ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লালপুরে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় ১ জেলে নিখোঁজ Logo নাটোরে বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর পক্ষ থেকে অসহায় শ্রমিকদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন Logo রংপুরে তিস্তা নদীতে অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার Logo রাজশাহীতে ঐক্য প্রেসক্লাবের শুভ উদ্বোধন Logo নলছিটিতে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইনের পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন Logo সদরপুরে জিয়াউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল Logo বাঘায় জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও খাবার বিতরণ Logo চাকুরি দেওয়ার নামে ৪৮ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ Logo ফুলবাড়ীতে বিআরডিবি’র সুফলভোগী সদস্যদের নিয়ে ২ দিন ব্যাপী দক্ষতা ও উন্নয়ন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন Logo খোকসা পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

লাল গামছা ধরা দেখে ট্রেন থামান চালক,রক্ষা পেল কয়েকশ যাত্রী

অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর কমিউটার ট্রেন। বুধবার এক স্থানে রেলপথ ভাঙা দেখে লাল গামছা উড়িয়ে ট্রেনটি থামান কয়েক কৃষক। বিষয়টি চালকদের নজরে পড়তেই ট্রেন থামিয়ে দেন। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পান ট্রেনের কয়েকশ যাত্রী।

 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ৮মে.সকাল ৯টার দিকে নাটোরের লোকমানপুর রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে রেলপথ ধরে মাঠে যাচ্ছিলেন আজিজুর রহমান, আবদুস সোবহানসহ স্থানীয় কয়েক কৃষক। এ সময় রেললাইনের একটি স্থানে ভাঙা দেখতে পান তারা। একই সময়ে ওই রেলপথ দিয়ে ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা কমিউটার ট্রেন রহনপুরের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনের বাঁশি শুনে তাৎক্ষণিকভাবে নিজেদের কাছে থাকা লাল গামছা রেললাইনে আড়াআড়িভাবে ধরেন কৃষকরা। এ সময় সেখানে কয়েক শিক্ষার্থীও ছিলেন। লোকমানপুর রেলস্টেশনে প্রবেশের আগমুহূর্তে লাল গামছা ধরা দেখে ট্রেন থামান চালক।

 

ট্রেনটির সহকারী চালক সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, চালক হিসেবে তিনি ও লোকোমাস্টার আজিজুর রহমান ছিলেন। লোকমানপুর স্টেশনের কিছুদূর আগে তারা লক্ষ্য করেন, কয়েকজন লাল গামছা ধরে রেললাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এ দেখে দ্রুত ট্রেন থামানো হয়। এর পর দেখা যায়, সেখানে রেললাইন প্রায় ৮ ইঞ্চি ভাঙা। রাতের বৃষ্টিতে রেললাইনের কাঠের স্লিপারের নিচের অংশও ফাঁকা ছিল। সকালে অন্য একটি ট্রেন ওই লাইনের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় রেললাইন ভেঙে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ভাঙা স্থানে কাঠ ও ছালা দিয়ে খুব ধীরগতিতে ট্রেনটি পার করা হয়।

 

 

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ জানান, বৃষ্টিতে রেললাইনের ওই স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ অবস্থায় সেখান দিয়ে ট্রেন চলায় রেলপাত ভেঙে যায়। ঘটনা টের পাওয়ার পর ট্রেন থামানো হয়। এতে ট্রেন চলাচলে কিছুটা বিলম্ব ঘটে। বিকেলে ভাঙা স্থান সংস্কার করা হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

লালপুরে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় ১ জেলে নিখোঁজ

error: Content is protected !!

লাল গামছা ধরা দেখে ট্রেন থামান চালক,রক্ষা পেল কয়েকশ যাত্রী

আপডেট টাইম : ০৯:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :

অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর কমিউটার ট্রেন। বুধবার এক স্থানে রেলপথ ভাঙা দেখে লাল গামছা উড়িয়ে ট্রেনটি থামান কয়েক কৃষক। বিষয়টি চালকদের নজরে পড়তেই ট্রেন থামিয়ে দেন। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পান ট্রেনের কয়েকশ যাত্রী।

 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ৮মে.সকাল ৯টার দিকে নাটোরের লোকমানপুর রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে রেলপথ ধরে মাঠে যাচ্ছিলেন আজিজুর রহমান, আবদুস সোবহানসহ স্থানীয় কয়েক কৃষক। এ সময় রেললাইনের একটি স্থানে ভাঙা দেখতে পান তারা। একই সময়ে ওই রেলপথ দিয়ে ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা কমিউটার ট্রেন রহনপুরের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনের বাঁশি শুনে তাৎক্ষণিকভাবে নিজেদের কাছে থাকা লাল গামছা রেললাইনে আড়াআড়িভাবে ধরেন কৃষকরা। এ সময় সেখানে কয়েক শিক্ষার্থীও ছিলেন। লোকমানপুর রেলস্টেশনে প্রবেশের আগমুহূর্তে লাল গামছা ধরা দেখে ট্রেন থামান চালক।

 

ট্রেনটির সহকারী চালক সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, চালক হিসেবে তিনি ও লোকোমাস্টার আজিজুর রহমান ছিলেন। লোকমানপুর স্টেশনের কিছুদূর আগে তারা লক্ষ্য করেন, কয়েকজন লাল গামছা ধরে রেললাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এ দেখে দ্রুত ট্রেন থামানো হয়। এর পর দেখা যায়, সেখানে রেললাইন প্রায় ৮ ইঞ্চি ভাঙা। রাতের বৃষ্টিতে রেললাইনের কাঠের স্লিপারের নিচের অংশও ফাঁকা ছিল। সকালে অন্য একটি ট্রেন ওই লাইনের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় রেললাইন ভেঙে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ভাঙা স্থানে কাঠ ও ছালা দিয়ে খুব ধীরগতিতে ট্রেনটি পার করা হয়।

 

 

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ জানান, বৃষ্টিতে রেললাইনের ওই স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ অবস্থায় সেখান দিয়ে ট্রেন চলায় রেলপাত ভেঙে যায়। ঘটনা টের পাওয়ার পর ট্রেন থামানো হয়। এতে ট্রেন চলাচলে কিছুটা বিলম্ব ঘটে। বিকেলে ভাঙা স্থান সংস্কার করা হয়েছে।


প্রিন্ট