আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মাগুরার শালিখা উপজেলার কৃষক ও খামারিদের মাঝে চলছে কোরবানির পশু বিক্রির প্রস্তুতি।
.
এবার কোরবানির বাজারে পশুর ভালো দাম পাওয়ার ব্যপারে আশাবাদী স্থানীয় খামারী ও পশু ব্যবসায়ীদের। এলাকার চাহিদা মিটিয়েও অন্তত ৩,১৬১টি পশু দেশের বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশু হাটে পাঠানো যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।
.
শালিখা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ছোট বড় মোট ১ হাজার ৬৩৩ টি খামার রয়েছে। এ সকল খামারগুলোতে কোরবানির জন্য গরু ও ছাগল প্রস্তুত করার শেষ সময় চলছে। এ সকল গ্রাম ও খামার থেকে গরু, ছাগল সংগ্রহ করছেন ব্যাপারীরা।
.
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে এ বছর শালিখা উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ১৭ হাজার ৩ শ ৬৪ টি তবে প্রস্তুত রয়েছে ১৮ হাজার ৮২ টি পশু। অর্থাৎ চাহিদার থেকে ৩ হাজার ১৬১টি পশু বেশি রয়েছে। এসব পশুর মধ্যে রয়েছে ষাড় ৫,০০৪ টি, বলদ ১২৬ টি, গাভী ১,০৮৪ টি, ছাগল ১,৬৪০ টি, ভেড়া ১,২২৮ টি।
.
জানা গেছে, প্রতি বছর মতো এবারও কোরবানিকে সামনে রেখে গরু, ছাগল মোটা তাজা করনে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষক ও খামারীরা। ভারতীয় গরু আমদানি না থাকায় এবছর বেশি লাভবান হবে বলে আশা করছেন তারা।
.
সূত্র জানায়, বর্তমানে উপজেলায় ১ হাজার ৬৭৮ জন মানুষ (খামারি, কৃষক ও ব্যাপারী) এ পেশায় রয়েছেন। খামারি ছাড়াও উপজেলায় সাধারণ কৃষকরা বাড়তি উপার্জনের জন্য বাড়িতে একটি দুইটি করে গরু মোটাতাজা করণ করেন।
.
উপজেলা কাঠালবাড়িয়া গ্রামের খামারি রাব্বি সাইফ জানান, এবার গো-খাদ্যের দাম বেশি থাকায় কোরবানির পশুর দাম একটু বেশি হতে পারে। বাইরে থেকে পশু না এলে ভালো দাম পাবে স্থানীয় খামারিরা।
.
শালিখা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শাহারীন সুলতানা জানান, উপজেলায় ছোট বড় ১,৬৩৩ টি খামার রয়েছে। আমাদের ভেটোরিনারি মেডিকেল টিম প্রতিনিয়ত খামারিদের নানা ভাবে পরামর্শ ও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এ বছর উপজেলায় কোরবানির জন্য ৫,৬১৪ টি গরু, ১০,৬৪০ টি ছাগল, ১,২২৮ টি ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। উদ্ধৃত পশু দেশের অন্য অঞ্চলের চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে।
প্রিন্ট