পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত আহাদ আলী আরএফএল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তার বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায়। চাকরির সুবাদে ঘাটাইল পৌরসভার খরাবর এলকায় আব্দুল আলীমের বাসায় স্ত্রী মিলি খাতুনকে (২০) নিয়ে ভাড়া থাকতেন। তাদের সংসারে আড়াই মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
আহাদ যে বাসায় ভাড়া থাকতেন তার পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়া মোহনা খাতুন বলেন, আজ দুপুরে আহাদ ও তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। পরে আহাদের স্ত্রী পাশের একটি বাসায় চলে যায়। এরপর কি হয়েছে তা তিনি জানেন না।
বাসার মালিক আব্দুল আলীমের স্ত্রী মালা খাতুন বলেন, আহাদের কাছে ভাড়া দেওয়া বাসাটি নতুন করেছেন। একটু দূরে পুরাতন বাসায় তারা থাকেন। সন্ধ্যার পর একজন লোক এসে আমাকে জানায় আপনাদের নতুন বাসায় কোলাহল শুনে আসলাম। মনে হয় কিছু একটা হয়েছে। এ কথা শুনে আমি ওই বাসায় যাই। এ সময় অনেক লোকজন ছিল বাসার পাশে। সবাই ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কেউ দরজা খুলছিলেন না। পরে শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন আহাদ। পাশেই হাত-পা ও কোমরে রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় আহাদের স্ত্রী মিলি খাতুনকে। পরে রশি কেটে আহাদকে নামিয়ে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান আগেই মারা গেছেন আহাদ।