ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

আসন্ন কোরবানিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সদরপুরের কামার শিল্পীরা

আসন্ন কোরবানিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সদরপুরের কামার শিল্পীরা। টুংটাং শব্দে মুখরিত আশেপাশের পরিবেশ। কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে-পিটিয়ে দিন রাত চলছে রামদা, চাপাতি, দা, বটি-ছুরি ও অন্যান্য ধারালো সামগ্রী তৈরি ও শানের কাজ। একমাত্র ঈদ এলেই তাদের কর্মব্যস্ত দেখা যায়। আধুনিক প্রযুক্তির তৈরী ধারালো সামগ্রী বাজারে পাওয়া গেলেও কোরবানি উপলক্ষে অনেক ক্রেতা আসছেন নতুন ধারালো সামগ্রী কিনতে অথবা ঘরে পড়ে থাকা পুরনোটা শান দিতে।
সাড়েসাত রশি বাজারসহ অন্যান্য বাজার ঘুরে দেখা গেছে লোহার তৈরি পশু জবাই করা ছুরি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা প্রতি পিছ,বিভিন্ন সাইজের চাপাতি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি এবং দা-বঁটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকা কেজি।
কামার গোবিন্দ কর্মকার জানান, দোকানে রেডিমেড চাপাতি, দা, বটি ছুরি পাওয়া যায় তাই ক্রেতারা আমাদের কাছে তেমন একটা আসে না। তবে কোরবানির ঈদে আমাদের কিছু আয় হয়। ভোক্তা অধিকারের মোশাররফ হোসেন জানান, কোরবানি দেয়ার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এখন প্রায় প্রতি পরিবারেই ধারালো সামগ্রীর ব্যবহার বেড়েছে। ঈদ এলে কিছুটা আয়ের পথ দেখে।
সদরপুর বাজারে কামারের দোকানে বসে থাকা চান মিয়া জানান, চাক্কু আর বটি ধার দিতে আইছিলাম। ঈদ আইছে। অহন তো এই গুলান লাগবো।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

আসন্ন কোরবানিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সদরপুরের কামার শিল্পীরা

আপডেট টাইম : ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
মোঃ নুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার :
আসন্ন কোরবানিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সদরপুরের কামার শিল্পীরা। টুংটাং শব্দে মুখরিত আশেপাশের পরিবেশ। কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে-পিটিয়ে দিন রাত চলছে রামদা, চাপাতি, দা, বটি-ছুরি ও অন্যান্য ধারালো সামগ্রী তৈরি ও শানের কাজ। একমাত্র ঈদ এলেই তাদের কর্মব্যস্ত দেখা যায়। আধুনিক প্রযুক্তির তৈরী ধারালো সামগ্রী বাজারে পাওয়া গেলেও কোরবানি উপলক্ষে অনেক ক্রেতা আসছেন নতুন ধারালো সামগ্রী কিনতে অথবা ঘরে পড়ে থাকা পুরনোটা শান দিতে।
সাড়েসাত রশি বাজারসহ অন্যান্য বাজার ঘুরে দেখা গেছে লোহার তৈরি পশু জবাই করা ছুরি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা প্রতি পিছ,বিভিন্ন সাইজের চাপাতি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি এবং দা-বঁটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকা কেজি।
কামার গোবিন্দ কর্মকার জানান, দোকানে রেডিমেড চাপাতি, দা, বটি ছুরি পাওয়া যায় তাই ক্রেতারা আমাদের কাছে তেমন একটা আসে না। তবে কোরবানির ঈদে আমাদের কিছু আয় হয়। ভোক্তা অধিকারের মোশাররফ হোসেন জানান, কোরবানি দেয়ার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এখন প্রায় প্রতি পরিবারেই ধারালো সামগ্রীর ব্যবহার বেড়েছে। ঈদ এলে কিছুটা আয়ের পথ দেখে।
সদরপুর বাজারে কামারের দোকানে বসে থাকা চান মিয়া জানান, চাক্কু আর বটি ধার দিতে আইছিলাম। ঈদ আইছে। অহন তো এই গুলান লাগবো।

প্রিন্ট