ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নাগেশ্বরীর আয়নালের ঘাটে অবৈধ ড্রেজারে বালু ব্যবসা

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী বামনডাঙ্গার দুধকুমার নদীর পাড় ঘেষে (আয়নালের ঘাট) অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে নির্বিঘনে চলছে বালু ব্যবসা । ফলে নদী ভাঙ্গন রোধে ভেস্তে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লক্ষ কোটি টাকার জিও ব্যাগ ও বোল্ডার প্রকল্প। অপরদিকে কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন অধিদপ্তরের নজরদারি না থাকায় স্থানীয় বালু খেকোরা বেপরোয়া ভাবে নদীর পাড় ঘেষে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলনে গড়ে তুলছে অবৈধ বালু ব্যবসার অভয়ারণ্য।
স্থানীয়রা জানায় বালু উত্তোলনের ফলে আবাদি জমিসহ ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। বন্যার সময় নদী ভাঙ্গন থেকে বাঁচতে এভাবে বালু উত্তোলন রোধ করা খুবই জরুরি। একটি প্রভাবশালী মহল নদীতে অবৈধ ভাবে ড্রেজার বসিয়ে নদীর গভিরতা বাড়াচ্ছে, ফলে দিন দিন নদী ভাঙ্গন বেড়েই যাচ্ছে। নদী পাড়ে বসবাসকারী আমিনুর রহমান বলেন “আমার জায়গাজমি নাই, নদীর উপরে কোনরকম ঘরতুলে আছি, যে ভাবে নদী থেকে বালু তুলা হচ্ছে, হয়তো কয়েকদিনের মধ্যে আমার বসতভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে”। প্রতিবেদক অবৈধ  ড্রেজারের ছবি তুলতে গেলে ড্রেজার মালিক আবুল হোসেন দাম্ভিকতার সাথে বলেন- “ছবি তুলবার চান তোলেন, কি হয় পরে দেকমো এলা, কতজনে তো আসিল গেইল”।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় অবস্থান করছি। তবে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যতো দ্রুত  সম্ভব লোক পাঠিয়ে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার আহাম্মেদ।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

নাগেশ্বরীর আয়নালের ঘাটে অবৈধ ড্রেজারে বালু ব্যবসা

আপডেট টাইম : ০৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
জেলাল আহম্মদ রানা, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী বামনডাঙ্গার দুধকুমার নদীর পাড় ঘেষে (আয়নালের ঘাট) অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে নির্বিঘনে চলছে বালু ব্যবসা । ফলে নদী ভাঙ্গন রোধে ভেস্তে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লক্ষ কোটি টাকার জিও ব্যাগ ও বোল্ডার প্রকল্প। অপরদিকে কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন অধিদপ্তরের নজরদারি না থাকায় স্থানীয় বালু খেকোরা বেপরোয়া ভাবে নদীর পাড় ঘেষে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলনে গড়ে তুলছে অবৈধ বালু ব্যবসার অভয়ারণ্য।
স্থানীয়রা জানায় বালু উত্তোলনের ফলে আবাদি জমিসহ ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। বন্যার সময় নদী ভাঙ্গন থেকে বাঁচতে এভাবে বালু উত্তোলন রোধ করা খুবই জরুরি। একটি প্রভাবশালী মহল নদীতে অবৈধ ভাবে ড্রেজার বসিয়ে নদীর গভিরতা বাড়াচ্ছে, ফলে দিন দিন নদী ভাঙ্গন বেড়েই যাচ্ছে। নদী পাড়ে বসবাসকারী আমিনুর রহমান বলেন “আমার জায়গাজমি নাই, নদীর উপরে কোনরকম ঘরতুলে আছি, যে ভাবে নদী থেকে বালু তুলা হচ্ছে, হয়তো কয়েকদিনের মধ্যে আমার বসতভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে”। প্রতিবেদক অবৈধ  ড্রেজারের ছবি তুলতে গেলে ড্রেজার মালিক আবুল হোসেন দাম্ভিকতার সাথে বলেন- “ছবি তুলবার চান তোলেন, কি হয় পরে দেকমো এলা, কতজনে তো আসিল গেইল”।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় অবস্থান করছি। তবে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যতো দ্রুত  সম্ভব লোক পাঠিয়ে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার আহাম্মেদ।

প্রিন্ট