ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আ’লীগ আমাদের জন্য শত্রু, সুযোগ পেলে তারা আমাদেরকে ছাড়বে নাঃ -এ্যাড.শাহ মাহফুজুল হক Logo খোকসায় আন-নুসরাহ ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে চাঁদের হাট তারার মেলা কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo সদরপুরে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যূ Logo ফরিদপুরের চর-চাঁদপুরে ক্রিকেট খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪  Logo বাঘায় আধ্যাত্বিক দরবেশের ওরশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo বোয়ালমারীতে ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেপ্তার Logo ঈদে পুলিশকে খাসি কিনে দিতে ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা তোলার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে Logo নগরকান্দায় সাংবাদিকের পিতার ইন্তেকাল Logo নাটোরে জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত Logo সংঘাতের রাজনীতি কখনো মঙ্গল বয়ে আনে নাঃ -আবদুল হান্নান মাসউদ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুর-২ আসনে পুনর্নির্বাচন চান স্বতন্ত্র প্রার্থী

ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই ও প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল চেয়েছেন ফরিদপুর-২ আসনের (সালথা-নগরকান্দা) স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। সেই সঙ্গে তিনি এ আসনে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান ঈগল প্রতীকের এ প্রার্থী।
লিখিত বক্তব্যে জামাল হোসেন মিয়া বলেন, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আমাকে জোর করে হারানো হয়েছে। ফরিদপুর-২ আসনে নির্বাচনী এলাকার মোট ১১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে সালথার গট্টি ইউনিয়ন, যদুনন্দী ইউনিয়ন ও নগরকান্দার রামনগর ইউনিয়ন, কাইচাইল ইউনিয়নের ভোট জোর করে নৌকা প্রতীকে নিয়ে নেওয়া হয়। কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট প্রকাশ্যে নৌকার সন্ত্রাসী সমর্থকরা কেটে নেয়। এছাড়া বাবুর কাইচাইল কেন্দ্র, বালিয়া গট্টি কেন্দ্র, জয়ঝাপ কেন্দ্র, বড় খারদিয়া কেন্দ্র, সুতারকান্দা কেন্দ্র, পোড়াদিয়া কেন্দ্র, কৃষ্ণডাঙ্গা কেন্দ্রসহ আরও কয়েকটি কেন্দ্রে জোর করে নৌকা প্রতীকে সিল মারা হয়। 

তিনি দাবি করেন, অধিকাংশ প্রিসাইডিং অফিসার নৌকার সিল মেরে ২০০-৩০০ করে ব্যালট পেপার আগেই ব্যালট বাক্সে রেখে দিয়েছিলেন। এছাড়া ঈগলের সিল মারা ব্যালটের বান্ডলের ওপর নৌকা লিখে দেওয়া হয়েছে।

 

স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার চোখের সামনে ভোট কেটে নেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মেরেছে। অনবরত জাল ভোট দিয়েছে তারা।  এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে বার বার বলা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ নেননি।

 

তিনি আরও বলেন, প্রায় ২০টি কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রহসনের নির্বাচন, কারচুপির নির্বাচন ও ব্যালট ছিনতাইয়ের নির্বাচন নগরকান্দা ও সালথাবাসী প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ ফলাফল আমরা মানি না। আমার ঈগলের অনেক ভোট নষ্ট দেখানো হয়েছে। আমি ভোটে জিতেছি, তবুও আমাকে জোর করে ১৯০০ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনের একদিন যেতে না যেতেই নগরকান্দা ও সালথায় আমার সমর্থকদের প্রায় ২০০ বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে, আগুন লাগানো হয়েছে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নেওয়া হয়েছে। আমার নেতাকর্মীর ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

 

নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে জামাল হোসেন মিয়া বলেন, যে সব কেন্দ্রে অনিয়ম, ভোট চুরি, ব্যালট ছিনতাই, জাল ভোট পড়েছে, প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারা হয়েছে, মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসীদের ভোট গণনা করা হয়েছে, সেসব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে পুনর্নির্বাচন দেওয়ার জোর দাবি জানাই।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী, নগরকান্দা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সালথার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওহিদুজ্জামান, যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে।

 

এ ব্যাপারে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই। ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে এবং তা গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। আর ফরিদপুরবাসী দেখেছেন, নির্বাচন কেমন হয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আ’লীগ আমাদের জন্য শত্রু, সুযোগ পেলে তারা আমাদেরকে ছাড়বে নাঃ -এ্যাড.শাহ মাহফুজুল হক

error: Content is protected !!

ফরিদপুর-২ আসনে পুনর্নির্বাচন চান স্বতন্ত্র প্রার্থী

আপডেট টাইম : ০৫:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪
শেখ মফিজুর রহমান শিপন, ফরিদপুর :
ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই ও প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল চেয়েছেন ফরিদপুর-২ আসনের (সালথা-নগরকান্দা) স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। সেই সঙ্গে তিনি এ আসনে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান ঈগল প্রতীকের এ প্রার্থী।
লিখিত বক্তব্যে জামাল হোসেন মিয়া বলেন, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আমাকে জোর করে হারানো হয়েছে। ফরিদপুর-২ আসনে নির্বাচনী এলাকার মোট ১১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে সালথার গট্টি ইউনিয়ন, যদুনন্দী ইউনিয়ন ও নগরকান্দার রামনগর ইউনিয়ন, কাইচাইল ইউনিয়নের ভোট জোর করে নৌকা প্রতীকে নিয়ে নেওয়া হয়। কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট প্রকাশ্যে নৌকার সন্ত্রাসী সমর্থকরা কেটে নেয়। এছাড়া বাবুর কাইচাইল কেন্দ্র, বালিয়া গট্টি কেন্দ্র, জয়ঝাপ কেন্দ্র, বড় খারদিয়া কেন্দ্র, সুতারকান্দা কেন্দ্র, পোড়াদিয়া কেন্দ্র, কৃষ্ণডাঙ্গা কেন্দ্রসহ আরও কয়েকটি কেন্দ্রে জোর করে নৌকা প্রতীকে সিল মারা হয়। 

তিনি দাবি করেন, অধিকাংশ প্রিসাইডিং অফিসার নৌকার সিল মেরে ২০০-৩০০ করে ব্যালট পেপার আগেই ব্যালট বাক্সে রেখে দিয়েছিলেন। এছাড়া ঈগলের সিল মারা ব্যালটের বান্ডলের ওপর নৌকা লিখে দেওয়া হয়েছে।

 

স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার চোখের সামনে ভোট কেটে নেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মেরেছে। অনবরত জাল ভোট দিয়েছে তারা।  এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে বার বার বলা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ নেননি।

 

তিনি আরও বলেন, প্রায় ২০টি কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রহসনের নির্বাচন, কারচুপির নির্বাচন ও ব্যালট ছিনতাইয়ের নির্বাচন নগরকান্দা ও সালথাবাসী প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ ফলাফল আমরা মানি না। আমার ঈগলের অনেক ভোট নষ্ট দেখানো হয়েছে। আমি ভোটে জিতেছি, তবুও আমাকে জোর করে ১৯০০ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনের একদিন যেতে না যেতেই নগরকান্দা ও সালথায় আমার সমর্থকদের প্রায় ২০০ বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে, আগুন লাগানো হয়েছে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নেওয়া হয়েছে। আমার নেতাকর্মীর ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

 

নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে জামাল হোসেন মিয়া বলেন, যে সব কেন্দ্রে অনিয়ম, ভোট চুরি, ব্যালট ছিনতাই, জাল ভোট পড়েছে, প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারা হয়েছে, মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসীদের ভোট গণনা করা হয়েছে, সেসব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে পুনর্নির্বাচন দেওয়ার জোর দাবি জানাই।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী, নগরকান্দা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সালথার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওহিদুজ্জামান, যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে।

 

এ ব্যাপারে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই। ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে এবং তা গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। আর ফরিদপুরবাসী দেখেছেন, নির্বাচন কেমন হয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।

প্রিন্ট