যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর্যের সাথে ভয়াল ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করেছে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ। সংগঠনের জেনেভাস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অস্থায়ী মিনার স্থাপন করে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই সকল শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কোরআন তেলাওয়াত, গিতা পাঠ ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের উপস্থিত নেতৃবৃন্দ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও মিনার বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় উপস্থিত সকলেই ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ১৯৭১ সালের বিভীষিকাময় এইদিন শেষে মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
আলোচনা সভায় দিবসের ইতিহাস নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুম খান দুলাল, মোহাম্মদ আকবর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক গৌরিচরন সসীম, সমাজ কল্যান সম্পাদক সমিরন বড়ুয়া জিশু, ফুয়াদ হাসান, তারেক আল মাহমুদ প্রমুখ।
এ সময় বক্তাগণ ২৫শে মার্চের গণহত্যা কে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ২৫ মার্চ কাল রাত্রির সকল শহীদসহ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদ দুই লক্ষ সম্ভ্রম হারা মা বোন, দেশ-জাতি-ভাষার জন্য জানা-অজানা যারা আত্মত্যাগ করেছেন ও শহীদ হয়েছেন তাদের সবার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বক্তাগণ।
প্রিন্ট