ঢাকা , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে পাবনার বিপ্লবী বীর রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী

ব্রিটিশ শাসিত অবিভক্ত ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা বিপ্লবী বীর রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী।

ব্রিটিশ শাসিত অবিভক্ত ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করার অপরাধে ইংরেজরা পাবনার বিপ্লবী বীর রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ীকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছিল। যেমন ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছিল ক্ষুদিরাম, সুর্যসেন সহ শত শত ভারতবাসীকে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। হাজার হাজার মানুষকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে আন্দামান দ্বীপে পাঠিয়েছে। প্রায় দুইশত বছর ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সহ সকল ধর্মের মানুষ লড়াই করেছে। লড়াই করেছে বাঙালী, বেলুচ, পাঠান, শিখ, চাকমা, মারমা সহ সকল জাতি।

১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ইংরেজদের এদেশ বিতাড়িত করার জন্য সকল শ্রেণীর মানুষ আন্দোলন করেছে। কখনো প্রতিবাদ আবার কখনো প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। কখনো আন্দোলন হয়েছে সহিংস আবার কখনো অহিংস। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে প্রথম বাঙালী মুসলিম তীতুমীর শহীদ হন। এই উপমহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বাঙালী বা বর্তমান বাংলাদেশের অনেক কৃতি মানুষেরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাওলানা শরিয়তুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হাজী দানেশ, মাওলানা আজাদ, হাকিম আজমল খাঁ, আব্দুল গাফফার খান, ফকির মজনু শাহ প্রমুখদের কৃতিত্বের কথা ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে। ইংরেজদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে গিয়ে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জেল খাটতে হয়েছে। এদেশের হাজার হাজার তরুন এবং যুবক জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

ছোটবেলায় গ্রামে বসবাসের সময় মাইকে শুনতাম সেই কালজয়ী গান। একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি। হাসি হাসি পরবো ফাঁসি – দেখবে ভারতবাসী। কলের বোমা তৈরী করে, দাঁড়িয়ে ছিলেম রাস্তার ধারে মাগো – বড়লাট কে মারতে গিয়ে, মারলাম আরেক ইংল্যান্ডবাসী। শনিবার বেলা দশটার পরে – জজকোর্টেতে লোক না ধরে মাগো, হলো অভিরামের দ্বীপে চালান – মা ক্ষুদিরামের ফাঁসি। ছোট বেলায় এই আবেগঘন এই গানের মর্মকথা বুঝতে না পারলেও সেই মর্মান্তিক ঘটনার মর্মকথা জানতে বেশীদিন লাগেনি। ইংরেজ লাটকে বোমা মেরে মারতে গিয়ে ১৮ বছর বয়সী ক্ষুদিরামকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ক্ষুদিরামের সেই ফাঁসি নেওয়ার ইতিহাস এখনো বিপ্লবীদের অনুপ্রাণিত করে। মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আগে নিজের হাতে গলায় দড়ি বেঁধেছিলেন। কোন অনুশোচনা, অনুতপ্ত না হয়ে তিনি হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে উঠেছিলেন।

ছোটবেলা থেকে ক্ষুদিরামের নাম শুনতাম। একটু বড় হয়ে জানলাম মাষ্টারদা সুর্যসেন এর কথা। চট্টগ্রামের এই বীরের নাম বেশী করে জানার সুযোগ হয় – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সুর্যসেন হলের নামকরণ হবার পর। পরবর্তীতে ইতিহাস থেকে জানি ইংরেজ শাসনকালে শত শত মানুষকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করার কথা। বেশ কয়েক বছর আগে বিপ্লবী বীরদের সংগ্রহশালা থেকে সংগ্রহ করি, ব্রিটিশ শাসনকালে ২৯ জন বাঙালী বিপ্লবীর তালিকা। তাদের কত তারিখে কোন জেলে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই চোখ আটকে যায় তালিকার ১২ নং এ থাকা নাম। বিপ্লবী বীর রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী, বয়স – ২৬, জেলা – পাবনা, ফাঁসি দেওয়ার স্থান – গোন্ডা জেলখানা, তারিখ – ১৭ ডিসেম্বর ১৯২৭ সাল। কে এই বিপ্লবী বীর?

বিপ্লবী বীর রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী, পিতার নাম – ক্ষিতীশ মোহন লাহিড়ী। পাবনার লাহিড়ী মোহনপুর গ্রামে বাড়ী। রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী ১৯০১ সালের ২৩ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার কাছ থেকে স্বদেশপ্রেমের দীক্ষা পান। লাহিড়ী মোহনপুর নিজ এলাকায় প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ভারতের বেনারস যান উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য। সেখানে বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে গিয়ে জড়িয়ে পড়েন হিন্দুস্থান রিপাবলিকান এসোসিয়েশনের সাথে। যারা ব্রিটিশদের ভারত থেকে উৎখাত করার জন্য নানা বৈপ্লবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন।

১৯২৫ সালের ৯ আগষ্ট লখনৌ থেকে ১৪ মাইল দূরে কাকোরি ও আলমনগর রেলস্টেশনের মাঝে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে চেইন টেনে থামিয়ে তালা সহ সিন্দুক সরানো হয়। এই ঘটনার সাথে জড়িত রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী সহ ১৬ জন বিপ্লবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১৯২৬ সালে কাকোরী মামলা নামে বিচার কাজ শুরু হয়। বেশ কিছুদিন ধরে চলা এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এই মামলার রায়ে রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী, রামপ্রসাদ বিসমিল, আসফাকউল্লা খান ও ঠাকুর রৌশন সিং এর ফাঁসির রায় দেওয়া হয়। বাকী ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। অতঃপর ১৯২৭ সালে ১৭ ডিসেম্বর উত্তর প্রদেশ এর গোন্ডা জেলার জেলখানাতে বিপ্লবী বীর রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়।

১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করলে বিপ্লবী বীর রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। গোন্ডা জেলখানায় বিপ্লবী বীর রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ীর প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়। তৎকালীন পাকিস্তান কিংবা আজকের বাংলাদেশে রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ীর জন্মভূমিতে তাঁকে স্মরণ করার কোন উদ্যোগ গত ৯৩ বছরেও নেওয়া হয়নি। বিপ্লবী রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ীদের মত বীরেরা ইতিহাসের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হয়ে আছে।

লেখক পরিচিতি –

আমিরুল ইসলাম রাঙা
রাধানগর মজুমদার পাড়া
পাবনা।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে পাবনার বিপ্লবী বীর রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী

আপডেট টাইম : ০৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০

ব্রিটিশ শাসিত অবিভক্ত ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করার অপরাধে ইংরেজরা পাবনার বিপ্লবী বীর রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ীকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছিল। যেমন ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছিল ক্ষুদিরাম, সুর্যসেন সহ শত শত ভারতবাসীকে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। হাজার হাজার মানুষকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে আন্দামান দ্বীপে পাঠিয়েছে। প্রায় দুইশত বছর ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সহ সকল ধর্মের মানুষ লড়াই করেছে। লড়াই করেছে বাঙালী, বেলুচ, পাঠান, শিখ, চাকমা, মারমা সহ সকল জাতি।

১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ইংরেজদের এদেশ বিতাড়িত করার জন্য সকল শ্রেণীর মানুষ আন্দোলন করেছে। কখনো প্রতিবাদ আবার কখনো প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। কখনো আন্দোলন হয়েছে সহিংস আবার কখনো অহিংস। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে প্রথম বাঙালী মুসলিম তীতুমীর শহীদ হন। এই উপমহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বাঙালী বা বর্তমান বাংলাদেশের অনেক কৃতি মানুষেরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাওলানা শরিয়তুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হাজী দানেশ, মাওলানা আজাদ, হাকিম আজমল খাঁ, আব্দুল গাফফার খান, ফকির মজনু শাহ প্রমুখদের কৃতিত্বের কথা ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে। ইংরেজদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে গিয়ে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জেল খাটতে হয়েছে। এদেশের হাজার হাজার তরুন এবং যুবক জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

ছোটবেলায় গ্রামে বসবাসের সময় মাইকে শুনতাম সেই কালজয়ী গান। একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি। হাসি হাসি পরবো ফাঁসি – দেখবে ভারতবাসী। কলের বোমা তৈরী করে, দাঁড়িয়ে ছিলেম রাস্তার ধারে মাগো – বড়লাট কে মারতে গিয়ে, মারলাম আরেক ইংল্যান্ডবাসী। শনিবার বেলা দশটার পরে – জজকোর্টেতে লোক না ধরে মাগো, হলো অভিরামের দ্বীপে চালান – মা ক্ষুদিরামের ফাঁসি। ছোট বেলায় এই আবেগঘন এই গানের মর্মকথা বুঝতে না পারলেও সেই মর্মান্তিক ঘটনার মর্মকথা জানতে বেশীদিন লাগেনি। ইংরেজ লাটকে বোমা মেরে মারতে গিয়ে ১৮ বছর বয়সী ক্ষুদিরামকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ক্ষুদিরামের সেই ফাঁসি নেওয়ার ইতিহাস এখনো বিপ্লবীদের অনুপ্রাণিত করে। মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আগে নিজের হাতে গলায় দড়ি বেঁধেছিলেন। কোন অনুশোচনা, অনুতপ্ত না হয়ে তিনি হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে উঠেছিলেন।

ছোটবেলা থেকে ক্ষুদিরামের নাম শুনতাম। একটু বড় হয়ে জানলাম মাষ্টারদা সুর্যসেন এর কথা। চট্টগ্রামের এই বীরের নাম বেশী করে জানার সুযোগ হয় – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সুর্যসেন হলের নামকরণ হবার পর। পরবর্তীতে ইতিহাস থেকে জানি ইংরেজ শাসনকালে শত শত মানুষকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করার কথা। বেশ কয়েক বছর আগে বিপ্লবী বীরদের সংগ্রহশালা থেকে সংগ্রহ করি, ব্রিটিশ শাসনকালে ২৯ জন বাঙালী বিপ্লবীর তালিকা। তাদের কত তারিখে কোন জেলে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই চোখ আটকে যায় তালিকার ১২ নং এ থাকা নাম। বিপ্লবী বীর রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী, বয়স – ২৬, জেলা – পাবনা, ফাঁসি দেওয়ার স্থান – গোন্ডা জেলখানা, তারিখ – ১৭ ডিসেম্বর ১৯২৭ সাল। কে এই বিপ্লবী বীর?

বিপ্লবী বীর রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী, পিতার নাম – ক্ষিতীশ মোহন লাহিড়ী। পাবনার লাহিড়ী মোহনপুর গ্রামে বাড়ী। রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী ১৯০১ সালের ২৩ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার কাছ থেকে স্বদেশপ্রেমের দীক্ষা পান। লাহিড়ী মোহনপুর নিজ এলাকায় প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ভারতের বেনারস যান উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য। সেখানে বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে গিয়ে জড়িয়ে পড়েন হিন্দুস্থান রিপাবলিকান এসোসিয়েশনের সাথে। যারা ব্রিটিশদের ভারত থেকে উৎখাত করার জন্য নানা বৈপ্লবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন।

১৯২৫ সালের ৯ আগষ্ট লখনৌ থেকে ১৪ মাইল দূরে কাকোরি ও আলমনগর রেলস্টেশনের মাঝে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে চেইন টেনে থামিয়ে তালা সহ সিন্দুক সরানো হয়। এই ঘটনার সাথে জড়িত রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী সহ ১৬ জন বিপ্লবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১৯২৬ সালে কাকোরী মামলা নামে বিচার কাজ শুরু হয়। বেশ কিছুদিন ধরে চলা এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এই মামলার রায়ে রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী, রামপ্রসাদ বিসমিল, আসফাকউল্লা খান ও ঠাকুর রৌশন সিং এর ফাঁসির রায় দেওয়া হয়। বাকী ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। অতঃপর ১৯২৭ সালে ১৭ ডিসেম্বর উত্তর প্রদেশ এর গোন্ডা জেলার জেলখানাতে বিপ্লবী বীর রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়।

১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করলে বিপ্লবী বীর রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। গোন্ডা জেলখানায় বিপ্লবী বীর রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ীর প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়। তৎকালীন পাকিস্তান কিংবা আজকের বাংলাদেশে রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ীর জন্মভূমিতে তাঁকে স্মরণ করার কোন উদ্যোগ গত ৯৩ বছরেও নেওয়া হয়নি। বিপ্লবী রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ীদের মত বীরেরা ইতিহাসের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হয়ে আছে।

লেখক পরিচিতি –

আমিরুল ইসলাম রাঙা
রাধানগর মজুমদার পাড়া
পাবনা।