আগামী ১২ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এবার এই উপজেলায় ২৬ হাজার ৩শ’ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ভেড়ামারা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস ডঃ নুরুল আমীন। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টা করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। ২ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।শিশুর বয়স ৬মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরে তৈরী সুষম খাবার খাওয়ানো হবে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পপরিবার পরিকল্পনা অফিস ডঃ নুরুল আমীন বলেন,ভেড়ামারা পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে ১টি ওয়ার্ড ৮ করে কেন্দ্র থাকবে। ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ক্যাম্পেইন চলবে। ক্যাম্পেইন সফল করতে স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী এবং স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবে।
৬ ডিসেম্বর,বুধবার সকাল সাড়ে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সম্মেলন কক্ষে ১২ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত উপজেলা পর্যায়ের অবহিতকরণ ওয়ারিয়েটেশন ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয।
জাতীয় পুষ্টিসেবা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে এবং সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন- ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান মিঠু। ভেড়ামারা থানার ওসি তদন্ত শেখ লুৎফর রহমান। বুলবুল কবির, সাপিয়া খাতুন। সাবিনা ইয়াসমিন।শাহানারা জেসমিন। ডাঃ শরিফুল ইসলাম। আব্দুর রাজ্জাক ও সিনিয়র সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন বাবু প্রমূখ।
‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শরিফুল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্য দেন-ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিবার পরিকল্পনা অফিস ডঃ নুরুল আমীন তার বক্তব্যে বলেন, ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
নবজাতককে অবশ্যই মায়ের বুকের শালদুধ পান করানোর ওপর জোরদিয়ে তিনি বলেন- শিশু জন্মের পর ২৪ ঘণ্টাও যদি মায়ের বুকের দুধ না পায় তাহলেও সেই শিশুর কোনো ক্ষতি হবেনা। কাজেই নবজাতককে অন্য কোনো খাবার দেয়ার প্রয়োজন নেই। জন্মের পর ৬ মাস শুধু মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। এরপর বুকের দুধের পাশাপাশি প্রয়োজন মাফিক সুষম খাবার খাওয়াতে হবে। ভিটামিন এ এর অভাব দূর হয় এমন সব খাবার খাওয়াতে হবে।
প্রিন্ট