ঢাকা , সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মধুখালীতে কৃষ্ণচূড়ার রঙে সেজেছে সড়ক

মোঃ আরিফুল মিয়াঃ

 

এবারের গ্রীষ্মের শুরুর আবহাওয়াটা একটু ব্যতিক্রম। দেশের কোথাও কোথাও কখনো তাপমাত্রা উঠেছে বেশি আবার কোথাও কম। এমন আবহাওয়ায় নির্মল বায়ুতে নিঃশ্বাস নিতে ও আনন্দ বিনোদন পেতে হাতের কাছেই কৃষ্ণচূড়ার ছায়াতল যেন স্বপ্নের মতো হয়ে উঠেছে অনেকের কাছে। ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুপাশে চোখে পড়ে কৃষ্ণচূড়া গাছের অপরুপ দৃশ্য।

.

উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দী বাজারের আগে একটি কৃষ্ণচূড়া শোভিত গাছের নিচে কয়েকজন যুবক কৃষ্ণচূড়ার সুশীতল ছায়াতলের মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ছবি তুলছেন। একে অপরের ছবি তুলতে ব্যস্ত তারা। কেউ কেউ আবার নিজেই নিজের সেলফি তুলছেন। পাশেই কৃষ্ণচূড়ার সুশীতল ছায়াতলে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হৃদয়কে একটু প্রশান্তি দিতে বিশ্রাম নিচ্ছেন এক ভ্যান চালক। গাছে গাছে চারপাশটা যেন ফুলে ফুলে ভরে গেছে। তবে সব ফুল যে কৃষ্ণচূড়ার মতো নজর কাড়তে পারছে তা কিন্তু নয়। ছবি তুলতে আসা সিফাত, জরিফ, মারুফসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, মহাসড়কের পাশের এই কৃষ্ণচূড়া গাছটির সৌন্দর্য তাদের দৃষ্টি কেড়েছে। তাই এই সৌন্দর্য উপভোগের মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তুলছেন ছবি।

.

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দী থেকে ফরিদপুর জেলার শেষ প্রান্তের গড়াই সেতু পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫টি সুশোভিত কৃষ্ণচূড়ার সুশীতল গাছ দেখতে পাওয়া যায়। সবুজ চিকন পাতার ফাঁকে ফাঁকে লাল লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল, দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। কৃষ্ণচূডার লাল ফুল এবং উজ্জ্বল সবুজ পাতা এক অন্যরকম দৃষ্টিনন্দন শোভা পাচ্ছে। কৃষ্ণচূড়ার সুবাস ও সৌন্দর্যে মুখরিত দর্শনার্থীদের নতুন আকর্ষণ এখন এই কৃষ্ণচূড়ার তল।

.

কৃষ্ণচূড়া গাছ দেখলে অনেককেই সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পরতে দেখা যায়। কবিতা, সাহিত্য, গান ও বিভিন্ন উপমায় কৃষ্ণচূড়া ফুলের কথা নানা ভঙ্গিমায় এসেছে। শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রাম-বাংলার পাশাপাশি এখনও তার নড়বড়ে অস্তিত্ব নিয়ে কোনোক্রমে টিকে আছে পথে-প্রান্তরে। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এই ফুল যেন এখন বাঙালির ঐতিহ্যেরই একটা অংশ হয়ে গিয়েছে সবার অজান্তেই। এর সবচেয়ে বড় খ্যাতি হচ্ছে মোহনীয় রক্তিম আভ। সবুজের বুকচিরে বের হয়ে আসা লাল ফুল এতোটাই মোহনীয় যে, পথচারীরাও থমকে দাঁড়াতে বাধ্য হন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

মধুখালীতে কৃষ্ণচূড়ার রঙে সেজেছে সড়ক

আপডেট টাইম : ১০ ঘন্টা আগে
মোঃ আরিফুল মিয়া, মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

মোঃ আরিফুল মিয়াঃ

 

এবারের গ্রীষ্মের শুরুর আবহাওয়াটা একটু ব্যতিক্রম। দেশের কোথাও কোথাও কখনো তাপমাত্রা উঠেছে বেশি আবার কোথাও কম। এমন আবহাওয়ায় নির্মল বায়ুতে নিঃশ্বাস নিতে ও আনন্দ বিনোদন পেতে হাতের কাছেই কৃষ্ণচূড়ার ছায়াতল যেন স্বপ্নের মতো হয়ে উঠেছে অনেকের কাছে। ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুপাশে চোখে পড়ে কৃষ্ণচূড়া গাছের অপরুপ দৃশ্য।

.

উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দী বাজারের আগে একটি কৃষ্ণচূড়া শোভিত গাছের নিচে কয়েকজন যুবক কৃষ্ণচূড়ার সুশীতল ছায়াতলের মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ছবি তুলছেন। একে অপরের ছবি তুলতে ব্যস্ত তারা। কেউ কেউ আবার নিজেই নিজের সেলফি তুলছেন। পাশেই কৃষ্ণচূড়ার সুশীতল ছায়াতলে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হৃদয়কে একটু প্রশান্তি দিতে বিশ্রাম নিচ্ছেন এক ভ্যান চালক। গাছে গাছে চারপাশটা যেন ফুলে ফুলে ভরে গেছে। তবে সব ফুল যে কৃষ্ণচূড়ার মতো নজর কাড়তে পারছে তা কিন্তু নয়। ছবি তুলতে আসা সিফাত, জরিফ, মারুফসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, মহাসড়কের পাশের এই কৃষ্ণচূড়া গাছটির সৌন্দর্য তাদের দৃষ্টি কেড়েছে। তাই এই সৌন্দর্য উপভোগের মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তুলছেন ছবি।

.

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দী থেকে ফরিদপুর জেলার শেষ প্রান্তের গড়াই সেতু পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫টি সুশোভিত কৃষ্ণচূড়ার সুশীতল গাছ দেখতে পাওয়া যায়। সবুজ চিকন পাতার ফাঁকে ফাঁকে লাল লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল, দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। কৃষ্ণচূডার লাল ফুল এবং উজ্জ্বল সবুজ পাতা এক অন্যরকম দৃষ্টিনন্দন শোভা পাচ্ছে। কৃষ্ণচূড়ার সুবাস ও সৌন্দর্যে মুখরিত দর্শনার্থীদের নতুন আকর্ষণ এখন এই কৃষ্ণচূড়ার তল।

.

কৃষ্ণচূড়া গাছ দেখলে অনেককেই সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পরতে দেখা যায়। কবিতা, সাহিত্য, গান ও বিভিন্ন উপমায় কৃষ্ণচূড়া ফুলের কথা নানা ভঙ্গিমায় এসেছে। শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রাম-বাংলার পাশাপাশি এখনও তার নড়বড়ে অস্তিত্ব নিয়ে কোনোক্রমে টিকে আছে পথে-প্রান্তরে। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এই ফুল যেন এখন বাঙালির ঐতিহ্যেরই একটা অংশ হয়ে গিয়েছে সবার অজান্তেই। এর সবচেয়ে বড় খ্যাতি হচ্ছে মোহনীয় রক্তিম আভ। সবুজের বুকচিরে বের হয়ে আসা লাল ফুল এতোটাই মোহনীয় যে, পথচারীরাও থমকে দাঁড়াতে বাধ্য হন।


প্রিন্ট