ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় Logo কুষ্টিয়ায় হত্যাসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল Logo ডিভোর্সী নারীকে বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বঃ যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত Logo পাংশায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র-গুলিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাবুল সরদার গ্রেফতার Logo শালিখায় বি.এন.পি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  Logo মহম্মদপুরে শিক্ষক প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo বাগাতিপাড়ায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা Logo UK parliamentarians engage in dialogue for a truth and reconciliation for Bangladesh’s future Logo শান্তিতে নোবেলজয়ীর ব্যর্থতায় দেশে সহিংসতা বাড়ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo এসএসসি ফলাফলে খুশি নয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পদ্মার চরে ভাঙন-পানিবন্দী ১০০ পরিবার পেল চাল

পদ্মার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি রাজশাহী বাঘার পদ্মার চরের চকরাজাপুর ইউনিয়নের পানিবন্দী লোকজনের। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা পানিবন্দী ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে চাল বিতরণ করেছেন বলে জানা গেছে। উপজেলার আতারপাড়া, চৌমাদিয়া, দিয়াড়কাদিরপুর গ্রামে পানিবন্দী ও ভাঙনে বসতভিটা হারানো ১০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।

 

ভুক্তভূগিরা জানান, রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) তাদের ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। তাদের ভাষ্য, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

 

চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ডিএম বাবুল মনোয়ার জানান, তার ইউনিয়নটি যোগাযোগ বিছিন্ন চরাঞ্চলে অবস্থিত। অব্যাহত বৃষ্টি ও বণ্যার কারণে কালিদাশখালি, মানিকের চর,পলাশিফতেপুর, নীচ পলাশি, উদপুর,লক্ষীনগর, দিয়াড়কাদিরপুর, চৌমাদিয়া, আতারপাড়া গ্রামসহ ১০টি গ্রামের সাড়ে ৩হাজার পরিবারের মধ্যে অন্তত ১ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তার দাবি, অন্তত দেড় শতাধিক পরিবার
ভাঙনের কবলে পড়েছে। বণ্যায় তলিয়ে গেছে আগাম চাষ করা সবজি ক্ষেত। চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও বাজার সহ কয়েকটি বিদ্যালয়ের চারিদিকে পানি জমেছে। পদ্মার পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। এতে ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। বেড়েছে সাপের উপদ্রব। চূলা জ্বালাতে না পেরে অনেককেই আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে রান্না করা খাবার নিয়ে খাচ্ছেন।

আতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, ভাঙনের কবলে পড়া আতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ মসজিদের অস্থাবর জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছেন আতারপাড়ার হাবু মোল্লা, মসলেম খা, বাবলু হালদার, চৌমাদিয়ার আনজিরা বেওয়া, কাদির গাজি, ফারুক ব্যাপারিসহ অর্ধশতাধিক মানুষ। সপ্তাহের ব্যবধানে পদ্মা গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাদের বসত ভিটা।

 

দিয়াড়কাদিরপুর গ্রামের সাবিরুল ইসলাম জানান, বাড়ি ঘরে পানি ঢুকায়, ছাগল ও গরু নিয়ে বিপদে পড়েছেন। এলাকায় কোন কাজ নেই। সংসার চালাচ্ছেন মাছ ধরে, মাছ বিক্রির টাকা দিয়ে।

চৌমাদিয়ায় ওয়ার্ডের মেম্বর আবদুর রহমান দর্জি বলেন, সরকারিভাবে কিছু সহযোগিতা করা হয়েছে। ইউপি সদস্য, কালিদাশখালি গ্রামের বাসিন্দা সহিদুল ইসলাম জানান, পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙনে ও পানিবন্দী লোকজনের তালিকা করে তাদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জানান, উপজেলায় সবজি চাষ হয়েছে ৪৮৫ হেক্টর। চরে চাষ হয়েছে ৪৫ হেক্টর। আকষ্মিক বণ্যা আর নিম্নচাপের কারণে নীচু এলাকায় আগাম চাষ করা সবজি ক্ষেত ও গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ ক্ষেত, পেঁপে বাগান নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময়

error: Content is protected !!

পদ্মার চরে ভাঙন-পানিবন্দী ১০০ পরিবার পেল চাল

আপডেট টাইম : ০৪:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

পদ্মার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি রাজশাহী বাঘার পদ্মার চরের চকরাজাপুর ইউনিয়নের পানিবন্দী লোকজনের। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা পানিবন্দী ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে চাল বিতরণ করেছেন বলে জানা গেছে। উপজেলার আতারপাড়া, চৌমাদিয়া, দিয়াড়কাদিরপুর গ্রামে পানিবন্দী ও ভাঙনে বসতভিটা হারানো ১০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।

 

ভুক্তভূগিরা জানান, রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) তাদের ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। তাদের ভাষ্য, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

 

চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ডিএম বাবুল মনোয়ার জানান, তার ইউনিয়নটি যোগাযোগ বিছিন্ন চরাঞ্চলে অবস্থিত। অব্যাহত বৃষ্টি ও বণ্যার কারণে কালিদাশখালি, মানিকের চর,পলাশিফতেপুর, নীচ পলাশি, উদপুর,লক্ষীনগর, দিয়াড়কাদিরপুর, চৌমাদিয়া, আতারপাড়া গ্রামসহ ১০টি গ্রামের সাড়ে ৩হাজার পরিবারের মধ্যে অন্তত ১ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তার দাবি, অন্তত দেড় শতাধিক পরিবার
ভাঙনের কবলে পড়েছে। বণ্যায় তলিয়ে গেছে আগাম চাষ করা সবজি ক্ষেত। চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও বাজার সহ কয়েকটি বিদ্যালয়ের চারিদিকে পানি জমেছে। পদ্মার পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। এতে ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। বেড়েছে সাপের উপদ্রব। চূলা জ্বালাতে না পেরে অনেককেই আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে রান্না করা খাবার নিয়ে খাচ্ছেন।

আতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, ভাঙনের কবলে পড়া আতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ মসজিদের অস্থাবর জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছেন আতারপাড়ার হাবু মোল্লা, মসলেম খা, বাবলু হালদার, চৌমাদিয়ার আনজিরা বেওয়া, কাদির গাজি, ফারুক ব্যাপারিসহ অর্ধশতাধিক মানুষ। সপ্তাহের ব্যবধানে পদ্মা গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাদের বসত ভিটা।

 

দিয়াড়কাদিরপুর গ্রামের সাবিরুল ইসলাম জানান, বাড়ি ঘরে পানি ঢুকায়, ছাগল ও গরু নিয়ে বিপদে পড়েছেন। এলাকায় কোন কাজ নেই। সংসার চালাচ্ছেন মাছ ধরে, মাছ বিক্রির টাকা দিয়ে।

চৌমাদিয়ায় ওয়ার্ডের মেম্বর আবদুর রহমান দর্জি বলেন, সরকারিভাবে কিছু সহযোগিতা করা হয়েছে। ইউপি সদস্য, কালিদাশখালি গ্রামের বাসিন্দা সহিদুল ইসলাম জানান, পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙনে ও পানিবন্দী লোকজনের তালিকা করে তাদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জানান, উপজেলায় সবজি চাষ হয়েছে ৪৮৫ হেক্টর। চরে চাষ হয়েছে ৪৫ হেক্টর। আকষ্মিক বণ্যা আর নিম্নচাপের কারণে নীচু এলাকায় আগাম চাষ করা সবজি ক্ষেত ও গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ ক্ষেত, পেঁপে বাগান নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে।


প্রিন্ট