ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শালিখায় ৫৩তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo রাজশাহীতে টেন্ডার বাক্স লুটের ঘটনায় ‘মিথ্যা অপপ্রচারের’ অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন Logo রাজশাহী গোদাগাড়ীতে শ্রীপাঠ খেতুরী ধার্মের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ, ট্রাস্ট কমিটির পদত্যাগের দাবি Logo কালিয়াকৈরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ Logo ভেড়ামারায় ৪টি ইটভাটায় অভিযান! ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় Logo পাংশায় ৫৩তম জাতীয় স্কুল মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo রাজাপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা Logo রাজাপুর বাশার হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন Logo খোকসা মডেল টাউনে লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘন্টার মাথায় ২ আসামী আটক ও ভ্যান উদ্ধার Logo আ’ লীগের স্টাইলে লুটপাটের রাজনীতি করছেন বিএনপির দুই নেতা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সশস্ত্র বাহিনীতে পাঁচ বছরে যুক্ত হয়েছে ২৩ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম

-সশস্ত্র বাহিনীর জন্য চীনের লাইট ট্যাঙ্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে গত পাঁচ বছরে সংযোজন করা হয়েছে ১১ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। একই সময়ে নৌবাহিনীতে ৮ ধরনের এবং বিমানবাহিনীতে ৪ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম সংযোজিত হয়েছে। এসব সরঞ্জাম ১২টি দেশ থেকে আনা হয়েছে। এর মধ্যে চীন থেকে আনা হয়েছে বেশি। এ ছাড়া বাংলাদেশে তৈরি দুই ধরনের সরঞ্জাম রয়েছে।

ফোর্সেস গোল-২০২৩ এর আলোকে ২০১৮ সাল থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এসব যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনা ও সংযোজন করা হয়েছে।

 

বুধবার সংসদ ভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেওয়া প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। তবে কোনো সরঞ্জাম কতটি কেনা হয়েছে এবং এর পেছনে কত ব্যয় হয়েছে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

 

কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, মোতাহার হোসেন, নাজমুল হাসান, নাসির উদ্দিন, মহিবুর রহমান এবং নাহিদ ইজাহার খান অংশ নেন।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিবেদন অনুযায়ী সেনাবাহিনীতে সংযোজিত সরঞ্জামের মধ্যে আছে চীনের লাইট ট্যাঙ্ক, তুরস্কের বিভিন্ন ধরনের আর্মাড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি), মাল্টিপল লাঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএলআরএস), সিঙ্গাপুরের অটোমেটিক গ্রেনেড লঞ্চার (এজিএল), সার্বিয়া ও তুরস্কের রেজিমেন্ট ফিল্ড আর্টিলারি উইপন সিস্টেম, স্পেনের ফিক্সড উইং মিডিয়াম ইউটিলিটি এয়ারক্র্যাফট, দক্ষিণ আফ্রিকার সেমি অটোমেটিক গ্রেনেড লঞ্চার (এসএজিএল), তুরস্কের আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল (ইউএভি), চীন ও সুইজারল্যান্ডের ব্যাটারি রাডার কনট্রোল এয়ার ডিফেন্স গান (আরসিজি) সিস্টেম, জার্মানির আর্মাড রিকভারি ভেহিক্যাল (এআরভি) ফর ট্যাঙ্ক এবং চীনের সারফেস টু এয়ার মিসাইল (এসএএম) সিস্টেম।

 

নৌবাহিনীতে সংযোজিত সরঞ্জামের মধ্যে আছে খুলনা শিপইয়ার্ড ও চীনের তৈরি পেট্রোল ক্র্যাফট (পিসি), চীনের ফ্রিগেট, চীনের বিভিন্ন ধরনের মিসাইল ও সরঞ্জাম, নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, ইতালির ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, খুলনা শিপইয়ার্ডে তৈরি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাঙ্ক (এলসিটি), কানাডার ভি-স্যাট (ভিএসএটি) নেটওয়ার্ক সিস্টেম। এ ছাড়া চীনের ব্যবস্থাপনায় সাবমেরিন বেস বিএনএস শেখ হাসিনা নির্মাণ করা হয়েছে।

 

বিমানবাহিনীতে সংযোজিত সরঞ্জামের মধ্যে আছে যুক্তরাজ্যের এমকে-৫ এয়ারক্র্যাফট, ফ্রান্সের এয়ার ডিফেন্স রাডার, ইতালির ফিক্সড উইং আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল এবং জার্মানির প্রাইমারি ট্রেইনার এয়ারক্র্যাফট।

 

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সরকারের চলতি মেয়াদে সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে  ১৩ হাজার ২৩৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ১৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে ১২টি এবং নৌবাহিনী বাস্তবায়ন করছে ৫টি প্রকল্প। এর মধ্যে তিনটির চুক্তি হয়েছে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে; বাকিগুলো হয়েছে অর্পিত ক্রয় পদ্ধতিতে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সড়ক নির্মাণ, বাঁধরক্ষা নদীরক্ষা ও ড্রেজিং।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শালিখায় ৫৩তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

সশস্ত্র বাহিনীতে পাঁচ বছরে যুক্ত হয়েছে ২৩ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম

আপডেট টাইম : ১০:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে গত পাঁচ বছরে সংযোজন করা হয়েছে ১১ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। একই সময়ে নৌবাহিনীতে ৮ ধরনের এবং বিমানবাহিনীতে ৪ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম সংযোজিত হয়েছে। এসব সরঞ্জাম ১২টি দেশ থেকে আনা হয়েছে। এর মধ্যে চীন থেকে আনা হয়েছে বেশি। এ ছাড়া বাংলাদেশে তৈরি দুই ধরনের সরঞ্জাম রয়েছে।

ফোর্সেস গোল-২০২৩ এর আলোকে ২০১৮ সাল থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এসব যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনা ও সংযোজন করা হয়েছে।

 

বুধবার সংসদ ভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেওয়া প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। তবে কোনো সরঞ্জাম কতটি কেনা হয়েছে এবং এর পেছনে কত ব্যয় হয়েছে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

 

কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, মোতাহার হোসেন, নাজমুল হাসান, নাসির উদ্দিন, মহিবুর রহমান এবং নাহিদ ইজাহার খান অংশ নেন।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিবেদন অনুযায়ী সেনাবাহিনীতে সংযোজিত সরঞ্জামের মধ্যে আছে চীনের লাইট ট্যাঙ্ক, তুরস্কের বিভিন্ন ধরনের আর্মাড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি), মাল্টিপল লাঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএলআরএস), সিঙ্গাপুরের অটোমেটিক গ্রেনেড লঞ্চার (এজিএল), সার্বিয়া ও তুরস্কের রেজিমেন্ট ফিল্ড আর্টিলারি উইপন সিস্টেম, স্পেনের ফিক্সড উইং মিডিয়াম ইউটিলিটি এয়ারক্র্যাফট, দক্ষিণ আফ্রিকার সেমি অটোমেটিক গ্রেনেড লঞ্চার (এসএজিএল), তুরস্কের আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল (ইউএভি), চীন ও সুইজারল্যান্ডের ব্যাটারি রাডার কনট্রোল এয়ার ডিফেন্স গান (আরসিজি) সিস্টেম, জার্মানির আর্মাড রিকভারি ভেহিক্যাল (এআরভি) ফর ট্যাঙ্ক এবং চীনের সারফেস টু এয়ার মিসাইল (এসএএম) সিস্টেম।

 

নৌবাহিনীতে সংযোজিত সরঞ্জামের মধ্যে আছে খুলনা শিপইয়ার্ড ও চীনের তৈরি পেট্রোল ক্র্যাফট (পিসি), চীনের ফ্রিগেট, চীনের বিভিন্ন ধরনের মিসাইল ও সরঞ্জাম, নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, ইতালির ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, খুলনা শিপইয়ার্ডে তৈরি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাঙ্ক (এলসিটি), কানাডার ভি-স্যাট (ভিএসএটি) নেটওয়ার্ক সিস্টেম। এ ছাড়া চীনের ব্যবস্থাপনায় সাবমেরিন বেস বিএনএস শেখ হাসিনা নির্মাণ করা হয়েছে।

 

বিমানবাহিনীতে সংযোজিত সরঞ্জামের মধ্যে আছে যুক্তরাজ্যের এমকে-৫ এয়ারক্র্যাফট, ফ্রান্সের এয়ার ডিফেন্স রাডার, ইতালির ফিক্সড উইং আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল এবং জার্মানির প্রাইমারি ট্রেইনার এয়ারক্র্যাফট।

 

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সরকারের চলতি মেয়াদে সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে  ১৩ হাজার ২৩৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ১৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে ১২টি এবং নৌবাহিনী বাস্তবায়ন করছে ৫টি প্রকল্প। এর মধ্যে তিনটির চুক্তি হয়েছে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে; বাকিগুলো হয়েছে অর্পিত ক্রয় পদ্ধতিতে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সড়ক নির্মাণ, বাঁধরক্ষা নদীরক্ষা ও ড্রেজিং।


প্রিন্ট