তিনি দাবি করেন, অধিকাংশ প্রিসাইডিং অফিসার নৌকার সিল মেরে ২০০-৩০০ করে ব্যালট পেপার আগেই ব্যালট বাক্সে রেখে দিয়েছিলেন। এছাড়া ঈগলের সিল মারা ব্যালটের বান্ডলের ওপর নৌকা লিখে দেওয়া হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার চোখের সামনে ভোট কেটে নেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মেরেছে। অনবরত জাল ভোট দিয়েছে তারা। এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে বার বার বলা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ নেননি।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ২০টি কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রহসনের নির্বাচন, কারচুপির নির্বাচন ও ব্যালট ছিনতাইয়ের নির্বাচন নগরকান্দা ও সালথাবাসী প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ ফলাফল আমরা মানি না। আমার ঈগলের অনেক ভোট নষ্ট দেখানো হয়েছে। আমি ভোটে জিতেছি, তবুও আমাকে জোর করে ১৯০০ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনের একদিন যেতে না যেতেই নগরকান্দা ও সালথায় আমার সমর্থকদের প্রায় ২০০ বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে, আগুন লাগানো হয়েছে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নেওয়া হয়েছে। আমার নেতাকর্মীর ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে জামাল হোসেন মিয়া বলেন, যে সব কেন্দ্রে অনিয়ম, ভোট চুরি, ব্যালট ছিনতাই, জাল ভোট পড়েছে, প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারা হয়েছে, মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসীদের ভোট গণনা করা হয়েছে, সেসব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে পুনর্নির্বাচন দেওয়ার জোর দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী, নগরকান্দা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সালথার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওহিদুজ্জামান, যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম মুরসিদ (লিটু সিকদার) মোবাইল: 01728 311111