ঢাকা , শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সোনালী আঁশে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ

ফরিদপুরের সদরপুরে চলতি মৌসুমে পাটের ফলন ভালো হলেও বর্তমান বাজার মূল্য নিয়ে অসন্তোষ চাষীরা। গত বছর প্রতি মণ পাট ৩ থেকে ৪ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ২৩ থেকে ২৫শত টাকায় নেমে এসেছে। পাট রোপণ থেকে বাজারজাত করণ পর্যন্ত বিঘা প্রতি খরচের তুলনায় ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না চাষীরা।

উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পাট চাষী মিরাজুল ইসলাম জানান, তারা প্রতি বিঘা জমিতে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করে সর্বোচ্চ ১৫ মণ পাট উৎপাদন হয়। বর্তমানে বাজারে পাটের যে দাম আগামীতে উপজেলায় পাট চাষ অনেকটা কমে যাবে।

উপজেলার ভাষাণচরের চাষী আবুল কালাম জানান, গতবারের তুলনায় এবছর পাট চাষে খরচ বেশী হয়েছে। খরচের তুলনায় বাজারে দাম অনেক কম। অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পাট মজুদ করছে। প্রশাসনের উচিত পাটের বাজার মনিটরিং করা। বাজারে পাটের দাম এমন হলে ভবিষ্যতে চাষীরা আর পাট চাষ থেকে সরে আসবে।

উপজেলার কৃষ্ণপুর বাজারের পাট ব্যবসায়ী আ. ছামাদ বলেন, বর্তমানে দেশে পাটের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশী বলে হয়তো পাটের দাম কম হতে পারে। বর্তমানে আমরা ২২-২৪ টাকা দরে পাট কিনছি। তিনি বলেন, আমরা ছোট ব্যবসায়ী। বড় বড় ব্যবসায়ীরা পাট মজুদ করে।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বছর উপজেলায় ৬ হাজার ৫২৮ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। অনাবৃষ্টি, রাসায়নিক সার ও জালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে। তবে বাজার দামে গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

সোনালী আঁশে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ

আপডেট টাইম : ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩
মোঃ হুমায়ুন কবির তুহিন, সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

ফরিদপুরের সদরপুরে চলতি মৌসুমে পাটের ফলন ভালো হলেও বর্তমান বাজার মূল্য নিয়ে অসন্তোষ চাষীরা। গত বছর প্রতি মণ পাট ৩ থেকে ৪ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ২৩ থেকে ২৫শত টাকায় নেমে এসেছে। পাট রোপণ থেকে বাজারজাত করণ পর্যন্ত বিঘা প্রতি খরচের তুলনায় ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না চাষীরা।

উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পাট চাষী মিরাজুল ইসলাম জানান, তারা প্রতি বিঘা জমিতে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করে সর্বোচ্চ ১৫ মণ পাট উৎপাদন হয়। বর্তমানে বাজারে পাটের যে দাম আগামীতে উপজেলায় পাট চাষ অনেকটা কমে যাবে।

উপজেলার ভাষাণচরের চাষী আবুল কালাম জানান, গতবারের তুলনায় এবছর পাট চাষে খরচ বেশী হয়েছে। খরচের তুলনায় বাজারে দাম অনেক কম। অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পাট মজুদ করছে। প্রশাসনের উচিত পাটের বাজার মনিটরিং করা। বাজারে পাটের দাম এমন হলে ভবিষ্যতে চাষীরা আর পাট চাষ থেকে সরে আসবে।

উপজেলার কৃষ্ণপুর বাজারের পাট ব্যবসায়ী আ. ছামাদ বলেন, বর্তমানে দেশে পাটের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশী বলে হয়তো পাটের দাম কম হতে পারে। বর্তমানে আমরা ২২-২৪ টাকা দরে পাট কিনছি। তিনি বলেন, আমরা ছোট ব্যবসায়ী। বড় বড় ব্যবসায়ীরা পাট মজুদ করে।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বছর উপজেলায় ৬ হাজার ৫২৮ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। অনাবৃষ্টি, রাসায়নিক সার ও জালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে। তবে বাজার দামে গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম।


প্রিন্ট