ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo লালপুরে ভুট্টা ক্ষেত থেকে কবিরাজের লাশ উদ্ধার Logo পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণাকারী গ্রেফতার Logo শালিখার আড়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে মুগ্ধ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা Logo ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ Logo ফরিদপুরের ধর্ষণ মামলার আসামী সোহেল গ্রেপ্তার Logo পাংশায় শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের সাধারণ সভায় নতুন কমিটি Logo কুষ্টিয়ায় উলামা সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত Logo নির্বাচন ছাড়া কোন সরকার দীর্ঘদিন থাকলে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারেরা জন্ম নেয়ঃ -আব্দুস সালাম Logo ভেড়ামারায় মাজারে মাদকবিরোধী অভিযান, ভক্তদের হাতে লাঞ্ছিত ম্যাজিস্ট্রেট
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সুদিন ফিরেছে চাটমোহরের পাট চাষীদের

সোনালী আশ খ্যাত পাট চাষ করে কৃষক একসময় লাভ করতে না পারায় পাট চাষে বিমুখ হচ্ছিলেন। গত দুই বছর যাবত পাটের দাম বাড়ায় কৃষক পাট চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। ফলে পাট চাষীদের চোখে মুখে এখন যেন হাসির ঝিলিক। এ বছর অনেক কৃষক জমিতে পাট বীজ বপন করছেন। অনেকে পাট খেতের আগাছা পরিষ্কার করছেন।  অনেক পাটচাষী বলছেন তাদের সুদিন ফিরেছে।
চাটমোহর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,  চলতি মৌসুমে চাটমোহরের ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকায় ৮ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে দেশী ১৩৫ হেক্টর, তোষা ৮ হাজার ৪৪৫ হেক্টর এবং মেস্তা ১৪০ হেক্টর। গত বছর চাটমোহরে ৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে
বিভিন্ন জাতের পাট চাষ হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এ বছর ৬শ ২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ বেশি হয়েছে।
চাটমোহরের রামের বিলের  কৃষক আলমাছ আলী  জানান, চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে দশ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন  তিনি। তার জমির কাছা কাছি সেচ যন্ত্র স্থাপন করে পানি দেওয়ায় এখন বাতাসে দোল খাচ্ছে পাট গাছ।
 জালেশ্বর গ্রামের কৃষক মতিন প্রাং জানান, চাষ,বীজ, সার, দুই দফা আগাছা পরিষ্কার, কাটা, পঁচানো, আশ ছড়ানোসহ এক বিঘা জমিতে পাট চাষে প্রায় ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ পরে যায়। গর ফলন পাওয়া যায় প্রায় ৮ মন। এছাড়া বিঘা প্রতি প্রায় ২ হাজার টাকার পাটকাঠি পাওয়া যায়। গত বছর ভর মৌসুমে প্রতি মন পাট ২ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও ক্রমশই পাটের দাম বাড়তে থাকে। যারা ভর মৌসুমে পাট বিক্রি করে দিয়েছিলেন তারা বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা লাভ পেয়েছিলেন।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান জানান, পাট চাষীদের সুদিন ফিরেছে। পাট চাষ করে কৃষক এখন অনেক লাভবান হচ্ছেন। ইতিমধ্যে চাটমোহরে পাট বীজ বপন শেষ হয়েছে। আগামি দিনে খুব বেশি খড়া না হলে, আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে থাকলে কৃষক পাটের ভাল ফলন পাবেন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

সুদিন ফিরেছে চাটমোহরের পাট চাষীদের

আপডেট টাইম : ০৯:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১
শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, পাবনা প্রতিনিধিঃ :
সোনালী আশ খ্যাত পাট চাষ করে কৃষক একসময় লাভ করতে না পারায় পাট চাষে বিমুখ হচ্ছিলেন। গত দুই বছর যাবত পাটের দাম বাড়ায় কৃষক পাট চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। ফলে পাট চাষীদের চোখে মুখে এখন যেন হাসির ঝিলিক। এ বছর অনেক কৃষক জমিতে পাট বীজ বপন করছেন। অনেকে পাট খেতের আগাছা পরিষ্কার করছেন।  অনেক পাটচাষী বলছেন তাদের সুদিন ফিরেছে।
চাটমোহর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,  চলতি মৌসুমে চাটমোহরের ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকায় ৮ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে দেশী ১৩৫ হেক্টর, তোষা ৮ হাজার ৪৪৫ হেক্টর এবং মেস্তা ১৪০ হেক্টর। গত বছর চাটমোহরে ৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে
বিভিন্ন জাতের পাট চাষ হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এ বছর ৬শ ২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ বেশি হয়েছে।
চাটমোহরের রামের বিলের  কৃষক আলমাছ আলী  জানান, চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে দশ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন  তিনি। তার জমির কাছা কাছি সেচ যন্ত্র স্থাপন করে পানি দেওয়ায় এখন বাতাসে দোল খাচ্ছে পাট গাছ।
 জালেশ্বর গ্রামের কৃষক মতিন প্রাং জানান, চাষ,বীজ, সার, দুই দফা আগাছা পরিষ্কার, কাটা, পঁচানো, আশ ছড়ানোসহ এক বিঘা জমিতে পাট চাষে প্রায় ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ পরে যায়। গর ফলন পাওয়া যায় প্রায় ৮ মন। এছাড়া বিঘা প্রতি প্রায় ২ হাজার টাকার পাটকাঠি পাওয়া যায়। গত বছর ভর মৌসুমে প্রতি মন পাট ২ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও ক্রমশই পাটের দাম বাড়তে থাকে। যারা ভর মৌসুমে পাট বিক্রি করে দিয়েছিলেন তারা বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা লাভ পেয়েছিলেন।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান জানান, পাট চাষীদের সুদিন ফিরেছে। পাট চাষ করে কৃষক এখন অনেক লাভবান হচ্ছেন। ইতিমধ্যে চাটমোহরে পাট বীজ বপন শেষ হয়েছে। আগামি দিনে খুব বেশি খড়া না হলে, আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে থাকলে কৃষক পাটের ভাল ফলন পাবেন।

প্রিন্ট