ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আলমডাঙ্গার কানাইনগর-শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া Logo কুষ্টিয়ায় জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি করায় সেই পুলিশ সদস্য ক্লোজড Logo যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ব্যালকনি ভেঙে প্রকৌশলীসহ নিহত ৩ Logo শিবপুরে কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের ৫২ লাখ টাকাসহ দুই কর্মকর্তা গোয়েন্দার জালে আটক Logo বেনাপোলের বাহাদুরপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র জরুরি কর্মীসভা অনুষ্টিত Logo সিংড়ায় ছাত্রশিবিরের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি Logo জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় ফুলবাড়ীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দোয়া মাহফিল Logo কাফনের কাপড় পরে কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও Logo তানোরে পানিতে ডুবে এক যুবকের মৃত্যু Logo তানোরে ফসলি জমি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

উপজেলা থেকে জাতীয় মঞ্চে: স্বীকৃতির শিখরে সিরাজুল ইসলাম

মোঃ আরিফুল মিয়াঃ

 

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা ২০২৪-এ “শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা অফিসার” ক্যাটাগরিতে জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম।

.

এর আগে তিনি ২০২৪ সালে ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা অফিসার নির্বাচিত হন। অতীতে তিনি ২০১৭ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী, ২০১৮ সালে মিরপুর এবং ২০১৯ সালে যশোর সদর উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন।

.

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে তাঁর নেওয়া বিশেষ উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে— শিক্ষক উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি, ঝরেপড়া রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসে না এসে ঘরে বসেই শিক্ষকদের ডিজিটাল সেবা গ্রহণ নিশ্চিতকরণ। এর ফলে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের উপস্থিতি বেড়েছে এবং শিক্ষার্থীদের শেখার মান উন্নত হয়েছে।
তিনি বিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত তদারকি করেন এবং শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে নানা প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনী কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

.

নিজস্ব অনুভূতি প্রকাশ করে মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন: “এই অর্জন একক নয়—এটি মধুখালী উপজেলার প্রতিটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করাটাই আমার দায়িত্ব—এই সম্মান আমাকে আরও উৎসাহিত করেছে। আমার লক্ষ্য, প্রতিটি শিশুর মুখে হাসি ফোটানো। তাদেরকে আনন্দময় পরিবেশে শেখার সুযোগ করে দেওয়া। আমি বিশ্বাস করি, সকলে মিলে কাজ করলে আমরা একটি আদর্শ শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবো।”

.

উল্লেখ্য, মো. সিরাজুল ইসলাম ২০১২ সালে ৩০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পাশাপাশি আইসিটি ও প্রশাসনিক দক্ষতায়ও তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আলমডাঙ্গার কানাইনগর-শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া

error: Content is protected !!

উপজেলা থেকে জাতীয় মঞ্চে: স্বীকৃতির শিখরে সিরাজুল ইসলাম

আপডেট টাইম : ১০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
মোঃ আরিফুল মিয়া, মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

মোঃ আরিফুল মিয়াঃ

 

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা ২০২৪-এ “শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা অফিসার” ক্যাটাগরিতে জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম।

.

এর আগে তিনি ২০২৪ সালে ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা অফিসার নির্বাচিত হন। অতীতে তিনি ২০১৭ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী, ২০১৮ সালে মিরপুর এবং ২০১৯ সালে যশোর সদর উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন।

.

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে তাঁর নেওয়া বিশেষ উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে— শিক্ষক উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি, ঝরেপড়া রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসে না এসে ঘরে বসেই শিক্ষকদের ডিজিটাল সেবা গ্রহণ নিশ্চিতকরণ। এর ফলে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের উপস্থিতি বেড়েছে এবং শিক্ষার্থীদের শেখার মান উন্নত হয়েছে।
তিনি বিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত তদারকি করেন এবং শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে নানা প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনী কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

.

নিজস্ব অনুভূতি প্রকাশ করে মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন: “এই অর্জন একক নয়—এটি মধুখালী উপজেলার প্রতিটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করাটাই আমার দায়িত্ব—এই সম্মান আমাকে আরও উৎসাহিত করেছে। আমার লক্ষ্য, প্রতিটি শিশুর মুখে হাসি ফোটানো। তাদেরকে আনন্দময় পরিবেশে শেখার সুযোগ করে দেওয়া। আমি বিশ্বাস করি, সকলে মিলে কাজ করলে আমরা একটি আদর্শ শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবো।”

.

উল্লেখ্য, মো. সিরাজুল ইসলাম ২০১২ সালে ৩০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পাশাপাশি আইসিটি ও প্রশাসনিক দক্ষতায়ও তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।


প্রিন্ট