রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলায় ভাঙছে ঘাঘট নদী। এ নদীর ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে গংগাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ঘাঘটটারির গ্রামবাসী। নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ইতিমধ্যেই বিলীন হয়েছে কৃষকের কয়েক একর আবাদি জমি ও বসতবাড়ি। ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মূহুর্তে গ্রামটি নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বড়বিল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ঘাঘটটারি গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট নদীর ভাঙ্গনে কৃষকদের কয়েক একর জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। বিলীন হতে বসেছে আবাদি জমি, মসজিদ, বসতবাড়ি । এতে এই গ্রামের মানুষের মধ্যে নদী ভাঙ্গন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গত বর্ষা মৌসুমে ঘাঘটের এই ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছিল, বর্তমানেও তা অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়া হলে ভাঙ্গন আরও বাড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে এখানকার মানুষেরা।
বড়বিল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ঘাঘটটারি গ্রামের কৃষক আজিজুল মিয়া জানান, ইতোমধ্যে গ্রামের বেশ কয়েকজন কৃষককের আবাদি জমি ঘাঘটের গর্ভে চলে গেছে। তারা শেষ অবলম্বনটুকু হারিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এজন্য ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মূহুর্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমেনা বেগম বলেন, ‘আমাদের আবাদি জমি ও ঘাঘট নদীতে বিলীন হয়েছে। শেষ সম্বল বসতভিটাও চলে গেছে নদীর উদরে। ৩টি ঘরের একটি তিস্তায় ভেসে গেছে।
দুইটি ঘর রেখেছে তাও যখন তখন বিলিন হয়ে যেতে পারে। ঘাঘটটারি গ্রামের মালেক মিয়া বলেন, গত তিনদিন ধরে বন্যার পানিতে কষ্ট করলাম। নদীর পানি নেমে যাওয়ায় এখন ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, জরুরি ভাঙন রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়েছি তিনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আগামীকাল আমাদের টিম পরিদর্শন করে জরুরি ভাবে ব্যবস্হা গ্রহন করবে।
প্রিন্ট