ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আলমডাঙ্গার কানাইনগর-শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া Logo কুষ্টিয়ায় জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি করায় সেই পুলিশ সদস্য ক্লোজড Logo যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ব্যালকনি ভেঙে প্রকৌশলীসহ নিহত ৩ Logo শিবপুরে কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের ৫২ লাখ টাকাসহ দুই কর্মকর্তা গোয়েন্দার জালে আটক Logo বেনাপোলের বাহাদুরপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র জরুরি কর্মীসভা অনুষ্টিত Logo সিংড়ায় ছাত্রশিবিরের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি Logo জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় ফুলবাড়ীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দোয়া মাহফিল Logo কাফনের কাপড় পরে কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও Logo তানোরে পানিতে ডুবে এক যুবকের মৃত্যু Logo তানোরে ফসলি জমি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বারান্দায় টিনের ছাউনির নিচে চলছে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা

দেশের বিভিন্ন জেলার মতো কুষ্টিয়ার ওপর দিয়েও বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। টানা দাবদাহে শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা।

হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৫টি বেড থাকলেও রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪৯ জন। ওয়ার্ডে সিলিং ফ্যান ও পর্যাপ্ত বেড না থাকায় গরমে রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ। চিকিৎসা নিতে এসে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন রোগীরা। জায়গা সংকটে বারান্দায় টিনের ছাউনির নিচে মেঝেতে পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে অনেক রোগীকে। এতে তীব্র গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
বুধবার (১ মে) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ঘুরে এমনি চিত্র দেখা যায়। এছাড়া হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ডেও একই চিত্র।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বেড সংখ্যা ৫টি হলেও সেখানে ৪৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওয়ার্ডের মেঝেতে ও বারান্দায় পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। রোগী ও তাদের স্বজনদের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। টিনের ছাউনি দেওয়া বারান্দায় তীব্র গরমে রোগীদের বেহাল দশা। সিলিং ফ্যান না থাকায় রোগীদের অনেকে হাতপাখা ব্যবহার করতে দেখা গেছে। কাউকে আবার বাড়ি থেকে টেবিল ফ্যান এনে ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

সাদিয়া নামে এক রোগীর মা বলেন, মেয়ের ডায়রিয়া হয়েছে। ৪ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বেড না পেয়ে ওয়ার্ডের সামনে টিনের ছাউনি দেওয়া বারান্দায় পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। এখানে ফ্যানের ব্যবস্থা নেই। সরাসরি রোদ মেয়ের মুখের ওপর পড়ে। আমাদের মতো ৩০ জন রোগী এভাবে কষ্ট করে চিকিৎসা নিচ্ছে। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। সিলিং ফ্যান না থাকায় অসহনীয় গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে। পর্যাপ্ত বেড ও ফ্যানের দাবি জানাচ্ছি।

আরেক শিশু রোগীর মা কনিকা খাতুন বলেন, অসহনীয় তীব্র গরমে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। পর্যাপ্ত বেড নেই। তাই আমরা যাতায়াতের পথে পাটি পেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। ফ্যানের ব্যবস্থা নেই। টিনের ছাউনি থাকায় খুব গরম লাগে, অনেক কষ্ট হয়। হাসপাতালে এসে আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। আমাদের কষ্ট কেউ বোঝে না। এগুলো কর্তৃপক্ষের চোখে পড়ে না।

একই কথা বলেন অন্যান্য রোগী এবং তাদের স্বজনরা। হাসপাতালটির সেবার মান নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তাদের। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যার তুলনায় রোগী অনেক বেশি। পর্যাপ্ত বেড নেই, ফ্যানেরও সংকট রয়েছে। এখন ফ্যান লাগানো সম্ভব হচ্ছে না।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম  বলেন, গরমে রোগীদের দুর্ভোগ কমাতে ফ্যানের বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আলমডাঙ্গার কানাইনগর-শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া

error: Content is protected !!

বারান্দায় টিনের ছাউনির নিচে চলছে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা

আপডেট টাইম : ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :

দেশের বিভিন্ন জেলার মতো কুষ্টিয়ার ওপর দিয়েও বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। টানা দাবদাহে শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা।

হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৫টি বেড থাকলেও রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪৯ জন। ওয়ার্ডে সিলিং ফ্যান ও পর্যাপ্ত বেড না থাকায় গরমে রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ। চিকিৎসা নিতে এসে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন রোগীরা। জায়গা সংকটে বারান্দায় টিনের ছাউনির নিচে মেঝেতে পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে অনেক রোগীকে। এতে তীব্র গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
বুধবার (১ মে) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ঘুরে এমনি চিত্র দেখা যায়। এছাড়া হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ডেও একই চিত্র।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বেড সংখ্যা ৫টি হলেও সেখানে ৪৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওয়ার্ডের মেঝেতে ও বারান্দায় পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। রোগী ও তাদের স্বজনদের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। টিনের ছাউনি দেওয়া বারান্দায় তীব্র গরমে রোগীদের বেহাল দশা। সিলিং ফ্যান না থাকায় রোগীদের অনেকে হাতপাখা ব্যবহার করতে দেখা গেছে। কাউকে আবার বাড়ি থেকে টেবিল ফ্যান এনে ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

সাদিয়া নামে এক রোগীর মা বলেন, মেয়ের ডায়রিয়া হয়েছে। ৪ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বেড না পেয়ে ওয়ার্ডের সামনে টিনের ছাউনি দেওয়া বারান্দায় পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। এখানে ফ্যানের ব্যবস্থা নেই। সরাসরি রোদ মেয়ের মুখের ওপর পড়ে। আমাদের মতো ৩০ জন রোগী এভাবে কষ্ট করে চিকিৎসা নিচ্ছে। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। সিলিং ফ্যান না থাকায় অসহনীয় গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে। পর্যাপ্ত বেড ও ফ্যানের দাবি জানাচ্ছি।

আরেক শিশু রোগীর মা কনিকা খাতুন বলেন, অসহনীয় তীব্র গরমে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। পর্যাপ্ত বেড নেই। তাই আমরা যাতায়াতের পথে পাটি পেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। ফ্যানের ব্যবস্থা নেই। টিনের ছাউনি থাকায় খুব গরম লাগে, অনেক কষ্ট হয়। হাসপাতালে এসে আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। আমাদের কষ্ট কেউ বোঝে না। এগুলো কর্তৃপক্ষের চোখে পড়ে না।

একই কথা বলেন অন্যান্য রোগী এবং তাদের স্বজনরা। হাসপাতালটির সেবার মান নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তাদের। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যার তুলনায় রোগী অনেক বেশি। পর্যাপ্ত বেড নেই, ফ্যানেরও সংকট রয়েছে। এখন ফ্যান লাগানো সম্ভব হচ্ছে না।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম  বলেন, গরমে রোগীদের দুর্ভোগ কমাতে ফ্যানের বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।


প্রিন্ট