রওশন আরা হক একজন অশীতিপর বৃদ্ধা। মাগুরা-শ্রীপুর বাঁক সরলীকরণ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্প এর অধীন তাঁর মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী থাকায় অধিগ্রহণকৃত স্থানে (পারনান্দুয়ালী হাউজিং প্রজেক্ট সংলগ্ন নতুন ব্রীজ এলাকায়) উপস্থিত হয়ে ক্ষতিপূরণের চেক গ্রহণ করতে পারেননি। বিষয়টি জানার সাথে সাথেই মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ স্বশরীরে রওশন আরার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তার হাতে চেক তুলে দেন।
রওশন আরা হক সহ ৪৪ জন ব্যক্তির মাঝে রবিবার ২৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মাগুরা-শ্রীপুর বাঁক সরলীকরণ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্প ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন এর আওতায় সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প” এর সর্বমোট ৮,৭১,২৪,৩০৫.৪২ (আট কোটি একাত্তর লক্ষ চব্বিশ হাজার তিনশত পাঁচটাকা বিয়াল্লিশ পয়সা মাত্র) টাকার ৫২টি ক্ষতিপূরণের এলএ চেক (ভূমি অধিগ্রহণ চেক) বিতরণ করেছেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ।
অধিগ্রহণকৃত স্থানে এবং ক্ষতিপূরণ প্রত্যাশীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ক্ষতিপূরণের এলএ চেক বিতরণ করা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতেই আমার যোগদান ০৮/১২/২০২২ থেকে আজ পর্যন্ত ১৮০ জন ব্যক্তির মাঝে ১৯১টি এলএ চেকের মাধ্যমে সর্বমোট ২৭,৯৯,২৩,৪৮৪.৪৩ (সাতাশ কোটি নিরানব্বই লক্ষ তেইশ হাজার চারশত চুরাশি টাকা তেতাল্লিশ পয়সা মাত্র) টাকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমি অধিগ্রহণকৃত স্থানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে চেক বিতরণ করেছি। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার একদম শুরু থেকে চেক বিতরণ পর্যন্ত শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখা হচ্ছে।
এছাড়া কেউ যেন ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনভাবেই কোন দালাল বা তৃতীয় পক্ষের কাছে না গিয়ে বরং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তা বা সরাসরি জেলা প্রশাসকের কাছে আসার জন্য তিনি সবার প্রতি আহবান জানান।

প্রিন্ট