ঢাকা , শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভেড়ামারায় নকল বিড়িসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ Logo লালপুরে স্বামীর অবৈধ প্রেমের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা Logo ভেড়ামারায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা Logo গাঁজাসহ লালপুরে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo হাতিয়ায় হজ্জযাত্রীদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী প্রশিক্ষণ Logo কাশিয়ানীতে নাশকতা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার Logo মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের ন্যায্য দাবিতে ফরিদপুরে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা Logo মুকসুদপুরে ‘ডাকাতি’ মামলার রহস্য উদঘাটন করে সম্মাননা পেলেন ওসি তদন্ত শীতল Logo তানোরে নিখোঁজের ২০দিন পর যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার Logo ফরিদপুর চিনিকলের অবসরপ্রাপ্তদের পাওনা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গংগাচড়ায় ঘাঘট নদীর ভাঙ্গনে দিশাহারা গ্রামবাসী

রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলায় ভাঙছে ঘাঘট নদী। এ নদীর ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে গংগাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ঘাঘটটারির গ্রামবাসী। নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ইতিমধ্যেই বিলীন হয়েছে কৃষকের কয়েক একর আবাদি জমি ও বসতবাড়ি। ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মূহুর্তে গ্রামটি নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বড়বিল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের  ঘাঘটটারি গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট নদীর ভাঙ্গনে কৃষকদের কয়েক একর জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। বিলীন হতে বসেছে আবাদি জমি, মসজিদ, বসতবাড়ি । এতে এই গ্রামের মানুষের মধ্যে নদী ভাঙ্গন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গত বর্ষা মৌসুমে ঘাঘটের এই ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছিল, বর্তমানেও তা অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়া হলে ভাঙ্গন আরও বাড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে এখানকার মানুষেরা।
বড়বিল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ঘাঘটটারি গ্রামের কৃষক আজিজুল মিয়া জানান, ইতোমধ্যে গ্রামের বেশ কয়েকজন কৃষককের আবাদি জমি ঘাঘটের গর্ভে চলে গেছে। তারা শেষ অবলম্বনটুকু হারিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এজন্য ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মূহুর্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমেনা বেগম বলেন, ‘আমাদের আবাদি জমি ও ঘাঘট নদীতে বিলীন হয়েছে। শেষ সম্বল বসতভিটাও চলে গেছে নদীর উদরে। ৩টি ঘরের একটি তিস্তায় ভেসে গেছে।
দুইটি ঘর রেখেছে তাও যখন তখন বিলিন হয়ে যেতে পারে। ঘাঘটটারি গ্রামের মালেক মিয়া বলেন, গত তিনদিন ধরে বন্যার পানিতে কষ্ট করলাম। নদীর পানি নেমে যাওয়ায় এখন ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, জরুরি ভাঙন রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়েছি তিনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আগামীকাল আমাদের টিম পরিদর্শন করে জরুরি ভাবে ব্যবস্হা গ্রহন করবে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ভেড়ামারায় নকল বিড়িসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ

error: Content is protected !!

গংগাচড়ায় ঘাঘট নদীর ভাঙ্গনে দিশাহারা গ্রামবাসী

আপডেট টাইম : ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মোঃ গোলাম রাব্বী গংগাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি :
রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলায় ভাঙছে ঘাঘট নদী। এ নদীর ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে গংগাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ঘাঘটটারির গ্রামবাসী। নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ইতিমধ্যেই বিলীন হয়েছে কৃষকের কয়েক একর আবাদি জমি ও বসতবাড়ি। ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মূহুর্তে গ্রামটি নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বড়বিল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের  ঘাঘটটারি গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট নদীর ভাঙ্গনে কৃষকদের কয়েক একর জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। বিলীন হতে বসেছে আবাদি জমি, মসজিদ, বসতবাড়ি । এতে এই গ্রামের মানুষের মধ্যে নদী ভাঙ্গন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গত বর্ষা মৌসুমে ঘাঘটের এই ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছিল, বর্তমানেও তা অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়া হলে ভাঙ্গন আরও বাড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে এখানকার মানুষেরা।
বড়বিল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ঘাঘটটারি গ্রামের কৃষক আজিজুল মিয়া জানান, ইতোমধ্যে গ্রামের বেশ কয়েকজন কৃষককের আবাদি জমি ঘাঘটের গর্ভে চলে গেছে। তারা শেষ অবলম্বনটুকু হারিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এজন্য ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মূহুর্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমেনা বেগম বলেন, ‘আমাদের আবাদি জমি ও ঘাঘট নদীতে বিলীন হয়েছে। শেষ সম্বল বসতভিটাও চলে গেছে নদীর উদরে। ৩টি ঘরের একটি তিস্তায় ভেসে গেছে।
দুইটি ঘর রেখেছে তাও যখন তখন বিলিন হয়ে যেতে পারে। ঘাঘটটারি গ্রামের মালেক মিয়া বলেন, গত তিনদিন ধরে বন্যার পানিতে কষ্ট করলাম। নদীর পানি নেমে যাওয়ায় এখন ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, জরুরি ভাঙন রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়েছি তিনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আগামীকাল আমাদের টিম পরিদর্শন করে জরুরি ভাবে ব্যবস্হা গ্রহন করবে।

প্রিন্ট