ঢাকা , বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

খুলনায় ফিরে গেছেন ফারজান আরশি

  • বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
  • ২৩৭ বার পঠিত

-নোবেল ও আরশি।

সম্প্রতি গায়ক মইনুল আহসান নোবেল ফেসবুকে তার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস হালনাগাদ করেছেন। সেখানে জানিয়েছেন তিনি ফারজান আরশির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তবে তার স্ত্রী সালসাবিওল মাহমুদ জানিয়েছেন নোবেল মেয়েটিকে খুলনা থেকে তুলে এনেছেন। পরে আরশিও জানান তিনি গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন সেখান থেকে নোবেল তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে।

 

বর্তমানে আরশি খুলনায় অবস্থান করছেন ঢাকা থেকে চলে গেছেন। খুলনায় ফিরে গিয়ে আরশি ফেসবুকে জানিয়েছেন, আমি আমার বাসায় আছি, খুলনাতে। না জেনে উলটাপালটা নিউজ করবেন না প্লিজ। আজকে যদি আমি নাদিমের সাথে সবকিছু ডিলিট করে যেতাম, তাহলে কেউ কিছুই জানতে পারতো না, আমি কি এতোটাই বোকা? আমি জানি না যে নোবেল এই ছবি আপলোড করলে একটা ঝামেলা হবে? বিশ্বাস করুন এসবে আমার হাত ছিল না। একটু টাইম দেন।

 

নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল জানিয়েছিলেন, নোবেলের নতুন স্ত্রী ফারজানা আরশি একজন ফুড ব্লগারের স্ত্রী। অন্য একজনের বউকে তুলে নিয়ে এসে নিজের বউ দাবি করেছেন নোবেল। মেয়েটির পরিবারের সদস্যরাও গিয়ে আরশিকে আনতে পারেনি। তাদের দুজনকে একসঙ্গে নেশা করতেও দেখা গেছে। একই কথা ফেসবুক লাইভে বলেছেন আরশির স্বামী নাদিম আহমেদ।

 

বুধবার বিকেলে আবার ফেসবুকে ফারজান আরশি জানান, ‘আমি এখন এমন একটা পরিস্থিতিতে আছি যে আমার সবকিছু স্বাভাবিক নেই। আমি মানসিকভাবে অনেক ভেঙে পড়েছি তারপরও আপনাদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করছি সবকিছু ক্লিয়ার করার জন্য। আমি খুলনায় বিভিন্ন ব্লগ করে থাকি, সেজন্য একটি ভিডিও কন্টেন্ট বানানোর উদ্দেশ্যে নোবেলের বাড়ি গোপালগঞ্জ যাই।

 

তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে আমার এক বান্ধবীও ছিল। ওখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায়। নোবেল তার মায়ের সামনেই আমার গলায় ছুরি ধরে এবং আমার ফোনটি কেড়ে নেয় এবং জোর করে আমাকে ঢাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। আমাকে বিভিন্ন ড্রাগ জোর করে সেবন করায় এবং মারধর করে। আমি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’

 

তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে ডেমরা থানায় আমাকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে একটা জিডি করায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে আমার বাবা এবং কাজিন উদ্ধার করতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি নোবেলের কথামত ভয়ে পুলিশকেও মিথ্যে বলি তখন আমার শরীরে ড্রাগ পুশ করা ছিল। পরে গোপালগঞ্জ থেকে আমার পরিবার আমাকে উদ্ধার করে।’

 

এরপরই ফারজান আরশি লেখেন, ‘নোবেল জোর করে নেশা করিয়ে আমাকে দিয়ে উক্ত ছবিগুলা তুলেছে। নোবেলের সঙ্গে আমার কোনো প্রকার বিয়ে হয়নি এবং কোন সম্পর্ক ও নেই। আমি পরিবেশ এবং পরিস্থিতির স্বীকার।’

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

খুলনায় ফিরে গেছেন ফারজান আরশি

আপডেট টাইম : ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
বিনোদন ডেস্ক :

সম্প্রতি গায়ক মইনুল আহসান নোবেল ফেসবুকে তার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস হালনাগাদ করেছেন। সেখানে জানিয়েছেন তিনি ফারজান আরশির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তবে তার স্ত্রী সালসাবিওল মাহমুদ জানিয়েছেন নোবেল মেয়েটিকে খুলনা থেকে তুলে এনেছেন। পরে আরশিও জানান তিনি গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন সেখান থেকে নোবেল তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে।

 

বর্তমানে আরশি খুলনায় অবস্থান করছেন ঢাকা থেকে চলে গেছেন। খুলনায় ফিরে গিয়ে আরশি ফেসবুকে জানিয়েছেন, আমি আমার বাসায় আছি, খুলনাতে। না জেনে উলটাপালটা নিউজ করবেন না প্লিজ। আজকে যদি আমি নাদিমের সাথে সবকিছু ডিলিট করে যেতাম, তাহলে কেউ কিছুই জানতে পারতো না, আমি কি এতোটাই বোকা? আমি জানি না যে নোবেল এই ছবি আপলোড করলে একটা ঝামেলা হবে? বিশ্বাস করুন এসবে আমার হাত ছিল না। একটু টাইম দেন।

 

নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল জানিয়েছিলেন, নোবেলের নতুন স্ত্রী ফারজানা আরশি একজন ফুড ব্লগারের স্ত্রী। অন্য একজনের বউকে তুলে নিয়ে এসে নিজের বউ দাবি করেছেন নোবেল। মেয়েটির পরিবারের সদস্যরাও গিয়ে আরশিকে আনতে পারেনি। তাদের দুজনকে একসঙ্গে নেশা করতেও দেখা গেছে। একই কথা ফেসবুক লাইভে বলেছেন আরশির স্বামী নাদিম আহমেদ।

 

বুধবার বিকেলে আবার ফেসবুকে ফারজান আরশি জানান, ‘আমি এখন এমন একটা পরিস্থিতিতে আছি যে আমার সবকিছু স্বাভাবিক নেই। আমি মানসিকভাবে অনেক ভেঙে পড়েছি তারপরও আপনাদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করছি সবকিছু ক্লিয়ার করার জন্য। আমি খুলনায় বিভিন্ন ব্লগ করে থাকি, সেজন্য একটি ভিডিও কন্টেন্ট বানানোর উদ্দেশ্যে নোবেলের বাড়ি গোপালগঞ্জ যাই।

 

তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে আমার এক বান্ধবীও ছিল। ওখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায়। নোবেল তার মায়ের সামনেই আমার গলায় ছুরি ধরে এবং আমার ফোনটি কেড়ে নেয় এবং জোর করে আমাকে ঢাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। আমাকে বিভিন্ন ড্রাগ জোর করে সেবন করায় এবং মারধর করে। আমি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’

 

তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে ডেমরা থানায় আমাকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে একটা জিডি করায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে আমার বাবা এবং কাজিন উদ্ধার করতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি নোবেলের কথামত ভয়ে পুলিশকেও মিথ্যে বলি তখন আমার শরীরে ড্রাগ পুশ করা ছিল। পরে গোপালগঞ্জ থেকে আমার পরিবার আমাকে উদ্ধার করে।’

 

এরপরই ফারজান আরশি লেখেন, ‘নোবেল জোর করে নেশা করিয়ে আমাকে দিয়ে উক্ত ছবিগুলা তুলেছে। নোবেলের সঙ্গে আমার কোনো প্রকার বিয়ে হয়নি এবং কোন সম্পর্ক ও নেই। আমি পরিবেশ এবং পরিস্থিতির স্বীকার।’