আজকের তারিখ : ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪, ১১:৩২ এ.এম || প্রকাশকাল : মে ৫, ২০২১, ৯:২০ এ.এম
সুদিন ফিরেছে চাটমোহরের পাট চাষীদের
সোনালী আশ খ্যাত পাট চাষ করে কৃষক একসময় লাভ করতে না পারায় পাট চাষে বিমুখ হচ্ছিলেন। গত দুই বছর যাবত পাটের দাম বাড়ায় কৃষক পাট চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। ফলে পাট চাষীদের চোখে মুখে এখন যেন হাসির ঝিলিক। এ বছর অনেক কৃষক জমিতে পাট বীজ বপন করছেন। অনেকে পাট খেতের আগাছা পরিষ্কার করছেন। অনেক পাটচাষী বলছেন তাদের সুদিন ফিরেছে।
চাটমোহর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চাটমোহরের ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকায় ৮ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে দেশী ১৩৫ হেক্টর, তোষা ৮ হাজার ৪৪৫ হেক্টর এবং মেস্তা ১৪০ হেক্টর। গত বছর চাটমোহরে ৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে
বিভিন্ন জাতের পাট চাষ হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এ বছর ৬শ ২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ বেশি হয়েছে।
চাটমোহরের রামের বিলের কৃষক আলমাছ আলী জানান, চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে দশ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন তিনি। তার জমির কাছা কাছি সেচ যন্ত্র স্থাপন করে পানি দেওয়ায় এখন বাতাসে দোল খাচ্ছে পাট গাছ।
জালেশ্বর গ্রামের কৃষক মতিন প্রাং জানান, চাষ,বীজ, সার, দুই দফা আগাছা পরিষ্কার, কাটা, পঁচানো, আশ ছড়ানোসহ এক বিঘা জমিতে পাট চাষে প্রায় ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ পরে যায়। গর ফলন পাওয়া যায় প্রায় ৮ মন। এছাড়া বিঘা প্রতি প্রায় ২ হাজার টাকার পাটকাঠি পাওয়া যায়। গত বছর ভর মৌসুমে প্রতি মন পাট ২ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও ক্রমশই পাটের দাম বাড়তে থাকে। যারা ভর মৌসুমে পাট বিক্রি করে দিয়েছিলেন তারা বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা লাভ পেয়েছিলেন।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান জানান, পাট চাষীদের সুদিন ফিরেছে। পাট চাষ করে কৃষক এখন অনেক লাভবান হচ্ছেন। ইতিমধ্যে চাটমোহরে পাট বীজ বপন শেষ হয়েছে। আগামি দিনে খুব বেশি খড়া না হলে, আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে থাকলে কৃষক পাটের ভাল ফলন পাবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha