ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ইবিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও ২০১৮ সালে জারিকৃত পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডায়না চত্বরের সামনে এসে ছাত্র সমাবেশে মিলিত হয়।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝালচত্বর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে মিছিলটি বের করেন শিক্ষার্থীরা।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই, আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে ও মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’সহ নানা স্লোগান দেন।

সমাবেশে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী নুর আলমের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালে এদেশের ছাত্রসমাজ ৫৬ শতাংশের যে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবি জানিয়েছিল। আন্দোলনের মুখে সরকার তখন কোটা ব্যবস্থার সংস্কার না করে তা বাতিল করে ছাত্রসমাজের সঙ্গে বেঈমানি করেছিল। সরকারের সেই পরিপত্র এখন হাইকোর্ট বাতিল ঘোষণা করে ৫৬ শতাংশের বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করেছে, যা ছাত্রসমাজের মধ্যে আবারও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, যে বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই বৈষম্য দূর করার জন্যই সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ জেগে উঠেছে। বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষার্থী চাকরি না পাওয়ার হতাশায় আত্মহত্যা করছে। অথচ বৈষম্যমূলক কোটা ব্যাবস্থা বহাল রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। কোটা থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছেন। অন্যদিকে, কোটাধারীরা সুবিধা পাচ্ছেন। তাই আমরা বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার চাই।

এছাড়া ছাত্র সমাবেশে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উপস্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল, পরিপত্র পুনর্বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সব সরকারি চাকরিতে (প্রথম-চতুর্থ শ্রেণি) সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে ‘কোটা সংস্কার’ করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করা।

 

 

এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম ইবি শাখা। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের সামনে এ মানববন্ধন করে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ইবিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ

আপডেট টাইম : ০৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, ষ্টাফ রিপোর্টার :

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও ২০১৮ সালে জারিকৃত পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডায়না চত্বরের সামনে এসে ছাত্র সমাবেশে মিলিত হয়।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝালচত্বর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে মিছিলটি বের করেন শিক্ষার্থীরা।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই, আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে ও মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’সহ নানা স্লোগান দেন।

সমাবেশে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী নুর আলমের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালে এদেশের ছাত্রসমাজ ৫৬ শতাংশের যে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবি জানিয়েছিল। আন্দোলনের মুখে সরকার তখন কোটা ব্যবস্থার সংস্কার না করে তা বাতিল করে ছাত্রসমাজের সঙ্গে বেঈমানি করেছিল। সরকারের সেই পরিপত্র এখন হাইকোর্ট বাতিল ঘোষণা করে ৫৬ শতাংশের বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করেছে, যা ছাত্রসমাজের মধ্যে আবারও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, যে বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই বৈষম্য দূর করার জন্যই সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ জেগে উঠেছে। বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষার্থী চাকরি না পাওয়ার হতাশায় আত্মহত্যা করছে। অথচ বৈষম্যমূলক কোটা ব্যাবস্থা বহাল রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। কোটা থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছেন। অন্যদিকে, কোটাধারীরা সুবিধা পাচ্ছেন। তাই আমরা বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার চাই।

এছাড়া ছাত্র সমাবেশে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উপস্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল, পরিপত্র পুনর্বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সব সরকারি চাকরিতে (প্রথম-চতুর্থ শ্রেণি) সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে ‘কোটা সংস্কার’ করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করা।

 

 

এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম ইবি শাখা। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের সামনে এ মানববন্ধন করে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।


প্রিন্ট