হুমায়ুন কবির তুহিনঃ
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় শেষ মুহুর্তে কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে। উপজেলার বড় পশুর হাট কৃষ্ণপুর ও সাড়ে সাতরশি হাটে কোরবানীর ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ক্রেতা বিক্রেতার সংখ্যা ততই বাড়ছে৷ হাটে গরুর পাশাপাশি ছাগলের বেচা বিক্রিও বেশ। সব ধরনের গরু হাটে পাওয়া গেলেও সাইজে ছোট ও মাঝারী গরুর চাহিদা বেশী। দূর দুরান্ত থেকে বিভিন্ন পাইকাররা এসে গরু ছাগল ক্রয় করে বেশী লাভের আশায় রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।
–
শনিবার উপজেলার বড় গরুরহাট সাড়ে সাতরশি বাজারে গিয়ে সরজমিনে দেখা যায়, ছোট সাইজের গরু ৭৫/৮৫ হাজার টাকায় বেচা বিক্রি হচ্ছে,মাঝারী সাইজের গরু ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০/৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় সাইজের গরুর চাহিদা কম।
–
গরু বিক্রেতা সাঈদ জানান, তিনি ২ টি গরু এনেছিলেন একটি ছোট সাইজের গরু ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন,আরেকটির দাম হাকছেন দেড় লক্ষ টাকা। বেচা বিক্রিতে খুশী তিনি।
–
অপর গরু বিক্রেতা আইয়ুব হাওলাদার জানান, আমি ৪ টা গরু পালন করে হাটে এনেছি বিক্রি করতে। এবছর গো-খাদ্যের দাম বেশী হওয়ায় গরু পালনে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হয়েছে। ভাল দাম না পেলে লোকসান গুনতে হবে।
–
সদরপুর উপজেলার পশ্চিম শ্যামপুর গ্রামের ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও দেশি জাতের একটি ষাঁড় কিনেছি। আগামী বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে।
–
সদরপুর উপজেলার সাড়ে সাতরশি গ্রামের বিক্রেতা আবু সালেহ মুসা জানান, ‘গত বছর কোরবানির ঈদের পর ছয়টি গরু কিনেছিলাম সাড়ে ৪ লাখ টাকায়। প্রতিটা গরুর জন্য দিনে খাওয়া খরচ হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। বছরে একটা গরু বড় করতেই খরচ হয়ে যায় ৮০-৯০ হাজার টাকা। সমিতির ঋণের টাকা সুদসহ দিতে হবে। বাজারে যে গরুটি এনেছি এখন গরু বিক্রি করে সব টাকা শোধ করা লাগবে।’
–
সাড়ে সাতরশি গরু হাটের ইজারাদার বাহালুল মাতুব্বর বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর গরুর সংখ্যা বেশী৷ বিক্রিও হচ্ছে অনেক৷ প্রতি হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা আসছেন গরু ছাগল কিনতে। হাটে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি হাট কমিটির পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারীর ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
–
ফরিদপুর জেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, জেলার নয়টি উপজেলায় ১ লাখ ১০ হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ আসন্ন কোরবানির জন্য মোটাতাজা করা হয়েছে। যা জেলার চাহিদার চেয়েও বেশি। আশা করছি খামারিরা তাদের পালনকৃত পশুর ন্যায্যমূল্য পাবেন।
প্রিন্ট