কোপেনহেগেনের একটি হলে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ ।গতকাল শোক সভায় বাবু সুভাষ ঘোষের সভাপতিত্বে এবং ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ নেতা লিংকন মোল্লার পরিচালনায় শোক সভার শুরুতেই কোরআন মজিদ থেকে তেলাওয়াত, সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত ,১৯৭৫ সালের ১৫আগষ্ট ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদের স্বরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বাংলাদেশ,বঙ্গবন্ধু,শেখ হাসিনা ও ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রত্যয়ে শপথ করেন উপস্হিত নেতৃবৃন্দ ও জনতা ।শপথ পড়ান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব জামান সায়েদ আলীম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,মোস্তফা মজুমদার বাচ্চু,মাহবুবুল হক,তাইফুর রহমান ভূইয়া,শাহাবউদ্দিন ভূইয়া,খোকন মজুমদার,মোহাম্মদ শহীদ,মাহবুবুর রহমান, সামি দাশ , সাব্বির আহমেদ,ইকবাল হোসেন মিঠু,নাঈম উদ্দিন খান,
হিল্লোল বড়ুয়া,বোরহান উদ্দিন,মনজুর আহমেদ লিমেন,শামীম খালাশী প্রমূখ নেতৃবৃন্দ ।
অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন,নিজাম উদ্দিন,জাহিদ চৌধুরী বাবু,ইউসুফ চপল,মোছাদেকুর রহমান রাসেল,মাহাবুব আলম,নাসরু হক,সফিকুল ইসলাম,রোমেল সোহাগ, রেজাউল করিম রাজু ,জামিল আক্তার কামরুল,ইফতেকার সম্রাট, আ ন ম আবদুল খালেক আরিফ,জামাল আহমেদ, মনিরুজজামান মিলু , ইফতেখার আহমমেদ ও আরও অনেকে।
শোক সভায় বক্তারা বলেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যা করা গেলেও তাঁর চেতনাকে হত্যা করা সম্ভব হয়নি। আজও তার আদর্শ দেশের মানুষ হৃদয়ে ধারণ করে।বঙ্গবন্ধু যেভাবে দেশের মানুষের জন্য ভেবেছেন, কাজ করেছেন; আমাদেরও সেভাবে দেশ ও মানুষের জন্য ভাবতে হবে, দেশের জন্য কাজ করতে হবে।
বক্তরা আরও বলেন,বঙ্গবন্ধু একটি অনুভূতির নাম। যা কখনোই মুছে ফেলা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর সাথে কারো তুলনা করাই চলে না।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এ অভিন্ন । বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশ অচল। তিনি চিন্তা করেছেন স্বাধীন দেশ গড়বেন, দারিদ্র্যমুক্ত করবেন; তা তিনি করে দেখিয়েছেন। তিনি খোকা থেকে মুজিবুর, মুজিব ভাই, বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা পর্যন্ত উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। তিনি কর্মী থেকে নেতা হয়েছে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ইতিহাসের সাথে বঙ্গবন্ধুর নাম জড়িত।
পশ্চিম পাকিস্তানি শাসন-শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি নিরলস সংগ্রাম করে গেছেন। এ সংগ্রামের পথ মোটেও সহজ ছিল না। সাধারণ মানুষের অধিকার আদায় করতে গিয়ে তাঁর স্বল্প জীবনের অধিকাংশ সময়ই কেটে গেছে জেলখানার অন্ধকারে। তবু মানুষের কথা তিনি ভোলেননি।
সংগ্রামের পথ থেকে তিনি সরে আসেননি। আপসহীন চিত্তে সারা জীবন উৎসর্গ করে গেছেন মানুষের জন্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বঙ্গবন্ধুর জীবনে জনগণই ছিলেন অন্তপ্রাণ।
অনুষ্টানের শেষাংশে মোমবাতি প্রজ্বলন করে ১৯৭৫ সালের ১৫আগষ্ট নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদের প্রতি সস্মান প্রদর্শন করা হয়।
প্রিন্ট