শিক্ষক শোয়াইব হোসেন, বাঁচতে শেখার নির্বাহী পরিচালক অ্যাঞ্জেলা গোমেজ এবং নবকিশলয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক লায়লা শিরিন সুলতানা। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান।
এ অনুষ্ঠানে সম্মাননা স্মারক ও পদক প্রদান করা হয় দেশের বিভিন্ন জেলার ৮ জন শিক্ষক ও গুণীজনকে। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন:
- ড. সাধন কুমার বিশ্বাস, অবসরপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর
- শরিফুজ্জামান, প্রতিষ্ঠাতা, যশোর পালবাড়ীর মুন্সী মেহেরুল্লাহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ
- প্রফেসর সরোয়ার উদ্দিন, সরকারি সাদত কলেজ, টাঙ্গাইল
- রেজাউল ইসলাম, সাবেক প্রধান শিক্ষক, মাগুরা সদরের তিতার খাঁপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- বিল্লাল হোসেন, প্রধান শিক্ষক, নারায়ণগঞ্জের হাজী রফিজুদ্দিন ভূঁইয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- আবুল কালাম আজাদ, সহ-শিক্ষক, নোয়াখালী সূবর্ণচর পূর্বচরবাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
- মো. ইরফান খান, সহকারী শিক্ষক, যশোর বিমানবন্দর হাইস্কুল
- এস. এ সাগর, সমাজসেবক, মাগুরা
প্রিন্ট