কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় কাগজি লেবু চাষ করে সফল মিন্টু (৪৫) নামের এক লেবু চাষী। ৮০টি কলম চারা লাগিয়ে এলাকায় বিশাল লেবু চাষী হয়েছেন মিন্টু । বছরে কলম চারা থেকে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ লেবু উৎপাদন করে স্থানীয় বাজারে লেবুর চাহিদা পুরণ করেছেন। এলাকার মানুষ তাকে লেবু মিন্টু বলেই চেনেন। সফল এই চাষীর বাড়ি উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের নোলুয়া গ্রামে।
লেবু চাষী মিন্টু বলেন, ৯৭ সালে পঁচিশ টাকা দিয়ে ৪টি গোল কাগজি লেবুর চারা এনে বাড়ির লাগাই। দেড় বছর পর চারটি গাছে প্রায় ৫ শতাধিক লেবু ধরে। গ্রাম্য পাইকার ডেকে লেবু বিক্রি করে ভালো লাভ হয়। বাজারে লম্বা জাতের কাগজি লেবুর চাহিদাবেশি থাকায় ২০০০ সালে জ্যাঠাতো ভাইয়ের কাছ থেকে ৪০টি কলম চারা বিশ টাকা দরে কিনে প্রথমে ১৭শতক জমিতে রোপন করি।
ফলন ভালো হওয়ায় পরে ৩০ শতক জমিতে আরোও ৬০টি লম্বা জাতের কাগজি লেবুর কলম চারা রোপন করি। ৩বছর পর বাগান থেকে এক থেকে দেড় লাখ টাকা করি। ধান রোপনের চেয়ে লেবুর বাগানে লাভ বেশি। লেবু চাষের খরচও কম। লেবু মিন্টু তার লেবু বাগান দেখে অবাক হয়ে অনেকে ধান চাষের পরিবর্তে লেবু চাষের উপর ঝুঁকে পড়েছেন। বাগান করার জন্য কৃষি অফিসে গিয়ে অনেকে পরামর্শ নিচ্ছেন।
লেবু চাষ করে মিন্টুর ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা খরচের পাশাপাশি সংসারের চাহিদা পূরণ করছেন। একসময় অভাবের সংসারে মেটাতে পারত না ছেলে মেয়েদের চাহিদা ও সংসারের খরচ। এখন লেবু চাষ করে পাল্টে গেছে ভাগ্য বদলে গেছে জীবন সংসারের নেই কোন চিন্তা। কিনেছেন জমি, করেছেন পাকা বাড়ি, গাড়ি। এলাকায় লেবু মিন্টু হিসেবে পরিচিত লাভ করছেন তিনি।
ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা সুলতানা বলেন, মিন্টু একজন সফল চাষী। প্রতিবছর লেবু বাগান থেকে কয়েক লাখ টাকা আয় করে।
প্রিন্ট