ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গোয়ালন্দে অতিরিক্ত মদ্যপান ও যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দেশের বৃহত্তম  দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে অতিরিক্ত মদ্যপান ও যৌন উত্তেজক সিরাপ  (জিনসিন) সেবনের কারণে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) মধ্যরাত ১২ টা থেকে আড়াইটার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তির বাড়ি জামালপুর জেলার জামালপুর সদর উপজেলার  হড়িবাড়ী এলাকার মৃত কেসমত আলীর ছেলে আব্দুস ছালাম (৫০)। তিনি পেশায় একজন ওয়েলডিং  ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও যৌনপল্লী সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি বুধবার রাতে যৌনপল্লীতে আসেন। বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করে তিনি রাত দেড়টার দিকে দিকে পল্লীর এক যৌনকর্মীর ঘরে প্রবেশ করেন। এর আগে তিনি স্থানীয় এক দোকান থেকে তার দুই বন্ধুসহ তিনজন মিলে দেশীয় বাংলা মদ ও যৌন উত্তেজক ওষুধ জিনসিন কিনে সেবন করেন। এতে প্রেশার বেড়ে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে তার অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়লে তার দুই বন্ধু মিলে তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে থাকা কর্তব্যরত চিকিসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে  কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, হাসপাতালে পৌছানোর আগেই তিনি পথিমধ্যে মারা যায়। আমরা ধরনা করছি অতিরিক্ত মদ্যপান ও যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনের ফলে ট্রোক করে তিনি মারা যান।
 আলাপকালে মৃত আব্দুস ছালামের বন্ধু আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তিনবন্ধু মিলে বুধবার জামালপুর থেকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে ঘুরতে এসেছিলেন। দৌলতদিয়া ঘাটে এসে প্রথমে পাবনা বোডিং এ উঠি । পরে সেখান থেকে রাত ১২ টার দিকে পল্লীর ভেতরে গিয়ে তিনজন মিলে ৩ লিটার মদ ও দুটি যৌনউত্তেজক সিরাপ (জিনসিন) সেবন করে আব্দুস ছালাম এক যৌনকর্মীর  রুমে প্রবেশ করে, এর  কিছুক্ষণ পরই  অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তারা আব্দুস ছালাম কে যৌনপল্লীর বাইরে এনে পাবনা বোডিং এ নিয়ে আসলে তিনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত আড়াইটার দিকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত্যু বলে ঘোষণা করে।
গোয়ালন্দ থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস জানান, আমাদের ধারণা অতিরিক্ত মদ্যপান ও যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনের কারণে তিনি ট্রোক করে মারা গেছেন। হাসপাতাল থেকে মরদেহটি থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

মাগুরাতে জামায়াতে ইসলামী কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ডাঃ শফিকুর রহমান

error: Content is protected !!

গোয়ালন্দে অতিরিক্ত মদ্যপান ও যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

আপডেট টাইম : ০৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
আবুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি :
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দেশের বৃহত্তম  দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে অতিরিক্ত মদ্যপান ও যৌন উত্তেজক সিরাপ  (জিনসিন) সেবনের কারণে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) মধ্যরাত ১২ টা থেকে আড়াইটার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তির বাড়ি জামালপুর জেলার জামালপুর সদর উপজেলার  হড়িবাড়ী এলাকার মৃত কেসমত আলীর ছেলে আব্দুস ছালাম (৫০)। তিনি পেশায় একজন ওয়েলডিং  ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও যৌনপল্লী সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি বুধবার রাতে যৌনপল্লীতে আসেন। বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করে তিনি রাত দেড়টার দিকে দিকে পল্লীর এক যৌনকর্মীর ঘরে প্রবেশ করেন। এর আগে তিনি স্থানীয় এক দোকান থেকে তার দুই বন্ধুসহ তিনজন মিলে দেশীয় বাংলা মদ ও যৌন উত্তেজক ওষুধ জিনসিন কিনে সেবন করেন। এতে প্রেশার বেড়ে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে তার অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়লে তার দুই বন্ধু মিলে তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে থাকা কর্তব্যরত চিকিসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে  কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, হাসপাতালে পৌছানোর আগেই তিনি পথিমধ্যে মারা যায়। আমরা ধরনা করছি অতিরিক্ত মদ্যপান ও যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনের ফলে ট্রোক করে তিনি মারা যান।
 আলাপকালে মৃত আব্দুস ছালামের বন্ধু আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তিনবন্ধু মিলে বুধবার জামালপুর থেকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে ঘুরতে এসেছিলেন। দৌলতদিয়া ঘাটে এসে প্রথমে পাবনা বোডিং এ উঠি । পরে সেখান থেকে রাত ১২ টার দিকে পল্লীর ভেতরে গিয়ে তিনজন মিলে ৩ লিটার মদ ও দুটি যৌনউত্তেজক সিরাপ (জিনসিন) সেবন করে আব্দুস ছালাম এক যৌনকর্মীর  রুমে প্রবেশ করে, এর  কিছুক্ষণ পরই  অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তারা আব্দুস ছালাম কে যৌনপল্লীর বাইরে এনে পাবনা বোডিং এ নিয়ে আসলে তিনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত আড়াইটার দিকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত্যু বলে ঘোষণা করে।
গোয়ালন্দ থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস জানান, আমাদের ধারণা অতিরিক্ত মদ্যপান ও যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনের কারণে তিনি ট্রোক করে মারা গেছেন। হাসপাতাল থেকে মরদেহটি থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

প্রিন্ট