পাবনার চাটমোহরে চুরির ঘটনায় শরীফ, বক্কার, শান্ত নামের তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জনতা।
শহরের জারদিস মোড় এলাকায় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে তাদের গণপিটুনি দেওয়া হয়। তার আগে হরিপুর দিয়ারপাড়া এলাকায় জনৈক দোকানির কাছে বেচে দেওয়া চুরিকৃত পণ্যের টাকা গ্রহণকালে শরীফকে থেকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
শরীফ কুমারগাড়া জেলেপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। শান্ত নতুন বাজার এলাকার আ. রাজ্জাকের ছেলে। এর আগেও বেশ কয়েকবার চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে তারা। থানায় তাদের নামে একাধিক চুরির মামলা আছে বলে জানায় পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, সম্প্রতি জারদিস মোড় এলাকায় মাহফুজুর রহমান রিপন নামের এক ব্যবসায়ীর গোডাউনে চুরি হয়। নিউজিল্যান্ড ডেইরিসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির স্থানীয় পরিবেশক তিনি। তার গোডাউন থেকে চুরি করা পণ্য দিয়ারপাড়া এলাকার ওই দোকানির কাছে বিক্রি করা হয়েছিল। সম্প্রতি শহরের অদুরে জীবননগরে ওয়াদি বাজার নামের একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে তারাই চুরি করেছে- গণধোলাইকালে জনতাকে জানায় তারা। দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই দামি তালা কেটে চুরি করা হয়।
পুলিশসহ এলাকাবাসী জানায়, শরীফ একজন চিহ্নিত ‘চোর’। ৫-৬ সদস্যের তার একটা গ্যাং রয়েছে। শান্ত, সবুজ, সাগর, শফি, বক্কার সেই গ্যাংয়ের সদস্য। সবুজ, শফি ও সাগর পলাতক রয়েছে। তাদের খুঁজছে পুলিশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাটমোহরে ইদানিং তালা কেটে চুরি করা হচ্ছে দোকানপাট। ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রুটি-রুজি ও পুঁজির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। ধরা পড়া এ তিন ‘চোরকে’ রিমান্ডে এনে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বাকি চুরির ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে। তাদের দাবি, চুরি করা মালামাল যেন ভুক্তভোগী দোকানিরা ফেরত পায়। সেই সঙ্গে চুরি করা মালামাল কেনাবেচায় জড়িত অসাধু দোকানিদের গ্রেফতার করতে হবে। এটা নিশ্চিত করা গেলে চুরির ঘটনা কমবে বলেই বিশ্বাস করেন তারা।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সেলিম রেজা জানান, আটক তিনজনের নামে মামলা হয়েছে । তাদের সহযোগিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
প্রিন্ট