ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিএনপি’র ৩১ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ Logo কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে ওয়ান শুটারগান উদ্ধার Logo লালপুরে ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন Logo মধুখালীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিন মাদক কারবারী আটক,মাদক ধ্বংস Logo নাটোরে ১২ বছরের শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo ফরিদপুরে মধুমতী চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে এক যাত্রী আহত Logo বেনাপোলের পুটখালী ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা Logo বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের তীব্রতা, নিঃশ্ব মধুমতি পাড়ের শতশত পরিবার Logo জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ : সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কৃষকের মামলা Logo গ্রাম আদালতের মাসিক জেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কাফনের কাপড় পরে কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও

ইসমাইল হোসেন বাবুঃ

কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও করে দলের একাংশের নেতাকর্মীরা কাফনের কাপড় পরে কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও করে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেছেন দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা।

সদ্য অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে এই কর্মসূচি পালন করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজল মাজমাদার ও তার কর্মী-সমর্থকরা।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন জেলা বিএনপির কার্যালয় ঘিরে প্রবেশ পথের সামনে অবস্থান নেন দলটির কয়েকশত নেতাকর্মী।

এ সময় বেশ কয়েকজন কাফনের কাপড় পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় শুয়ে পড়েন এবং বিক্ষোভকারীরা কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে নানা স্লোগান দেন।

এ সময় বক্তব্যে ভোট কারচুপির জন্য জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকারকে দায়ী করেন তারা।

কর্মসূচির বিষয়ে কাজল মাজমাদার বলেন, জেলা বিএনপির নেতাদের ২৪ ঘণ্টা সময় দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে সমস্যার সমাধান না করলে আমরা হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

এর আগে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে গত রোববার (২৯ জুন) কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডে একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন কাজল মাজমাদার। সংবাদ সম্মেলন চলাকালে সেখানে খবর পৌঁছায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রাবাসের টয়লেটে সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী আখতারুজ্জামান ওরফে কাজল মাজমাদারের চেয়ার প্রতীকের সিলমারা বেশ কিছু ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুপুর থেকে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।

ওই সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী কাজল মাজমাদার বলেন, অনিয়ম ও ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি এবং পুনরায় নির্বাচনের দাবি করছি।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন,আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে শত ভাগ স্বচ্ছ নির্বাচন করেছি। এখানে কারচুপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। যেসব অভিযোগে তারা আন্দোলন করছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

শুক্রবার (২৭ জুন) কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিল শেষে ভোটে সভাপতি পদে একে বিশ্বাস বাবু ও সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল উদ্দিন বিজয়ী হন।

পরে কাজল মাজমাদার ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট পুনর্গণনার আহ্বান জানান। পর দিন শনিবার পুনর্গণনা শেষে চার ভোট বেড়ে কাজলের ভোটের সংখ্যা হয় ৫৯৯। জয়ী প্রার্থী বাবুর ভোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৬১১।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর কুতুব উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক এবং প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারকে সদস্য সচিব করে কেন্দ্র থেকে প্রথমে দুই সদস্যের জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। পরবর্তীতে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঘোষিত কমিটিতে অনেক ত্যাগী নেতা বাদ পড়ায় কমিটি ঘোষণার পরের দিন থেকে কমিটি বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে দলটির পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের একটি অংশ।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিএনপি’র ৩১ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ

error: Content is protected !!

কাফনের কাপড় পরে কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও

আপডেট টাইম : ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
ইসমাইল হােসেন বাবু, সিনিয়র ষ্টাফ রিপাের্টার :

ইসমাইল হোসেন বাবুঃ

কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও করে দলের একাংশের নেতাকর্মীরা কাফনের কাপড় পরে কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও করে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেছেন দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা।

সদ্য অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে এই কর্মসূচি পালন করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজল মাজমাদার ও তার কর্মী-সমর্থকরা।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন জেলা বিএনপির কার্যালয় ঘিরে প্রবেশ পথের সামনে অবস্থান নেন দলটির কয়েকশত নেতাকর্মী।

এ সময় বেশ কয়েকজন কাফনের কাপড় পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় শুয়ে পড়েন এবং বিক্ষোভকারীরা কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে নানা স্লোগান দেন।

এ সময় বক্তব্যে ভোট কারচুপির জন্য জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকারকে দায়ী করেন তারা।

কর্মসূচির বিষয়ে কাজল মাজমাদার বলেন, জেলা বিএনপির নেতাদের ২৪ ঘণ্টা সময় দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে সমস্যার সমাধান না করলে আমরা হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

এর আগে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে গত রোববার (২৯ জুন) কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডে একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন কাজল মাজমাদার। সংবাদ সম্মেলন চলাকালে সেখানে খবর পৌঁছায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রাবাসের টয়লেটে সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী আখতারুজ্জামান ওরফে কাজল মাজমাদারের চেয়ার প্রতীকের সিলমারা বেশ কিছু ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুপুর থেকে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।

ওই সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী কাজল মাজমাদার বলেন, অনিয়ম ও ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি এবং পুনরায় নির্বাচনের দাবি করছি।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন,আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে শত ভাগ স্বচ্ছ নির্বাচন করেছি। এখানে কারচুপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। যেসব অভিযোগে তারা আন্দোলন করছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

শুক্রবার (২৭ জুন) কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিল শেষে ভোটে সভাপতি পদে একে বিশ্বাস বাবু ও সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল উদ্দিন বিজয়ী হন।

পরে কাজল মাজমাদার ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট পুনর্গণনার আহ্বান জানান। পর দিন শনিবার পুনর্গণনা শেষে চার ভোট বেড়ে কাজলের ভোটের সংখ্যা হয় ৫৯৯। জয়ী প্রার্থী বাবুর ভোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৬১১।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর কুতুব উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক এবং প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারকে সদস্য সচিব করে কেন্দ্র থেকে প্রথমে দুই সদস্যের জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। পরবর্তীতে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঘোষিত কমিটিতে অনেক ত্যাগী নেতা বাদ পড়ায় কমিটি ঘোষণার পরের দিন থেকে কমিটি বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে দলটির পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের একটি অংশ।


প্রিন্ট