গত ৫ আগস্ট কুষ্টিয়ায় মডেল থানা থেকে লুট হয়ে যাওয়া ৩৭টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমান গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করা ৩৭টি বিভিন্ন অস্ত্র ও গোলাবারুদ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানান দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন লামইয়ানুল ইসলাম।
তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করতে অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম চলবে। এসময় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম জুবায়ের হোসেন, কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরীসহ অন্যান্য পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়ার দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন লাম ইয়ানুল আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর কুষ্টিয়া সদর মডেল থানাসহ বেশ কয়েকটি থানায় হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতকারীরা।
এ সময় থানায় থাকা বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়। পরে এসব অস্ত্র উদ্ধারে মাঠে নামেন সেনা সদস্যরা। বলা হয় স্বেচ্ছায় আস্ত্র দিয়ে গেলে কাউকে কিছু বলা হবে না। আর অভিযানে যার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার হবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর অনেকে স্বেচ্ছায় সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়েছে। ধারাবাহিক অভিযানে পিস্তল, শটগান, ওয়ালথার, পিস্তল ম্যাগাজিন, পিস্তল বক্স, এসএমজি ম্যাগাজিন, শটগানের গুলি, বল অ্যামো, পুলিশের রায়ট সরঞ্জামসহ বিভিন্ন রকমের ৩৭টি অস্ত্র সস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এগুলো পুলিশের কাছে ফেরত দেওয়া হলো। এর পরও অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে।
এ সময় জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. তারেক জুবায়ের অস্ত্র গোলাবারুদ বুঝে নেন। তিনি বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর আহ্বান কাজে দিচ্ছে। তবে আর কি পরিমাণ অস্ত্র মিসিং রয়েছে তা মিলিয়ে দেখে জানানো হবে।
প্রিন্ট