সাজেদুর রহমানঃ
যশোরের শার্শায় চাঁদা না পেয়ে কৃষকের বাড়ি ভাংচুর ও বোমা হামলার ঘটনার মুল হোতা শহিদুল ইসলাম তোতা (৩৮) কে আটক করেছে শার্শা থানা পুলিশ। আটক তোতা শার্শার কন্দবপুর গ্রামের মোঃ রেজাউল ইসলাম সরদারের ছেলে ও আর্মড পুলিশের বহিষ্কৃত একজন সদস্য। তার বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজী, ছিনতাই, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, সাধারন মানুষের উপর অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন, বাড়ি ভাংচুর, বোমা হামলা, ঘরে ও প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়াসহ মানুষের জমি দখল, ঘের দখল, লুটসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
সূত্রে জানাগেছে, গত ৫ আগষ্টের পর কাউকে তোয়াক্কা না করে কন্দবপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম তোতা ও তার বড় ভাই আসাদুলের নেতৃত্বে কন্দবপুর গ্রামের মোঃ শাহীন, মোঃ কবির, মোঃ আক্তারুল, স¤্রাট, আবুজার, আলম, মোহাম্মদ আলী,মোঃ মাহাবুবুরসহ আরও ১০/১৫জন একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরী করে এসব অপকর্ম পরিচালনা করে আসছে। এই গ্রুপের কাছে একাধিক দেশী ও বিদেশী অস্ত্র, রামদা, চায়না চাকু হকষ্ট্রিক থাকায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনা। কারন যারা প্রতিবাদ করে তাদেরকে ধরে পাশ্বপর্তি হাজরাতলা নামক শ্বশানে নিয়ে তার উপর অত্যাচার করা হয়।
স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানান, দীর্ঘদিনের এমন ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে গত ২৩ জুলাই এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শার্শা থানা পুলিশ গত ২৪ জুলাই রাতে অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম তোতাকে আটক করে পুলিশ। তোতা আটক হওয়ার পর অন্য অপরাধীরা গা ঢাকা দিয়েছে।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম জানান, আটক শহিদুল ইসলাম তোতাসহ তার ভাই আসাদুলের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে কন্দবপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব তৈরী করে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। কোন অভিযোগ না থাকায় এবং পালিয়ে থাকার কারনে অপরাধীদের আটক করা যায়নি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে বোমা হামলা ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ পাওয়ায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলাম তোতাকে আটক করেছে। অন্য অপরাধীদেরর আটক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রিন্ট