রাজশাহীর তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান জামিনে মুক্ত হয়েছেন। জানা গেছে, ৬ আগস্ট মঙ্গলবার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন তানোর বিএনপির তরুণ কর্ণধার মিজানুর রহমান মিজান।
এদিন প্রায় সহস্রাধিক মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে নেতাকর্মীরা মিজানকে বরণ করেন। এসব নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন মিজান। তানোর বিএনপির নিপীড়িত-নির্যাতিত নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের প্রাণের উচ্ছ্বাস মিজান। বিএনপির তৃণমুলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের অশ্রুসজল ভালবাসা আকুন্ঠ সমর্থন প্রমাণ করেছে, তানোর বিএনপির রাজনীতিতে মিজানের কোনো বিকল্প নাই।
এদিকে মিজানের মুক্তিতে তানোরে দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক পর উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য। তানোর বিএনপিার তৃণমূলে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন মিজান। তানোর বিএনপিতে মিজানের কোনো বিকল্প নাই তাকে ঘিরে ইতোমধ্যে বিএনপিতে বইছে ঐক্যর হাওয়া।
অন্যদিকে মিজানের মুক্তিতে বিএনপির রাজনীতিতে রাতারাতি নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। এতদিন যে সকল নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা কারণে নিজেদের রাজনীতি থেকে দুরে সরিয়ে রেখেছিল তারা আবারো রাজনীতিতে সক্রীয় হয়েছে। আবারও গা-ঝাড়া দিয়ে নবউদ্দ্যোমে দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে শুরু করেছেন। যে কারণে দীর্ঘদিন পর এখানে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের রাজনীতিতে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য।
অথচ আওয়ামী লীগের বাধার কারণে তানোরে দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক বিএনপির তেমন কোনো কার্যক্রম ছিল না। তবে তানোর বিএনপির তরুণ নেতৃত্ব মিজানুর রহমান মিজানের কারা মুক্তিতে সেই চিত্র রাতারাতি পাল্টে গেছে। মিজানের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা ও কর্মী-সমর্থকরা অতীতের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রিন্ট