মাগুরা শ্রীপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে দুই পক্ষের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজারে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিয়তউল্লাহ হোসেন মিয়া ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম মোতাসিম বিল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় এক প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও উভয় পক্ষের ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শ্রীপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলার ছাবিনগর গ্রামের বাসিন্দা ও শরিয়তউল্লাহর সমর্থক ইউসুফ আলী মণ্ডল বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি মামলা করেন। সেখানে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের পাশাপাশি হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
একই ঘটনায় শুক্রবার আরেকটি মামলা করেন উপজেলার নবগ্রামের বাসিন্দা মাজেদ মোল্লা। হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে করা এই মামলায় ৫৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা প্রায় সবাই শরিয়তউল্লাহ হোসেন মিয়ার সমর্থক।
স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার রাতে নবগ্রাম বাজারে মোটরসাইকেল প্রতীকের একটি নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এম মোতাসিম বিল্লাহর সমর্থকেরা ওই কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, নবগ্রাম বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষ দুটি মামলা করেছে। এ মামলায় একেক পক্ষের দুজন করে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা ঠেকাতে বিশেষভাবে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য দুজন হলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান দোয়াত কলম প্রতীকের মিয়া মাহামুদুল গনি ও আনারস প্রতীকের খন্দকার আসরার এলাহী। তবে আসরার এলাহীকে তেমন একটা প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে না।
স্থানীয় মানুষেরা বলছেন, এবারের নির্বাচনে মোতাসিম বিল্লাহ, শরিয়তউল্লাহ ও মাহামুদুল গনির মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। তাদের পক্ষে তিন ভাগে ভাগ হয়ে গেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
মাগুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: মাসুদুর রহমান দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা কে বলেন, ওই সংঘর্ষের ঘটনায় একটি পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে পরবর্তী সংঘাত এড়াতে এবং আচরণবিধি রক্ষার্থে পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন।
প্রিন্ট