ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দুর্নীতিবাজ-মাফিয়াদের রাজনীতি চাই না”— ঝালকাঠিতে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ঘোষণা Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছেলের বউকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেফতার Logo ভূরুঙ্গামারীতে ট্রাক-অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের শিশুসহ নিহত ২, আহত ৩ Logo ফরিদপুরে সাধারণ জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  Logo মুকসুদপুরে গৌতম হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন Logo তানোরে আলুর বস্তার ভাড়া ১২ টাকা ! Logo দিনাজপুর জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং রাজ ২৪৫ ফুলবাড়ী থানা উপ কমিটির পরিচিতি ও সংবর্ধনা Logo কুষ্টিয়া ছাগলের ঘাঁস কাঁটতে গিয়ে নরসুন্দরের রহস্যজনক মৃত্যু Logo ইবিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo ফুলবাড়ীতে কাজিহাল ইউনিয়নের কয়েকটি হাট পরিদর্শন করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

আবারো সমকাল পত্রিকার ধারাবাহিক মিথ্যাচারের শিকার ড. হাছান মাহমুদ

উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ, জাতীয় পত্রিকা “দৈনিক সমকাল” এর  ধারাবাহিক মিথ্যাচারের শিকার হয়েই যাচ্ছেন। ৪ অক্টোবর আবারো ড. হাছান মাহমুদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মনগড়া, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেছে পত্রিকাটি।

 

সংবাদটি পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ৫ আগস্টের পরে পত্রিকাটিতে হাছান মাহমুদ এর নামে যে সকল গালগপ্পো ও মিথ্যা তথ্য সংবলিত সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছিল, সে সংবাদগুলোই আবারো নতুনভাবে ছেপেছে। এতেই বোঝা যায়, হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হওয়ার কারণেই বিশেষ মহলের প্ররোচনায় সমকাল পত্রিকায় এ ধরনের “ধারাবাহিক” মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে।দুঃখজনক হলেও সত্যি হাছান মাহমুদ প্রতিবারই এ সব মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদ জানালেও সংশ্লিষ্ট পত্রিকাটি তা ছাপায় নি।

 

সংবাদে রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালীতে ১৬ একর জায়গার উপরে যে বাংলোর কথা বলা হয়েছে তা অত্যন্ত মিথ্যা ও হাস্যকরও বটে। আদতে ৩ কাঠা জায়গার উপরে একটি নির্মাণাধীন অবকাঠামোকে বাংলো বলে সঙ্গে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। যা ৫ আগস্টের পরে দুবৃত্তরা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। সংবাদে হাছান মাহমুদ এর গ্রামের বাড়ি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে এটি নাকি বিদেশি ফিটিংস দিয়ে তৈরী ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার নাম “সুখবিলাস”। প্রকৃতপক্ষে “সুখবিলাস” হচ্ছে পদুয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম। রিপোর্টার না জেনে/উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই এটি উল্লেখ করেছেন। হাছান মাহমুদ এর মরহুম পিতা এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার চট্টগ্রামের একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও পিপি ছিলেন। সুখবিলাস গ্রামের বাড়িটি তার নিজ হাতে গড়া। সেখানে বিন্দু মাাত্র বিদেশী ফিতিংস নাই। সমকালের রিপোর্টার হাছান মাহমুদ এর চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া এবং গ্রামে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত বাড়িকে তার নিজের(হাছান মাহমুদ এর নামে) বলে সংবাদে উল্লেখ করেছেন। এমনকি শ্বশুর বাড়ির সন্পত্তিকেও তার বলার চেষ্টা করেছে। এছাড়াও হাছান মাহমুদ তার ট্যাক্স রিটার্ন এবং নির্বাচনী হলফনামায় তার আয়-ব্যয়, সহায়-সহায়-সম্পত্তির সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যাখা ইতিপূর্বে অনেকবারই প্রদান করেছেন।

 

সমকালে পত্রিকায়, “বিদেশে(দুবাই, বেলজিয়াম) হাছান মাহমুদের অঢেল সম্পত্তি আছে” উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সমকাল এর আগেও এ ধরনের গালগপ্পো ছাপিয়েছিল। যার প্রতিবাদে হাছান মাহমুদ চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলেন বিদেশে তার এক(০১) টাকারও সম্পত্তি নেই এবং কেউ প্রমাণও করতে পারবে না। কিন্তু সমকাল তখনও সে প্রতিবাদটি না ছাপিয়ে আবারো একই প্রসঙ্গ নিয়ে মিথ্যাচার করেছে।

 

এছাড়া হাছান মাহমুদ ও তার ভাইদের জড়িয়ে বলা হয়েছে, তারা রাঙ্গুনিয়ার শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উন্নয়ন মূলক কাজ, বালু উত্তোলন ইত্যাদিতে হস্তক্ষেপ এবং প্রভাব খাটাতো। প্রকৃতপক্ষে হাছান মাহমুদ ২০০৮ সালে রাঙ্গুনিয়ার সংসদ সদস্য হওয়ার পরেই রাঙ্গুনিয়ার যত অব-কাঠামোগতগত উন্নয়ন হয়েছে স্বাধীনতার পরে বিগত অন্যান্য সময়ে এতো উন্নয়ন হয়নি। হাছান মাহমুদ এর আমলেই চট্টগ্রামের যে উপজেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত ব্যবস্থা অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছিল তা হচ্ছে রাঙ্গুনিয়া।

 

রাঙ্গুনিয়ার সকল সরকারি কাজ নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দলীয় প্রভাব মুক্ত ভাবেই হয়েছে। হাছান মাহমুদ কিংবা তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ কখনোই এসব সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ করেনি। সমকাল পত্রিকায় যে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত সংবাদটি প্রচার করা হয়েছে আমি/আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সমকালের এই মিথ্যাচর জঘন্য অপরাধের সামিল।

 

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এর নামে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা, উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ও বিভ্রান্তুমূলক সংবাদ পরিবেশন করে জাতীয় পত্রিকা সমকাল কোন বিশেষ মহলের স্বার্থ রক্ষা করছে?

(মোহাম্মদ হাসান মাহমুদের ফেসবুক থেকে নেয়া)


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতিবাজ-মাফিয়াদের রাজনীতি চাই না”— ঝালকাঠিতে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ঘোষণা

error: Content is protected !!

আবারো সমকাল পত্রিকার ধারাবাহিক মিথ্যাচারের শিকার ড. হাছান মাহমুদ

আপডেট টাইম : ০৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
সময়ের প্রত্যাশা অনলাইন ডেস্ক :

উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ, জাতীয় পত্রিকা “দৈনিক সমকাল” এর  ধারাবাহিক মিথ্যাচারের শিকার হয়েই যাচ্ছেন। ৪ অক্টোবর আবারো ড. হাছান মাহমুদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মনগড়া, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেছে পত্রিকাটি।

 

সংবাদটি পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ৫ আগস্টের পরে পত্রিকাটিতে হাছান মাহমুদ এর নামে যে সকল গালগপ্পো ও মিথ্যা তথ্য সংবলিত সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছিল, সে সংবাদগুলোই আবারো নতুনভাবে ছেপেছে। এতেই বোঝা যায়, হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হওয়ার কারণেই বিশেষ মহলের প্ররোচনায় সমকাল পত্রিকায় এ ধরনের “ধারাবাহিক” মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে।দুঃখজনক হলেও সত্যি হাছান মাহমুদ প্রতিবারই এ সব মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদ জানালেও সংশ্লিষ্ট পত্রিকাটি তা ছাপায় নি।

 

সংবাদে রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালীতে ১৬ একর জায়গার উপরে যে বাংলোর কথা বলা হয়েছে তা অত্যন্ত মিথ্যা ও হাস্যকরও বটে। আদতে ৩ কাঠা জায়গার উপরে একটি নির্মাণাধীন অবকাঠামোকে বাংলো বলে সঙ্গে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। যা ৫ আগস্টের পরে দুবৃত্তরা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। সংবাদে হাছান মাহমুদ এর গ্রামের বাড়ি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে এটি নাকি বিদেশি ফিটিংস দিয়ে তৈরী ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার নাম “সুখবিলাস”। প্রকৃতপক্ষে “সুখবিলাস” হচ্ছে পদুয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম। রিপোর্টার না জেনে/উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই এটি উল্লেখ করেছেন। হাছান মাহমুদ এর মরহুম পিতা এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার চট্টগ্রামের একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও পিপি ছিলেন। সুখবিলাস গ্রামের বাড়িটি তার নিজ হাতে গড়া। সেখানে বিন্দু মাাত্র বিদেশী ফিতিংস নাই। সমকালের রিপোর্টার হাছান মাহমুদ এর চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া এবং গ্রামে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত বাড়িকে তার নিজের(হাছান মাহমুদ এর নামে) বলে সংবাদে উল্লেখ করেছেন। এমনকি শ্বশুর বাড়ির সন্পত্তিকেও তার বলার চেষ্টা করেছে। এছাড়াও হাছান মাহমুদ তার ট্যাক্স রিটার্ন এবং নির্বাচনী হলফনামায় তার আয়-ব্যয়, সহায়-সহায়-সম্পত্তির সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যাখা ইতিপূর্বে অনেকবারই প্রদান করেছেন।

 

সমকালে পত্রিকায়, “বিদেশে(দুবাই, বেলজিয়াম) হাছান মাহমুদের অঢেল সম্পত্তি আছে” উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সমকাল এর আগেও এ ধরনের গালগপ্পো ছাপিয়েছিল। যার প্রতিবাদে হাছান মাহমুদ চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলেন বিদেশে তার এক(০১) টাকারও সম্পত্তি নেই এবং কেউ প্রমাণও করতে পারবে না। কিন্তু সমকাল তখনও সে প্রতিবাদটি না ছাপিয়ে আবারো একই প্রসঙ্গ নিয়ে মিথ্যাচার করেছে।

 

এছাড়া হাছান মাহমুদ ও তার ভাইদের জড়িয়ে বলা হয়েছে, তারা রাঙ্গুনিয়ার শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উন্নয়ন মূলক কাজ, বালু উত্তোলন ইত্যাদিতে হস্তক্ষেপ এবং প্রভাব খাটাতো। প্রকৃতপক্ষে হাছান মাহমুদ ২০০৮ সালে রাঙ্গুনিয়ার সংসদ সদস্য হওয়ার পরেই রাঙ্গুনিয়ার যত অব-কাঠামোগতগত উন্নয়ন হয়েছে স্বাধীনতার পরে বিগত অন্যান্য সময়ে এতো উন্নয়ন হয়নি। হাছান মাহমুদ এর আমলেই চট্টগ্রামের যে উপজেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত ব্যবস্থা অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছিল তা হচ্ছে রাঙ্গুনিয়া।

 

রাঙ্গুনিয়ার সকল সরকারি কাজ নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দলীয় প্রভাব মুক্ত ভাবেই হয়েছে। হাছান মাহমুদ কিংবা তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ কখনোই এসব সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ করেনি। সমকাল পত্রিকায় যে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত সংবাদটি প্রচার করা হয়েছে আমি/আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সমকালের এই মিথ্যাচর জঘন্য অপরাধের সামিল।

 

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এর নামে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা, উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ও বিভ্রান্তুমূলক সংবাদ পরিবেশন করে জাতীয় পত্রিকা সমকাল কোন বিশেষ মহলের স্বার্থ রক্ষা করছে?

(মোহাম্মদ হাসান মাহমুদের ফেসবুক থেকে নেয়া)


প্রিন্ট