হাতিয়ায় চাঁদা আদায়ের সময় গণপিটুনি দিয়ে আলা উদ্দিন ডাকাত নামে একজনকে আটক করে চরের বাথানীরা। পরে তাকে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও চারটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে ডাকাত আলা উদ্দিনকে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এর আগে বুধবার বিকেলে তাকে সুখচর ইউনিয়ন সংলগ্ন জাগলার চর থেকে চাঁদা আদায়ের সময় স্থানীয় বাথানীরা আটক করে। আলা উদ্দিন (২৮) উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের মহি উদ্দিনের ছেলে।
হাতিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২টি, হাতিয়া থানায় ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৬টি মামলা রয়েছে। এ সকল মামলায় সে কয়েকবার জেলও খেটেছে।
জানা যায়, আলা উদ্দিন দীর্ঘ অনেক বছর ধরে ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষোভ ছিলো, সে অনেকগুলো মামলার আসামী হয়ে এলাকার বাহিরে অবস্থান করতো। মাঝে মধ্যে এলাকায় এসে মানুষের গরু-মহিষ ভেড়া নিয়ে চলে যেতো। ক্ষমতার পরিবর্তনের পর এলাকার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সে আবারো এলাকায় এসে ডাকাতি এবং চাঁদাবাজী শুরু করে। ঘটনার দিন জাগলার চরে বাথানীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করার সময় সকল বথানী একত্রিত হয়ে তাকে গণপিটুনি দেয়। পরে নৌবাহিনী খবর পেয়ে তাকে অস্ত্র সহ আটক করে নিয়ে থানায় নিয়ে আসে।
নৌবাহিনী জানায়, একজন ডাকাতকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে এমন খবর পেয়ে সুখচর ইউনিয়ন থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। পরে নৌবাহিনীর নিজস্ব মেডিকেল অফিসারের মাধ্যমে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। হাতিয়ায় চুরি-ডাকাতির প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌবাহিনী বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে আসছে। সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষা এবং শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নৌবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এবিষয়ে হাতিয়া থানা অফিসার ইনসার্জ জিসান আহমেদ বলেন, ডাকাত আলা উদ্দিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে। গণপিটুনিতে আহত হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রিন্ট