ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ইউএনও’র আশ্বাসে বাড়ি ফিরলো শিক্ষার্থীরা

নরসিংদী সদরে শিক্ষকের প্রত্যাহার চেয়ে আন্দোলন

এস এস সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ে ঢুকতে না দেয়া, টাকা নিয়েও খরচ না করা, নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও অসৌজন্য মূলক আচরনের প্রতিবাদে নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে স্কুল প্রাঙ্গণে আন্দোলন করেছে এসএসসি শিক্ষার্থীরা।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে বিদ্যালয়ের ভিতর এবং সন্ধ্যায় বিদ্যায়ের গেইটের সামনে শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন করে।
বিদায়ী এসএসসি পরীক্ষার্থী লুবানা, শাহরিয়া ও হামজা বলেন, আজকে বিকালে আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। বিদায় অনুষ্ঠানে একটি প্যান্ডেল করা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করার কথা থাকলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো কিছুই করেননি। আমাদেরকে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে স্কুলের গেইটের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি তারা। পরবর্তীতে জোর করে আমরা স্কুলে ডুকি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদেরকে বিদায় দেয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার তা করেননি। পরে স্কুলের অন্য শিক্ষকরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আমাদের বুঝিয়ে গোজামিল দিয়ে বিদায় করে দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে যখন আমরা তা মানতে নারাজ তখন হলরুমে তিনজন শিক্ষককে নিয়ে মাত্র তিন মিনিটের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার নির্দেশ দেয় প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার। তিন মিনিটের মধ্যে আমাদেরকে বিদায় দিয়ে বাড়ী পাঠানো চেষ্টা করে।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আমাদের স্কুলে ৫১ জন শিক্ষক ছিল, কিন্তু বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার কাউকে আসতে দেননি। উনিও নিজে অফিস কক্ষে বসে ছিলেন। মাত্র তিন জন শিক্ষককে পাঠিয়েছেন আমাদের বুঝিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দিতেন।
এছাড়া প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার গত দুই বছর আগে আমাদের স্কুলে এসেছে। উনি আসার পরপর বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফান্ডের নামে টাকা তোলা হয়। প্রতিদিন আমাদেরকে যে খাবার দেয়া হয় তা খুবই নিম্ন মানের। এর প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে আমাদেরকে উনি মানসিক নির্যাতন করতেন। আমাদের অনেক সহপাঠীদের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছেন। উনাকে যতক্ষণ পর্যন্ত প্রত্যাহার না করা হবে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
পরে রাত সাড়ে ৮টায় খবর পেয়ে নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরিন এর হস্তক্ষেপে স্কুলের শিক্ষার্থীরা বাড়ী ফিরে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিউলী আক্তার বলেন, প্রচুর খরচ হওয়ার কারণে এ বছর বিদায় অনুষ্ঠানটি আমরা ক্লাস রুমে আয়োজন করি। আর একারণেই শিক্ষার্থীরা এ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরিন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করি এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে শিক্ষার্থীদের বাড়ী পাঠানো হয়েছে। তারা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

তানোরে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ

error: Content is protected !!

ইউএনও’র আশ্বাসে বাড়ি ফিরলো শিক্ষার্থীরা

নরসিংদী সদরে শিক্ষকের প্রত্যাহার চেয়ে আন্দোলন

আপডেট টাইম : ০৩:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
এস এস সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ে ঢুকতে না দেয়া, টাকা নিয়েও খরচ না করা, নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও অসৌজন্য মূলক আচরনের প্রতিবাদে নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে স্কুল প্রাঙ্গণে আন্দোলন করেছে এসএসসি শিক্ষার্থীরা।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে বিদ্যালয়ের ভিতর এবং সন্ধ্যায় বিদ্যায়ের গেইটের সামনে শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন করে।
বিদায়ী এসএসসি পরীক্ষার্থী লুবানা, শাহরিয়া ও হামজা বলেন, আজকে বিকালে আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। বিদায় অনুষ্ঠানে একটি প্যান্ডেল করা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করার কথা থাকলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো কিছুই করেননি। আমাদেরকে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে স্কুলের গেইটের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি তারা। পরবর্তীতে জোর করে আমরা স্কুলে ডুকি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদেরকে বিদায় দেয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার তা করেননি। পরে স্কুলের অন্য শিক্ষকরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আমাদের বুঝিয়ে গোজামিল দিয়ে বিদায় করে দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে যখন আমরা তা মানতে নারাজ তখন হলরুমে তিনজন শিক্ষককে নিয়ে মাত্র তিন মিনিটের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার নির্দেশ দেয় প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার। তিন মিনিটের মধ্যে আমাদেরকে বিদায় দিয়ে বাড়ী পাঠানো চেষ্টা করে।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আমাদের স্কুলে ৫১ জন শিক্ষক ছিল, কিন্তু বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার কাউকে আসতে দেননি। উনিও নিজে অফিস কক্ষে বসে ছিলেন। মাত্র তিন জন শিক্ষককে পাঠিয়েছেন আমাদের বুঝিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দিতেন।
এছাড়া প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার গত দুই বছর আগে আমাদের স্কুলে এসেছে। উনি আসার পরপর বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফান্ডের নামে টাকা তোলা হয়। প্রতিদিন আমাদেরকে যে খাবার দেয়া হয় তা খুবই নিম্ন মানের। এর প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে আমাদেরকে উনি মানসিক নির্যাতন করতেন। আমাদের অনেক সহপাঠীদের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছেন। উনাকে যতক্ষণ পর্যন্ত প্রত্যাহার না করা হবে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
পরে রাত সাড়ে ৮টায় খবর পেয়ে নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরিন এর হস্তক্ষেপে স্কুলের শিক্ষার্থীরা বাড়ী ফিরে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিউলী আক্তার বলেন, প্রচুর খরচ হওয়ার কারণে এ বছর বিদায় অনুষ্ঠানটি আমরা ক্লাস রুমে আয়োজন করি। আর একারণেই শিক্ষার্থীরা এ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরিন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করি এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে শিক্ষার্থীদের বাড়ী পাঠানো হয়েছে। তারা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।