মোঃ আরিফুল মিয়াঃ
মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের গড়ীয়াদহ খাল খননে অতিরিক্ত মাটি কেটে বিক্রি করায় রাস্তাসহ বাড়ী, ঘর ধসে গেছে।এছাড়া ধসে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে পাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। যা ইতিমধ্যে ফাটল ধরে দেবে গেছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে উপজেলা আড়পারা গ্রামের খালের দুই পাড়ের বসবাসকারী মানুষ। স্থানীয়রা জানান, ইউপি সদস্য এবি মেম্বার ও এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকজন পানি উন্নয়ন বিভাগের খাল পুনঃখননের কাজে সাইডে হতে উত্তোলনকৃত মাটি অপসারণের জন্য উন্মুক্ত নিলাম দরপত্র ক্রয় করে, অতিরিক্ত মাটি কেটে বিভিন্ন ভাটায় বিক্রি করছে, এতে করে রাস্তাসহ বাড়ী ঘর ধসে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এবিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নাজিম বলেন, আমার বাড়ী সাথে খাল ম্যাপ ধরে মাটি কাটলে আমাদের এই ক্ষতি হতো না, এলাকার প্রভাবশালী লোকজন অতিরিক্ত মাটি কেটে আমাদের ক্ষতি করছে, আমরা অনেকবার চেষ্টা করছি অতিরিক্ত মাটি যাতে না কাটা হয়, কিন্ত তারা আমাদের বলছে আমরা উপজেলা থেকে মাটির টেন্ডার এনেছি।
এ বিষয়ে রিনা পারভীন ওসমান মন্ডল বলেন, মাটি কেটে বিক্রি করা হয়েছে এমনকি প্রশাসনের অবহেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ক্লাইমেন্ট স্মট এগ্রিকালচার ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বিভাগ বাপাউবা রাজবাড়ী অধিক্ষেত্রাধীন ফরিদপুর জেলার মধুখালী আড়পাড়া ইউনিয়নের ৩.২৫০ কিঃমি গড়ীয়দহ খাল পুনঃখননে কাজ করা হয়, এবং মধুখালী উপজেলা প্রশাসন কাজের সাইড হতে উত্তোলনকৃত মাটি নিলাম দরপত্র দেওয়া হয়, ১২ মার্চ ২০২৫।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু রাসেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী খালের অতিরিক্ত মাটি সাইড থেকে অপসারণের জন্য আমাকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হলে, আমি উন্মুক্ত নিলাম দরপত্র করে অতিরিক্ত মাটি অপসারণের নিলাম দরপত্র দেয়, এবং রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল খননের যে ডিজাইন সেভাবে কাটা হয়, বাড়ী ঘর ও রাস্তা ক্ষতির বিষয়ে আমি রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীকে জানিয়েছি তিনি এবিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে আমাকে জানিয়েছেন।
প্রিন্ট