ঢাকা , শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আহতদের সেবা ও পরামর্শ দিলেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল Logo রংপুরে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনাঃ খাদে পড়ে গেল আলিফ পরিবহন, আহত অন্তত ২০ Logo হাতিয়া চরকিং ইউনিয়নে আব্দুল হাই ভূঁইয়া ল্যাংগুয়েজ ক্লাবের উদ্দ্যেগে বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ফ্রি ইংরেজি শেখার কার্যক্রম চালু হয়েছে Logo শার্শায় কৃষকের বাড়ি ভাংচুর ও বোমা হামলা ঘটনার মুল হোতা তোতা আটক Logo হাতিয়ায় মুয়াজ্জিন পেলেন রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা Logo আলিপুর টি ১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  Logo শালিখায় স্ত্রীহত্যা মামলার আসামি মিজানুর গ্রেফতার Logo বাঘায় আগুন নিয়ন্ত্রনে ব্যাপক ক্ষতি থেকে রক্ষা Logo ভূরুঙ্গামারীতে “Movement for Punctuality” আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত Logo গণসংযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এনসিপিঃ সামনে জুলাই পদযাত্রা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কোয়াবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের নিরঙ্কুশ বিজয়

মোঃ অহিদ সাইফুলঃ

 

কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট শেষ হয়েছে। নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে (৩৩) নিরঙ্কুশ বিজয়ী হয়েছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার, সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে ‎সম্মিলিত পরিষদ ও অগ্রযাত্রা পরিষদ থেকে মোট ৩৮ প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। যাদের মধ্য থেকে ৩৩ জন কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। কেবল শিল্পের ডিজিটালাইজেশন ও সুষ্ঠু পরিচালনার লক্ষ্যে কাজ করার আশ্বাস নতুন কমিটির।

 

দিনভর শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে চলে ভোটগ্রহণ। কোয়াবের ৩৩ কার্যনির্বাহী সদস্য বেছে নিতে সকালে রাজধানীর হাতিরঝিলের এলিট কনভেনশন হলে শুরু হয় দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এতে দুটি প্যানেল থেকে লড়েন ৩৮ প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৬১০।

 

সুষ্ঠু পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন ভোটাররা। ভোটারদের একজন বলেন, ‘সুন্দর ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আশাবাদী, যেই নির্বাচিত হই না কেন— আমরা কোয়াবের এবং কেবল অপারেটরের পক্ষে সবাই কাজ করবো।’

 

আরেকজন বলেন, ‘প্রযুক্তির যুগে আমাদের ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রি অনেকটা হুমকির মুখে পড়েছে। সেখান থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের এই নির্বাচনটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

 

প্রার্থীরা জানান, নির্বাচিত হলে কেবল অপারেটরদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করবেন তারা। বিশেষ করে কেবল ইন্ডাস্ট্রির ডিজিটালাইজেশন ও পাইরেসি বন্ধে কাজ করবেন তারা।

 

প্রার্থীদের একজন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে আমাদের ক্যাবল এখনও আছে। সেই ক্যাবলে যেসব সার্ভিস দেয়া যায়, সেগুলো দেয়ার জন্য যদি আমাদের অনুমোদন দেয়া হয় তাহলে আমরা এ মুহূর্তেই বাংলাদেশেও একটা ডিজিটাল পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।’

 

এদিকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে বলে করেন দাবি নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান। এসময় কেবল শিল্পের আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে এ শিল্পের উন্নয়নে যারা নির্বাচিত হবেন তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

 

কোয়াবের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের যারা বিজয়ী হয়ে আসবেন, এটা আসলে তাদেরই দায়িত্ব ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে এবং বাংলা ভাষাভাষী বিদেশেও যারা থাকেন সবার কাছে যেন তারা পৌঁছে দিতে পারেন। সে ব্যাপারে আমরা তাদের কাছে আহ্বান করবো।’

 

ভোটারদের উপস্থিতি এবং সার্বিক কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন নির্বাচন পর্যবেক্ষক এফবিসিসিআইয়ের যুগ্ম মহাসচিব শামিমুর রহমান।

 

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত যেটা দেখছি সেটা ভালো দেখছি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। আমরা কোনোরকমের বিশৃঙ্খলা দেখতে পাইনি।’

 

ভোটগণনা শেষে সম্মিলিত পরিষদ পূর্ণ প্যানেলকে (৩৩) বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সাধারণ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে আগামী ৩০ তারিখে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আহতদের সেবা ও পরামর্শ দিলেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল

error: Content is protected !!

কোয়াবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের নিরঙ্কুশ বিজয়

আপডেট টাইম : ২৪ ঘন্টা আগে
মোঃ অহিদ সাইফুল, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি :

মোঃ অহিদ সাইফুলঃ

 

কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট শেষ হয়েছে। নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে (৩৩) নিরঙ্কুশ বিজয়ী হয়েছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার, সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে ‎সম্মিলিত পরিষদ ও অগ্রযাত্রা পরিষদ থেকে মোট ৩৮ প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। যাদের মধ্য থেকে ৩৩ জন কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। কেবল শিল্পের ডিজিটালাইজেশন ও সুষ্ঠু পরিচালনার লক্ষ্যে কাজ করার আশ্বাস নতুন কমিটির।

 

দিনভর শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে চলে ভোটগ্রহণ। কোয়াবের ৩৩ কার্যনির্বাহী সদস্য বেছে নিতে সকালে রাজধানীর হাতিরঝিলের এলিট কনভেনশন হলে শুরু হয় দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এতে দুটি প্যানেল থেকে লড়েন ৩৮ প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৬১০।

 

সুষ্ঠু পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন ভোটাররা। ভোটারদের একজন বলেন, ‘সুন্দর ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আশাবাদী, যেই নির্বাচিত হই না কেন— আমরা কোয়াবের এবং কেবল অপারেটরের পক্ষে সবাই কাজ করবো।’

 

আরেকজন বলেন, ‘প্রযুক্তির যুগে আমাদের ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রি অনেকটা হুমকির মুখে পড়েছে। সেখান থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের এই নির্বাচনটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

 

প্রার্থীরা জানান, নির্বাচিত হলে কেবল অপারেটরদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করবেন তারা। বিশেষ করে কেবল ইন্ডাস্ট্রির ডিজিটালাইজেশন ও পাইরেসি বন্ধে কাজ করবেন তারা।

 

প্রার্থীদের একজন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে আমাদের ক্যাবল এখনও আছে। সেই ক্যাবলে যেসব সার্ভিস দেয়া যায়, সেগুলো দেয়ার জন্য যদি আমাদের অনুমোদন দেয়া হয় তাহলে আমরা এ মুহূর্তেই বাংলাদেশেও একটা ডিজিটাল পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।’

 

এদিকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে বলে করেন দাবি নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান। এসময় কেবল শিল্পের আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে এ শিল্পের উন্নয়নে যারা নির্বাচিত হবেন তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

 

কোয়াবের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের যারা বিজয়ী হয়ে আসবেন, এটা আসলে তাদেরই দায়িত্ব ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে এবং বাংলা ভাষাভাষী বিদেশেও যারা থাকেন সবার কাছে যেন তারা পৌঁছে দিতে পারেন। সে ব্যাপারে আমরা তাদের কাছে আহ্বান করবো।’

 

ভোটারদের উপস্থিতি এবং সার্বিক কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন নির্বাচন পর্যবেক্ষক এফবিসিসিআইয়ের যুগ্ম মহাসচিব শামিমুর রহমান।

 

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত যেটা দেখছি সেটা ভালো দেখছি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। আমরা কোনোরকমের বিশৃঙ্খলা দেখতে পাইনি।’

 

ভোটগণনা শেষে সম্মিলিত পরিষদ পূর্ণ প্যানেলকে (৩৩) বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সাধারণ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে আগামী ৩০ তারিখে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন।


প্রিন্ট