ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ঈশ্বরদীতে পুকুর খনন করতে গিয়ে গ্রেনেড উদ্ধার

পাবনার ঈশ্বরদীতে পুকুর খনন করতে গিয়ে পরিত্যক্ত গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে। গ্রেনেডটি মাটি চাপা দিয়ে স্থানটি ঘিরে রাখে পুলিশ। বুধবার (৮ মে) রাতে শহরের রেলের এমএস কলোনী তিনতলা এলাকায় খনন কাজ চলাকালীন একটি পুকুরে এই গ্রেনেড দেখতে পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ গ্রেনেডটি মাটি চাপা দিয়ে রাখে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খোকন নামের এক মাছ চাষি রেলওয়ের এমএস কলোনীর তিনতলার পাশের মাঠের জমিতে পুকুর খননের কাজ করছে। শ্রমিকরা কাজ শেষ করে বিকেলে চলে যায়। তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্বর্ণা নামের এক শিশু সন্ধ্যার পরপর বাড়ির পেছনে গিয়ে পুকুরের পাশে উপরের অংশে লাল টেপ মোড়ানো লোহার গোলকের মত বস্তুটি খেলনা ভেবে বাড়িতে নিয়ে আসে। তার বাবা সুবাস দাস ওরফে ধলা গোলাকার বস্তুটি গ্রেনেড বলে বুঝতে পারে। বিপদের আশংকায় ধলা গোলাকার বস্তুটি পূর্বের স্থানে রেখে জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান।

 

 

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, একাত্তরে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় এলাকাটি পাক বাহিনীর দোসর রাজাকার, আল বদর ও আল শামস অধ্যুষিত ছিল। ওই সময় গ্রেনেডটি ঘটনাস্থলে অবিস্ফোরিত হয়ে মাটি চাপা পড়ে। মাটি খনন করায় সেটি বের হয়েছে। গ্রেনেডটি মাটা চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য র‌্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দলটি ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার কথা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ঈশ্বরদীতে পুকুর খনন করতে গিয়ে গ্রেনেড উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০৬:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :

পাবনার ঈশ্বরদীতে পুকুর খনন করতে গিয়ে পরিত্যক্ত গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে। গ্রেনেডটি মাটি চাপা দিয়ে স্থানটি ঘিরে রাখে পুলিশ। বুধবার (৮ মে) রাতে শহরের রেলের এমএস কলোনী তিনতলা এলাকায় খনন কাজ চলাকালীন একটি পুকুরে এই গ্রেনেড দেখতে পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ গ্রেনেডটি মাটি চাপা দিয়ে রাখে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খোকন নামের এক মাছ চাষি রেলওয়ের এমএস কলোনীর তিনতলার পাশের মাঠের জমিতে পুকুর খননের কাজ করছে। শ্রমিকরা কাজ শেষ করে বিকেলে চলে যায়। তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্বর্ণা নামের এক শিশু সন্ধ্যার পরপর বাড়ির পেছনে গিয়ে পুকুরের পাশে উপরের অংশে লাল টেপ মোড়ানো লোহার গোলকের মত বস্তুটি খেলনা ভেবে বাড়িতে নিয়ে আসে। তার বাবা সুবাস দাস ওরফে ধলা গোলাকার বস্তুটি গ্রেনেড বলে বুঝতে পারে। বিপদের আশংকায় ধলা গোলাকার বস্তুটি পূর্বের স্থানে রেখে জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান।

 

 

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, একাত্তরে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় এলাকাটি পাক বাহিনীর দোসর রাজাকার, আল বদর ও আল শামস অধ্যুষিত ছিল। ওই সময় গ্রেনেডটি ঘটনাস্থলে অবিস্ফোরিত হয়ে মাটি চাপা পড়ে। মাটি খনন করায় সেটি বের হয়েছে। গ্রেনেডটি মাটা চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য র‌্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দলটি ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার কথা।


প্রিন্ট