ঢাকা , শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ

যশোরের শার্শায় ২০ লাখ টাকার মাছ লুট

কাজী নূরঃ

 

বেনাপোলের পাচভূলাট গ্রামের মাঠে আব্দুল মজিদের মাছের ঘের ও গভীর নলকুপ দখল করে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ লুট করেছে কাদের মোড়লের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসীবাহিনী। মজিদ নিরীহ প্রকৃতির হওয়ায় ও বেনাপোলে বসবাস করায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী কাদের মোড়ল মজিদের এসব সম্পদ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। গ্রামের বাড়ি ও মাছের ঘেরে আসলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।

 

তারই সন্ত্রাসী বাহিনী গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মাছের ঘেরে হামলা চালিয়ে মাছ লুট করে। এ ঘটনায় শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেও কোন ফল পাননি।

 

মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ দৈনিক ‘সময়ের প্রত্যাশা’কে বলেন, ‘শার্শা উপজেলার পাচভূলাট গ্রামের মাঠে তার ১৫ বিঘা জমিতে মাছের ঘের ও একটি গভীর নলকুপ ছিল। দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন রকম মাছ চাষ করে আসছেন তিনি। এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী কাদের মোড়ল মজিদের এসব সম্পদ দখলে নেওয়ার জন্য মোটা টাকার বিনিময়ে কাদের মোড়লের ছেলে নয়ন হোসেন, আইয়ুব আলীর ছেলে উজ্জল, তবিবর শেখের ছেলে জেকের, খোরশেদের ছেলে মেহেদী, ফজের শেখের ছেলে মিঠু ও আনসারের ছেলে আজিজুল ইসলামকে ভাড়া করে মাছের ঘেরে জাল টেনে মাছ ধরা শুরু করে।’

 

লুট করা এসব মাছ বেনাপোল, বাগআঁচড়া, নাভারণ ও যশোরে বিক্রি করে। মাছ বিক্রির পর ঘের দখল করেছে কাদের মোড়ল। মজিদ যাতে গ্রামের বাড়ি ও মাছের ঘেরে না আসতে পারে, সে জন্য কাদেরের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা রাত দিন পাহারা দিচ্ছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে মজিদ শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়েও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার ভূমি ও শার্শা থানা পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

 

এলাকাবাসীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, মজিদ নিরীহ প্রকৃতির ও বেনাপোলে বসবাস করায় সন্ত্রাসী কাদের পেরে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে গ্রামে নিরীহ মানুষ সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়বে।

 

শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়ে সম্ভাবত সেটি শার্শা থানার ওসিকে ফরওয়ার্ড করেছিলাম কিন্তু কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কি না সেটা আমার জানা নেই। আগামী রবিবার অফিসে গিয়ে বিষয়টি দেখব কী হয়েছে।

 

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম রবিউল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ

যশোরের শার্শায় ২০ লাখ টাকার মাছ লুট

আপডেট টাইম : ২ ঘন্টা আগে
কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি :

কাজী নূরঃ

 

বেনাপোলের পাচভূলাট গ্রামের মাঠে আব্দুল মজিদের মাছের ঘের ও গভীর নলকুপ দখল করে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ লুট করেছে কাদের মোড়লের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসীবাহিনী। মজিদ নিরীহ প্রকৃতির হওয়ায় ও বেনাপোলে বসবাস করায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী কাদের মোড়ল মজিদের এসব সম্পদ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। গ্রামের বাড়ি ও মাছের ঘেরে আসলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।

 

তারই সন্ত্রাসী বাহিনী গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মাছের ঘেরে হামলা চালিয়ে মাছ লুট করে। এ ঘটনায় শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেও কোন ফল পাননি।

 

মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ দৈনিক ‘সময়ের প্রত্যাশা’কে বলেন, ‘শার্শা উপজেলার পাচভূলাট গ্রামের মাঠে তার ১৫ বিঘা জমিতে মাছের ঘের ও একটি গভীর নলকুপ ছিল। দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন রকম মাছ চাষ করে আসছেন তিনি। এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী কাদের মোড়ল মজিদের এসব সম্পদ দখলে নেওয়ার জন্য মোটা টাকার বিনিময়ে কাদের মোড়লের ছেলে নয়ন হোসেন, আইয়ুব আলীর ছেলে উজ্জল, তবিবর শেখের ছেলে জেকের, খোরশেদের ছেলে মেহেদী, ফজের শেখের ছেলে মিঠু ও আনসারের ছেলে আজিজুল ইসলামকে ভাড়া করে মাছের ঘেরে জাল টেনে মাছ ধরা শুরু করে।’

 

লুট করা এসব মাছ বেনাপোল, বাগআঁচড়া, নাভারণ ও যশোরে বিক্রি করে। মাছ বিক্রির পর ঘের দখল করেছে কাদের মোড়ল। মজিদ যাতে গ্রামের বাড়ি ও মাছের ঘেরে না আসতে পারে, সে জন্য কাদেরের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা রাত দিন পাহারা দিচ্ছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে মজিদ শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়েও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার ভূমি ও শার্শা থানা পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

 

এলাকাবাসীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, মজিদ নিরীহ প্রকৃতির ও বেনাপোলে বসবাস করায় সন্ত্রাসী কাদের পেরে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে গ্রামে নিরীহ মানুষ সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়বে।

 

শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়ে সম্ভাবত সেটি শার্শা থানার ওসিকে ফরওয়ার্ড করেছিলাম কিন্তু কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কি না সেটা আমার জানা নেই। আগামী রবিবার অফিসে গিয়ে বিষয়টি দেখব কী হয়েছে।

 

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম রবিউল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট