বাংলাদেশ দূতাবাস ডেনমার্ক কর্তৃক আয়োজিত বাঙালীর প্রাণের ছোঁয়া বৈশাখী উৎসব দূতাবাসের নিজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।দূতাবাসের রাষ্টদূত একেএম শহীদুল করিমের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। শনিবার রোদেলা দুপুরে বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশীরা এবং বাহারি সাজে সেজে ওঠে বাংলাদেশ দুতাবাস ডেনমার্কের প্রাঙ্গণ। দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মোড়কে মোড়ানো সাংস্কৃতিক আয়োজনে কিছু সময়ের জন্য মেতে উঠেন উপস্হিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা। যার মাধ্যমে প্রবাসের মাটিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণ একখন্ড বাংলাদেশে পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানে ডেনমার্কে বসবাসরত বাঙালী নারীদের সহযোগীতা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন স্বাদের দেশীয় খাবারের মাধ্যমে উপস্হিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের অপ্যায়ন করা হয়।
বৈশাখী অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে ছোট বড়দের কবিতা, নাচ ও গান পরিবেশনা ছিল চোখে পড়ার মতো।
অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দূতাবাস প্রাঙ্গণ পরিণত হয় বাঙালির মিলনমেলায়। বিদেশের মাটিতে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালনের পাশাপাশি দেশীয় হরেক রকম খাবার খেয়ে উৎফুল্ল প্রকাশ করে প্রবাসী বাংলাদেশীরা এবং তারা আগামীতে আরও বেশী বেশী এই রকম আয়োজন চান ।
দূতাবাসের রাষ্টদূত একেএম শহীদুল করিম বলেন, বৈশাখী অনুষ্ঠান আয়োজনে আমাদের একটা উদ্দেশ্য থাকে, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে নতুন প্রজেন্মর কাছে তুলে ধরা। বিদেশে থাকা সত্ত্বেও বৈশাখে এই সমস্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে স্বাদ-সংস্কৃতি, পোশাক-আশাক সবকিছু আমরা অনুভব করতে পারি আর সেই জন্য এই আয়োজন। যেভাবে সবাই বৈশাখী সাজে সেজেছেন সাথে ষোল আনা বাঙালী খাবারের আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।
ডেনমাক আওয়ামী লীগের সভাপতি খোকন মজুমদার ও সাধারণ সস্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস ডেনমার্ক প্রতিবছরই এই রকম আয়োজন করে থাকে। বাঙালীর ঐতিহ্যগুলো তুলে ধরা হয় এই রকম আয়োজনের মাধ্যমে।প্রবাসে বাসবাসরত বাঙালী প্রজন্মকে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও ইতিহাসের শেকড়ে আবদ্ধ রাখার জন্যই এই আয়োজন।
বৈশাখী অনুষ্ঠানকে সুন্দর ও সফল করে তুলার জন্য দূতাবাসের প্রেসিডেন্ট সাকিব সাদাকাত উপস্হিত সকল প্রবাসীদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রিন্ট