ফোর্সেস গোল-২০২৩ এর আলোকে ২০১৮ সাল থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এসব যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনা ও সংযোজন করা হয়েছে।
বুধবার সংসদ ভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেওয়া প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। তবে কোনো সরঞ্জাম কতটি কেনা হয়েছে এবং এর পেছনে কত ব্যয় হয়েছে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, মোতাহার হোসেন, নাজমুল হাসান, নাসির উদ্দিন, মহিবুর রহমান এবং নাহিদ ইজাহার খান অংশ নেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিবেদন অনুযায়ী সেনাবাহিনীতে সংযোজিত সরঞ্জামের মধ্যে আছে চীনের লাইট ট্যাঙ্ক, তুরস্কের বিভিন্ন ধরনের আর্মাড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি), মাল্টিপল লাঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএলআরএস), সিঙ্গাপুরের অটোমেটিক গ্রেনেড লঞ্চার (এজিএল), সার্বিয়া ও তুরস্কের রেজিমেন্ট ফিল্ড আর্টিলারি উইপন সিস্টেম, স্পেনের ফিক্সড উইং মিডিয়াম ইউটিলিটি এয়ারক্র্যাফট, দক্ষিণ আফ্রিকার সেমি অটোমেটিক গ্রেনেড লঞ্চার (এসএজিএল), তুরস্কের আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল (ইউএভি), চীন ও সুইজারল্যান্ডের ব্যাটারি রাডার কনট্রোল এয়ার ডিফেন্স গান (আরসিজি) সিস্টেম, জার্মানির আর্মাড রিকভারি ভেহিক্যাল (এআরভি) ফর ট্যাঙ্ক এবং চীনের সারফেস টু এয়ার মিসাইল (এসএএম) সিস্টেম।
নৌবাহিনীতে সংযোজিত সরঞ্জামের মধ্যে আছে খুলনা শিপইয়ার্ড ও চীনের তৈরি পেট্রোল ক্র্যাফট (পিসি), চীনের ফ্রিগেট, চীনের বিভিন্ন ধরনের মিসাইল ও সরঞ্জাম, নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, ইতালির ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, খুলনা শিপইয়ার্ডে তৈরি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাঙ্ক (এলসিটি), কানাডার ভি-স্যাট (ভিএসএটি) নেটওয়ার্ক সিস্টেম। এ ছাড়া চীনের ব্যবস্থাপনায় সাবমেরিন বেস বিএনএস শেখ হাসিনা নির্মাণ করা হয়েছে।
বিমানবাহিনীতে সংযোজিত সরঞ্জামের মধ্যে আছে যুক্তরাজ্যের এমকে-৫ এয়ারক্র্যাফট, ফ্রান্সের এয়ার ডিফেন্স রাডার, ইতালির ফিক্সড উইং আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল এবং জার্মানির প্রাইমারি ট্রেইনার এয়ারক্র্যাফট।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সরকারের চলতি মেয়াদে সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে ১৩ হাজার ২৩৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ১৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে ১২টি এবং নৌবাহিনী বাস্তবায়ন করছে ৫টি প্রকল্প। এর মধ্যে তিনটির চুক্তি হয়েছে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে; বাকিগুলো হয়েছে অর্পিত ক্রয় পদ্ধতিতে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সড়ক নির্মাণ, বাঁধরক্ষা নদীরক্ষা ও ড্রেজিং।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ (লিটু সিকদার), মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha