ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দৌলতপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ঝাড়ু মিছিল!

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় হওয়া মামলায় আদলতে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার অভিযোগে দৌলতপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। আজ ৬ ইং মার্চ বুধবার সকালে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভূরকা হাটখোলাপাড়া এলাকায় মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেন এলাকাবাসী। এসময় ওই এলাকার ৫ শতাধিক নারী পুরুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

গেল বছরের ১৪ জুন বিকেলে গরুতে পাটক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ভুরকা হাটখোলাপাড়া গ্রামের রহমত মালিথার ছেলে শরিফুল মালিথা ওরফে ভেলশ মালিথা (৪৩) ও ঘেতু মালিথার ছেলে বজলু মালিথা (৪২) নামের দুই কৃষকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে চরাঞ্চলের এক সময়ের ত্রাশ লালচাঁদ বাহিনীর সেকেন্ডইন কমান্ড উজ্জল সর্দারসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ঘটনায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় একটি মামলা করেন নিহত বজলু মালিথার ছেলে নাহিদ হাসান।

পরে এ ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জন এজাহার নামীও আসামীসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী  মাসের ১৫ তারিখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক রাকিবুল হাসান আদালত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এতে মামলার বাদিপক্ষ না রাজি জানিয়ে মামলাটি নতুন করে তদন্তের জন্য গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আদালতে আবেদন করেন।

পরে আজ বুধবার সকালে মানববন্ধনে দেওয়া বক্তব্যে তারা জানান, বজলু মালিথা ও শরিফুল মালিথাকে প্রকাশ্য দিবালকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আমরা ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা করেছিলাম।

কিন্তুু মামলাটি সুষ্ঠ তদন্ত না করে আসামী পক্ষের থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসান মামলার এজাহার থেকে হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া ৮ জনের নাম বাদ দিয়ে আদালতে মামলাটির প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এ কারনে মামলাটিতে ন্যায় থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন বক্তারা।

এ সময় মানববন্ধন থেকে বক্তারা দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসানকে প্রত্যাহারের দাবী জানান। সেই সাথে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানান মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

দৌলতপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ঝাড়ু মিছিল!

আপডেট টাইম : ০২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪
মোঃ জিয়াউর রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় হওয়া মামলায় আদলতে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার অভিযোগে দৌলতপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। আজ ৬ ইং মার্চ বুধবার সকালে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভূরকা হাটখোলাপাড়া এলাকায় মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেন এলাকাবাসী। এসময় ওই এলাকার ৫ শতাধিক নারী পুরুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

গেল বছরের ১৪ জুন বিকেলে গরুতে পাটক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ভুরকা হাটখোলাপাড়া গ্রামের রহমত মালিথার ছেলে শরিফুল মালিথা ওরফে ভেলশ মালিথা (৪৩) ও ঘেতু মালিথার ছেলে বজলু মালিথা (৪২) নামের দুই কৃষকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে চরাঞ্চলের এক সময়ের ত্রাশ লালচাঁদ বাহিনীর সেকেন্ডইন কমান্ড উজ্জল সর্দারসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ঘটনায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় একটি মামলা করেন নিহত বজলু মালিথার ছেলে নাহিদ হাসান।

পরে এ ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জন এজাহার নামীও আসামীসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী  মাসের ১৫ তারিখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক রাকিবুল হাসান আদালত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এতে মামলার বাদিপক্ষ না রাজি জানিয়ে মামলাটি নতুন করে তদন্তের জন্য গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আদালতে আবেদন করেন।

পরে আজ বুধবার সকালে মানববন্ধনে দেওয়া বক্তব্যে তারা জানান, বজলু মালিথা ও শরিফুল মালিথাকে প্রকাশ্য দিবালকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আমরা ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা করেছিলাম।

কিন্তুু মামলাটি সুষ্ঠ তদন্ত না করে আসামী পক্ষের থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসান মামলার এজাহার থেকে হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া ৮ জনের নাম বাদ দিয়ে আদালতে মামলাটির প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এ কারনে মামলাটিতে ন্যায় থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন বক্তারা।

এ সময় মানববন্ধন থেকে বক্তারা দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসানকে প্রত্যাহারের দাবী জানান। সেই সাথে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানান মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসি।


প্রিন্ট