ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মিলনের মা শেফালী খাতুন বাদী হয়ে মামলা,৬ জন গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পদ্মার চর থেকে মিলন হোসেনের (২৭) মরদেহের ৯ টুকরো উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬ জনকে আদালতে নেয়া হয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় কুষ্টিয়া আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার এজলাসে তাদের হাজির করা হয়।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন মিলনের মা শেফালী খাতুন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এসকে সজিবসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার বাকিরা হলেন, লিংকন, জনি, ইফতি, সজল ও ফয়সাল। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার কারণে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে সজিবকে বহিষ্কার করা হয়। বর্তমানে তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

সন্ত্রাসীদের দাবি করা চাঁদা না দেয়ার কারণে মিলন হোসেনকে হত্যার পর মরদেহ পদ্মার চরে পুঁতে ফেলা হয়। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পদ্মা নদীর চর থেকে মরদেহের ৯ টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। মিলন গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকালে হাউজিং এলাকার সজল নামে একজন মিলনকে মোবাইলে কল করে ডেকে নিয়ে যায়। কল পেয়ে শহরের ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন মিলন। নিখোঁজের পর বুধবার সন্ধ্যায় মিলনের স্ত্রী মিমি কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর মোবাইলের কল লিস্টের সূত্র ধরে সাবেক ছাত্রলীগের নেতা এসকে সজিবসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন তারা। এরপর তাদের দেখানো পদ্মার চরের ৪ জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মরদেহের ৯ টুকরো।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, মিলন হোসেনকে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের মা। এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আসামিদের আদালতে নেয়া হয়েছে।

 

 

মিলন হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পূর্ব বাহিরমাদি এলাকার মাওলা বক্সের ছেলে। তিনি আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন। গত ১০ মাস আগে বিয়ে করেন। স্ত্রী মিমিকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

মিলনের মা শেফালী খাতুন বাদী হয়ে মামলা,৬ জন গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পদ্মার চর থেকে মিলন হোসেনের (২৭) মরদেহের ৯ টুকরো উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬ জনকে আদালতে নেয়া হয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় কুষ্টিয়া আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার এজলাসে তাদের হাজির করা হয়।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন মিলনের মা শেফালী খাতুন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এসকে সজিবসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার বাকিরা হলেন, লিংকন, জনি, ইফতি, সজল ও ফয়সাল। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার কারণে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে সজিবকে বহিষ্কার করা হয়। বর্তমানে তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

সন্ত্রাসীদের দাবি করা চাঁদা না দেয়ার কারণে মিলন হোসেনকে হত্যার পর মরদেহ পদ্মার চরে পুঁতে ফেলা হয়। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পদ্মা নদীর চর থেকে মরদেহের ৯ টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। মিলন গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকালে হাউজিং এলাকার সজল নামে একজন মিলনকে মোবাইলে কল করে ডেকে নিয়ে যায়। কল পেয়ে শহরের ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন মিলন। নিখোঁজের পর বুধবার সন্ধ্যায় মিলনের স্ত্রী মিমি কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর মোবাইলের কল লিস্টের সূত্র ধরে সাবেক ছাত্রলীগের নেতা এসকে সজিবসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন তারা। এরপর তাদের দেখানো পদ্মার চরের ৪ জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মরদেহের ৯ টুকরো।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, মিলন হোসেনকে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের মা। এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আসামিদের আদালতে নেয়া হয়েছে।

 

 

মিলন হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পূর্ব বাহিরমাদি এলাকার মাওলা বক্সের ছেলে। তিনি আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন। গত ১০ মাস আগে বিয়ে করেন। স্ত্রী মিমিকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।


প্রিন্ট